Dhaka , Saturday, 13 September 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
রাজবাড়ীর কালুখালীতে ১৯ কেজি গাঁজাসহ ০২ মাদক ব্যবসায়ী র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। মাদক বহনে মাইক্রোবাস জব্দ। স্ত্রী দাবি হত্যা রূপগঞ্জ থানার পাশে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু তদন্তে পুলিশ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সংবর্ধনা হাটহাজারীতে জুনায়েদ বাবুনগরীর জীবন,কর্ম ও অবদান শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাভারে কলা বাগানে ২৪ বছরের নারীকে গণধর্ষণ : তিন জন গ্রেপ্তার, এক জন পলাতক নোয়াখালীতে মাছ ধরার ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বাবুর্চি দগ্ধ পলাশ মাদক প্রতিরোধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  নোয়াখালীতে চালের টিন কেটে ওষুধ দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি দেশনেত্রী খালেদা জিয়া শুধু রাজনৈতিক নেতা নন, গণতন্ত্র-মানবাধিকারের প্রতীক : মতিয়া মাহফুজ জুয়েল নরসিংদীর পলাশে  মুক্তিযোদ্ধার পারিবারিক কবরস্থানের প্রাচীর ভেঙে জমি দখলের  অভিযোগ লালমনিরহাটে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত প্রবীণদের যত্নে নবীনদের এগিয়ে আসতে হবে:- মেয়র শাহাদাত চন্দনাইশে শ্বশুর বাড়ি থেকে স্বামী যাওয়ার পরপরই মিলল স্ত্রীর লাশ কক্সবাজারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ নিয়ে আলোচনা সীতাকুন্ডে হামলা লুটপাট, ইয়াছিন বাহিনীর ভয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ব্যবসায়ী রাজু মির্জাপুরে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর উদ্যোগে এস এস সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি রামগঞ্জ শাখার মাসিক সভা অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জের চুরি করতে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু কালিয়াকৈরে মানসিক অসুস্থ্য আকলিমা (৩৪) ১২ দিন যাবত নিখোজ, পিতা- মাতা উদ্বিগ্ন নোয়াখালীতে ৪২৫ কচ্ছপ উদ্ধার রূপগঞ্জে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির কনফারেন্স অনুষ্ঠিত আওয়ামী স্বৈরাচার দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে : ড. মঈন খান আ.লীগ দেশের শতশত কোটি টাকা লুটপাট করেছে  :  ড. মঈন খান শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হলো না জাবি সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার, বাড়িতে শোকের মাতম জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার – হাসান হাফিজুর গাজীপুরে ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেলেন ৪৭ জন, নাম ঘোষণার পর আবেগে আপ্লুত উত্তীর্নরা  কাউখালীতে ইভটিজিং করার অপরাধে এক যুবককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত মুড়াপাড়ায় সেনাবাহিনীর ঝটিকা অভিযান: ইয়াবা, ফেনসিডিল ও অস্ত্র উদ্ধার ৪৮তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত দুর্গাপুরের কৃতি সন্তান ডা. মিজানুর রহমান,এলাকায় আনন্দের ঢেউ মেধার ভিত্তিতে ১৭ জনের চাকরি, নিয়োগ পেলেন দিনমজুরের সন্তানরাও

লালমনিরহাটে হাসাহাসির মতো তুচ্ছ ঘটনার জেরে সংঘর্ষ, আহত ৫

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 11:36:47 am, Saturday, 8 March 2025
  • 53 বার পড়া হয়েছে

লালমনিরহাটে হাসাহাসির মতো তুচ্ছ ঘটনার জেরে সংঘর্ষ, আহত ৫

তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি 

  

লালমনিরহাটে হাসাহাসির মত একটি তুচ্ছ ঘটনার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে  ৫ জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সালাম “৪০”, তার ছেলে সেজান ও সেজানের বন্ধু রোহান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে “রমেক” চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে  ছুরিকাঘাতে আহত সেজানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

