
চঞ্চল,
যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে লালমনিরহাটে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট জেলা বিএনপির আয়োজনে এক বিশাল ও বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৯টা থেকেই জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জেলা শহরের হাই স্কুল খেলার মাঠে সমবেত হতে থাকেন। সদর উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত হাজারো নেতাকর্মীর হাতে ছিল জাতীয় ও দলীয় পতাকা। সকাল ১১টার মধ্যে পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে এবং এলাকাটি ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’, ‘শহীদ জিয়া অমর হউক’ ও বিজয়ের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
পরে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র্যালিটি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বর্ণকার পট্টি, বিডিআর গেইট, আলোরুপা মোড় ও মিশনমোড় হয়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আসাদুল হাবিব দুলু দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
র্যালি শুরুর আগে সমবেত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন তাঁর পিতা শহীদ আবুল কাশেমসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ‘রাখাল রাজা’ আখ্যায়িত করে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশগঠনে তাঁর অবদানের কথা তুলে ধরেন। বক্তব্যে তিনি বিগত সতেরো বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে গুম ও খুনের শিকার রাজনৈতিক সহকর্মীদের কথা এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদসহ সকল শহীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন।
এ সময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন। একইসাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আসন্ন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান।
বক্তব্যে আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, “আনন্দের বার্তা নিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আগমন ঘটবে তারেক রহমানের। বট বাহিনীরা অপপ্রচার চালিয়েছিল, কিন্তু সমস্ত অপপ্রচারের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। আমি বারবার আপনাদেরকে বলতাম—যেদিন তারেক রহমান বাংলাদেশে আসবে, সেদিন বাংলাদেশে (গণজোয়ারে) ভূমিকম্প হবে।”
র্যালিতে ও সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি লায়লা হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক, সহ-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম ফারুক সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট জিন্নাত ফেরদৌস আরা রোজী ও সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুমান আরা শাপলা, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান ভিপি আনিছ ও সদস্য সচিব হাসান আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুস ছাত্তার এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদুল হক প্রমুখ।

























