
মোঃ রাকিবুল হাসান
ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি।।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্ত অঞ্চলের অধিকাংশ লোক দরিদ্র ও শ্রমজীবী লোক। অত্র
এলাকার পরিবারের লোকেরা দৈনিক মজুরিতে কাজ কর্ম করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়াও আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোক সহ বিভিন্ন দরিদ্র শ্রেণির লোকেরা বসবাস করে এই সীমান্ত অঞ্চলে।
উল্লেখ্য ধনাট্য পরিবারের লোকেরা বন্য হাতির ভয়ে বহু আগেই সীমান্ত অঞ্চল ছেড়ে অন্যত্রে পাড়ি
জমিয়েছে কিন্তু দরিদ্র পরিবারের লোকেরা জীবনের ঝুকি নিয়ে নিজেদের বাপ দাদার ভিটে মাটিতেই
পড়ে আছে। প্রতি বছর বন্য হাতির তান্ডবে প্রাণ হারালেও তাদের অন্যত্রে যাওয়ার কোন উপায় নেই।
তাই বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুকি নিয়ে বসবাস করছে এই সীমান্ত অঞ্চলে। এই সমস্ত দরিদ্র ও শ্রমজীবি
মানুষের আয়ের উৎস শ্রম বিক্রি করা। গত কয়েক দিন যাবৎ প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার কারনে
শ্রকিকেরা কাজ কর্ম করতে পারছে না। তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ার কারনে সীমান্তের
শ্রমিত ও দরিদ্র লোকেরা শীত নিবারনের জন্য ফুটপাতের গরম পোষাক ক্রয় করছে। কারন তাদের সামর্থ না থাকায় নতুন কাপরের পরিবর্তে ফুটপাথ থেকে কম দামে শীত বস্ত্র ক্রয় করছে। সরকারি ভাবে কিছু দরিদ্র লোক শীত কম্বল পেয়েছে কিন্তু অনেক দরিদ্র পরিবার এখনো শীত কম্বল পাইনি। সীমান্তের
পাহাড়ি এলাকার অনেক দরিদ্র পরিবার প্রচন্ড শীত নিবারনের জন্য ঘড়ে খড় কুটা জালিয়ে শীত
নিবারনের চেষ্টা করছে। সীমান্তের দরিদ্র পরিবারের লোকদের দাবি শীত নিবারনের জন্য সরকারি ভাবে যেন শীত বস্ত্র দেওয়া হয়। গত ৭ দিন থেকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতায় জন-জীবন অচলাবস্থা হয়ে পরেছে। সেই সাথে শীত জনিত রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে অনেক পরিবারের লোকজন। শীত জনিত রোগের ঔষধ সরকারি হাসপাতালে স্বল্পততার কারনে দরিদ্র রোগিদের বাহির থেকে ক্রয় করতে হচ্ছে। তাই অবিলম্বে দরিদ্র ও ছিন্নমূল পরিবারের লোকদের জন্য শীত বস্ত্র ও সরকারি হাসপাতালে শীত জনিত রোগের ঔষধ প্রদানের জুর দাবি জানিয়েছেন অত্র এলাকার সচেতন মহল।