৭ মার্চ “শুক্রবার” সন্ধ্যায় পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড “ডায়াবেটিক হাসপাতাল” এর পাশে সংঘর্ষের ওই ঘটনায় চারজনকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরনবী।

অপর ২ জন আহত ব্যক্তিরা হলেন- সেজানের মা ও সালামের স্ত্রী বিলকিছ ও সালামের বোন। তবে তারা হালকা আঘাত পাওয়ায় বাড়িতেই অবস্থান করছেন।

আটককৃতরা হলেন- জিয়া “২১”, সজীব”২৫”, শাহিন “২৭” ও সৈকত”২০”। তারা সকলেই দক্ষিণ খোর্দ্দ সাপটানা “ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন” এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে।

এলাকাবাসী ও আহত ব্যক্তিদের স্বজনরা জানান, ৭ মার্চ “শুক্রবার” জুম্মার নামাজের পর সেজান এবং রোহান শাহিনকে দেখে হাসাহাসি করেন। ফলে শাহিন ও সেজানের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। সে সময় মসজিদের মুসল্লিরা তাদেরকে শান্ত করে সন্ধ্যায় মীমাংসার প্রস্তাব দেন। পরে সন্ধ্যার দিকে শফিকুলের নির্দেশ পেয়ে জিয়া,সজীব, শাহিন ও সৈকতসহ ৭-৮ জন সালাম, সেজান ও রোহানের উপর ছুরি দিয়ে হামলা চালায় ও আঘাত করে। ওই সময় সালামের স্ত্রী বিলকিস ও সালামের বোন তাদেরকে বাঁচাতে গেলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। এরপর এলাকাবাসীরা আহতদের লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে রমেকে রেফার করেন। তারা এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। খবর পেয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরনবী’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উল্লিখিত ৪ জনকে জনতার হাত থেকে বাঁচান ও তাদেরকে আটক করে থানায় পাঠিয়ে দেন। গুরুতর আহত সেজান মারা গেছেন এই খবর পেয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্দ হয়ে শাহিন ও তার বন্ধু আলামিনের বাসায় ভাঙচুর চালান। তবে সদর থানার ওসি’র সাহসী হস্তক্ষেপে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পরে ওসি’র নির্দেশে পুলিশের আরেকটি দল ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে রাতে সেনবাহিনী সদস্যরা সেখানে এসে এলাকাবাসীকে তাদের বাসায় পাঠিয়ে দেন।

ওই ঘটনায় শফিকুলসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে সদর থানায়  একটি মামলা দায়ের করা হয়।  

স্থানীয়দের অভিযোগ, শফিকুল সুদের বিনিময়ে মানুষকে টাকা ধার হিসেবে দেন। শফিকুল ও তার ছেলেরা বিগত আঃ লীগ সরকারের সময় এলাকায় বিভিন্ন ভাবে প্রভাব বিস্তার করে ও এলাকাবাসীকে নানাভাবে হয়রানি করেন। এলাকার কিছু মানুষের নামে একটি মিথ্যা মামলাও করেন শফিকুল।

সেজানের মা বিলকিস বলেন, “ছেলে ও স্বামীর জন্য দোয়া করবেন। ছেলের বন্ধু রোহানের মা নেই। সে আমার ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও আঘাত পায়। আমি দোষীদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাই।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, “ দুপুরে জুম্মার নামাজের পরে হাসাহাসির মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোরদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। সন্ধ্যায় ছুরি দিয়ে ২ জনকে আঘাত করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। এলাকাবাসী অভিযোগ করায় আমরা ৪ জনকে আটক করি। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর করে। আমরা তাদেরকে নিভৃত করতে সক্ষম হই। আমি রংপুরে কথা বলেছি কেউ মারা যাননি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজবাড়ীর কালুখালীতে ১৯ কেজি গাঁজাসহ ০২ মাদক ব্যবসায়ী র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। মাদক বহনে মাইক্রোবাস জব্দ।

লালমনিরহাটে হাসাহাসির মতো তুচ্ছ ঘটনার জেরে সংঘর্ষ, আহত ৫

আপডেট সময় : 11:36:47 am, Saturday, 8 March 2025

তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি 

  

