
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
রংপুরের একজন বাস মালিক লালমনিরহাটের ২জন মোটর শ্রমিককে ধাক্কাধাক্কি ও চড় থাপ্পড় মেরেছে এমন অভিযোগ তুলে কর্মবিরতিতে আছেন লালমনিরহাট মোটর “বাস” শ্রমিক ইউনিয়ন। ফলে লালমনিরহাট থেকে লোকাল রুটের “রংপুর ও পাটগ্রাম” সকল প্রকার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
১৯ মার্চ “বুধবার” ভোর ৬টা থেকে শ্রমিকরা এই কর্মবিরতি পালন করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে রংপুর কিংবা পাটগ্রাম যেতে তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
সুপারভাইজার বিপ্লব হোসেন অভিযোগের সুরে বলেন, “রংপুরের ড্রাইভার ও স্টাফরা লালমনিরহাটে আসলে তাদেরকে আমরা যথেষ্ট সম্মান করি। তারা কাউন্টারে বা টার্মিনালে বসতে পারে। তারা আমাদের কাছ থেকে অনেক সুযোগ-সুবিধা পান। কিন্তু আমরা রংপুর গেলে ড্রাইভার কিংবা মালিকরা আমাদের বিন্দু পরিমাণ সম্মান দেয় না। আমাদের শ্রমিক বা মালিকরা রংপুরের মালিক ও শ্রমিকদের কর্তৃক নিগ্রহ ও বৈষম্যের শিকার। আমরা এই বৈষম্যের সমাধান চাই। “
ভুক্তভোগী বাস ড্রাইভার আলম বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে রংপুরের সাতমাথায় আমার চাচার যিনি সাফায়েত গাড়ি চালান, তার সাথে তারা সমস্যা করেছে দেখে আমি এগিয়ে যাই। তখন রংপুরের সাদমান বাসের মালিক সাইফুল আমাদের বলেন আমরা লালমনিরহাটের স্টাফরা নাকি মদ খাই, গাঁজা খাই। আমি প্রতিবাদ করতে গিয়েছি দেখে ওই মহাজনের কন্ট্রাক্টর ও স্টাফরা এসে আমাকে মারধর করে। এর বিচার না হলে আমরা বাস চালাবোনা। প্রয়োজনে কুড়িগ্রাম রুটের বাসও চলাচল বন্ধ করা হবে।“
শ্রমিক নেতা নুরনবী বকুল বলেন, “আমাদের তাসনিম গাড়ির ড্রাইভার আলম ও সাফায়াতের ড্রাইভার কালামের সাথে রংপুরের সাতমাথাতে সাদমানের মালিক সাইফুল ও তার স্টাফরা গাড়ি পার্কিং নিয়ে গন্ডগোল করেন। এক পর্যায়ে তারা ধাক্কাধাক্কি ও চড় থাপ্পড় দেন। এছাড়াও রংপুরের মালিক-শ্রমিকরা আমাদের বাস রাত ৮ঃ৩০ এর পর ছাড়তে দেন না অথচ তাদের বাস রংপুর থেকে রাত ১১টা পর্যন্তও চলে। তারা এসে আমাদের কাছে ক্ষমা না চাইলে ও মীমাংসা না করলে আমরা গাড়ি চালাবোনা।“
মালিক সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন মিঠু বলেন, “শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে আছে সেটা আমরা জানি। এখনও মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। সিদ্ধান্ত নেয়া হলে জানাবো।“
লালমনিরহাট থেকে রংপুর যাবেন যাত্রী সাজিদ আহমেদ, তিনি বলেন, “বাস স্ট্যান্ডে এসে দেখি বাস চলছেনা ফলে আমরা বেশ কয়েকজন যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছি। এখন ট্রেনও নাই। আর অটোতে গেলে ভেঙে ভেঙে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে বাড়তি খরচ হবে। আশাকরি শ্রমিক ভাইরা যাত্রীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে বাস চালু করবেন।“