
নাদিম সরকার,
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষক, বাবা ও মা অনেক পরিশ্রম করে থাকেন, তাই শিক্ষক, বাবা ও মাকে ফুল কিনে দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার।
আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে ২০২২ ও ২০২৩ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস (PBGSI) স্কিমের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক আমাদের বড় স্টেকহোল্ডার। ছাত্রছাত্রীদের রাষ্ট্রের কাছে অনেক চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে। আমরা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত দাবীগুলো সরকারের কাছে উপস্থাপন করতে পারি। রাষ্ট্রের সম্পদের যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে, রাষ্ট্রের সীমিত সম্পদ পরিকল্পিতভাবে যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে এ সকল সমস্যা সমাধান করতে হবে। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে এ সকল কাজ বাস্তবায়নের জন্য নাগরিকদেরকেও এগিয়ে আসার আহবান জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আমাদের অভিভাবকগণ দেশের কয়েকটি ভালো স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তির জন্য প্রতিযোগিতা শুরু করেন। আমাদের দেশের সকল স্কুলগুলোকে মানসম্মত করে গড়ে তুলতে পারলে এসব প্রতিযোগিতা দূর করা সম্ভব। আমরা এমনভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে গড়ে তুলতে চাই, যেখানে ছাত্রছাত্রীরা আকষর্ণীয় পরিবেশ ও তাদের চাওয়া পাওয়ার সকল কিছু বিদ্যমান থাকবে। তাদের মেধার বিকাশের জন্য বিভিন্ন ইভেন্টের ক্লাব থাকবে। সেখানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, উপজাতি, চরাঞ্চলে বসবাসকারী ও বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসকারী উর্দুভাষীদেরকে শিক্ষাগ্রহণের সকল সুযোগসুবিধা বিদ্যমান থাকবে। এছাড়াও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাগ্রহণের জন্য উপযোগী সকল সুযোগসুবিধা বিদ্যমান থাকবে। অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের স্কুল-কলেজে দিয়ে যাতে নিশ্চিন্ত থাকতে পারে সেব্যবস্থা আমাদের গ্রহন করতে হবে।
ড. আবরার বলেন, আমাদের দেশের অভিভাবকগণ কারিগরি শিক্ষায় ছেলেমেয়েদের ভর্তি করতে অনাগ্রহী। কিন্তু বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা গেছে, আমাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব রয়েছে। তাই আমাদের কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে মনোযোগী হতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. খ ম খবিরুল ইসলাম, সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, মোঃ মজিবর রহমান, সচিব (রুটিন দায়িত্ব), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, সৈয়দ মামুনুল আলম, অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, নুজহাত ইয়াসমিন, অতিরিক্ত সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।