লালমনিরহাটে হাসাহাসির মত একটি তুচ্ছ ঘটনার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে  ৫ জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সালাম “৪০”, তার ছেলে সেজান ও সেজানের বন্ধু রোহান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে “রমেক” চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে  ছুরিকাঘাতে আহত সেজানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

৭ মার্চ “শুক্রবার” সন্ধ্যায় পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড “ডায়াবেটিক হাসপাতাল” এর পাশে সংঘর্ষের ওই ঘটনায় চারজনকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরনবী।

অপর ২ জন আহত ব্যক্তিরা হলেন- সেজানের মা ও সালামের স্ত্রী বিলকিছ ও সালামের বোন। তবে তারা হালকা আঘাত পাওয়ায় বাড়িতেই অবস্থান করছেন।

আটককৃতরা হলেন- জিয়া “২১”, সজীব”২৫”, শাহিন “২৭” ও সৈকত”২০”। তারা সকলেই দক্ষিণ খোর্দ্দ সাপটানা “ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন” এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে।

এলাকাবাসী ও আহত ব্যক্তিদের স্বজনরা জানান, ৭ মার্চ “শুক্রবার” জুম্মার নামাজের পর সেজান এবং রোহান শাহিনকে দেখে হাসাহাসি করেন। ফলে শাহিন ও সেজানের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। সে সময় মসজিদের মুসল্লিরা তাদেরকে শান্ত করে সন্ধ্যায় মীমাংসার প্রস্তাব দেন। পরে সন্ধ্যার দিকে শফিকুলের নির্দেশ পেয়ে জিয়া,সজীব, শাহিন ও সৈকতসহ ৭-৮ জন সালাম, সেজান ও রোহানের উপর ছুরি দিয়ে হামলা চালায় ও আঘাত করে। ওই সময় সালামের স্ত্রী বিলকিস ও সালামের বোন তাদেরকে বাঁচাতে গেলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। এরপর এলাকাবাসীরা আহতদের লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে রমেকে রেফার করেন। তারা এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। খবর পেয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরনবী’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উল্লিখিত ৪ জনকে জনতার হাত থেকে বাঁচান ও তাদেরকে আটক করে থানায় পাঠিয়ে দেন। গুরুতর আহত সেজান মারা গেছেন এই খবর পেয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্দ হয়ে শাহিন ও তার বন্ধু আলামিনের বাসায় ভাঙচুর চালান। তবে সদর থানার ওসি’র সাহসী হস্তক্ষেপে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পরে ওসি’র নির্দেশে পুলিশের আরেকটি দল ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে রাতে সেনবাহিনী সদস্যরা সেখানে এসে এলাকাবাসীকে তাদের বাসায় পাঠিয়ে দেন।

ওই ঘটনায় শফিকুলসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে সদর থানায়  একটি মামলা দায়ের করা হয়।  

স্থানীয়দের অভিযোগ, শফিকুল সুদের বিনিময়ে মানুষকে টাকা ধার হিসেবে দেন। শফিকুল ও তার ছেলেরা বিগত আঃ লীগ সরকারের সময় এলাকায় বিভিন্ন ভাবে প্রভাব বিস্তার করে ও এলাকাবাসীকে নানাভাবে হয়রানি করেন। এলাকার কিছু মানুষের নামে একটি মিথ্যা মামলাও করেন শফিকুল।

সেজানের মা বিলকিস বলেন, “ছেলে ও স্বামীর জন্য দোয়া করবেন। ছেলের বন্ধু রোহানের মা নেই। সে আমার ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও আঘাত পায়। আমি দোষীদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাই।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, “ দুপুরে জুম্মার নামাজের পরে হাসাহাসির মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোরদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। সন্ধ্যায় ছুরি দিয়ে ২ জনকে আঘাত করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। এলাকাবাসী অভিযোগ করায় আমরা ৪ জনকে আটক করি। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর করে। আমরা তাদেরকে নিভৃত করতে সক্ষম হই। আমি রংপুরে কথা বলেছি কেউ মারা যাননি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।