Dhaka , Saturday, 21 December 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে স্কুলের সভাপতি নির্বাচনে উপদেষ্টার পিএস’র হস্তক্ষেপের অভিযোগ।। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় ফেয়ার মিশনের আয়োজনে মাদক বিরোধী র‌্যালী ও আলোচনা সভা।। জাতীয় ইমাম পরিষদের পৌর শাখার পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন সভাপতি আশরাফুল-সেক্রেটারি কাদির।। সোনাইমুড়ীতে হোসেনপুর ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদরাসার উদ্বোধন।। ১৫ বছরের অবরুদ্ধ সাংবাদিকতার অবসান ঘটেছে- ফয়েজ আহম্মদ।। ভারত বাংলাদেশ থেকে লাথি খেয়ে চলে গেছে বাকা চোখে তাকালে চোখ তুলে ফেলব- ইসহাক খন্দকার।। উখিয়ায় প্রকাশ্যে পাহাড় কাটছে ইউপি সদস্য।। ২৯০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-গুলশান।। সংঘর্ষ নয় অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে সাদপন্থীরা- মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী।। সংবাদপত্র, মিডিয়াকে মাফিয়া ফ্যাসিবাদীদের কবল থেকে রক্ষা করে নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দেয়া প্রয়োজন।। চাকা পাংচার হয়ে এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু।। হেফাজতের হাটহাজারী শাখার কর্মী সম্মেলন সম্পন্ন।। একুশে পাঠচক্রের নিয়মিত আসর অনুষ্ঠিত।। পাইকগাছায় শেখ ইমাম উদ্দিন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত।। রূপগঞ্জে কর্মহীন যুবদের আত্মকর্মসংস্থানে আয়বর্ধকমূলক প্রশিক্ষণ।। রাজশাহীতে চলছে বই মেলা।। সদরপুরে আব্দুল কাদের মোল্লার জীবন ও কর্ম বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।। লক্ষ্মীপুরে মাকে বেঁধে রেখে তরুণীকে ধর্ষণায় ঘটনায় ২ ধর্ষক গ্রেফতার।। মানুষের স্বাধীনতা ও ন্যায় বিচার বার বার লঙ্ঘিত হয়েছে-মোস্তফা কামাল।। রূপগঞ্জে বিশ্ব ইজতেমায় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ।। রূপগঞ্জ পূর্বাচলে খেতে এসে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত।।  কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসীদের উদ্যোগে ২শ পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ।। পাইকগাছায় উপজেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান।। বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয় সভা।। সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যাকাণ্ডে এসএমপির সাবেক এডিসি দস্তগীর ৫ দিনের রিমান্ডে।। রূপগঞ্জে তিতাসের উচ্ছেদ অভিযান।। আমীরে জামায়াতের আগমন উপলক্ষে কপিলমুনি বাজারে পথসভা।। রামগঞ্জে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ।। ঠাকুরগাঁওয়ে সাদ পন্থীদের শাস্তি ও‌ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ।। পাবনায় ট্রলির চাপায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত।।

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় সর্বশান্ত হয়েছে ৩ লাখ কৃষক।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 06:48:51 am, Tuesday, 8 October 2024
  • 29 বার পড়া হয়েছে

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় সর্বশান্ত হয়েছে ৩ লাখ কৃষক।।

মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি।।
   
   
এবারের ভয়াবহ বন্যায় লক্ষ্মীপুরে  ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে প্রায় তিন লাখ মানুষ।  সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও মৎস্য খাতে। এই দুই খাতেই ক্ষতি হয়েছে ৮৭০ কোটি টাকা। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জেলার রামগতি ও রামগঞ্জ উপজেলায়। 
এ ছাড়া বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। তার মধ্যে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন প্রায় তিন লাখ কৃষক। বন্যার দুই মাস পার হলেও এখনো ৫টি উপজেলায় প্রায় দুই  লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। 
স্থানীয় লোকজন জানান, গত ২০ বছরের মধ্যে এত পানি আর জলাবদ্ধতা এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্যা দেখেনি লক্ষ্মীপুরের মানুষ। বন্যার দুই মাস পার হলেও অনেক এলাকা থেকে এখনো পানি নামেনি। এখন পর্যন্ত রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর হাঁটু পরিমাণ পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এদিকে গত দুদিনের বৃষ্টিতে কিছু কিছু এলাকায় আবার জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পেয়েছে। 
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হয় টানা বৃষ্টি ও বন্যা। এতে জেলার রামগতি, রামগঞ্জ ও কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে একের পর এক গ্রাম ও শহর পানিতে তলিয়ে যায়। বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েন পাঁচ উপজেলার লাখ লাখ মানুষ। ভেসে যায় ৫০ হাজার পুকুর ও ঘেরের ২৫০ কোটি টাকার মাছ। তলিয়ে যায় আমনের বীজতলা-আবাদসহ ৬০ হাজার হেক্টর জমির ফসল। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা। 
এ ছাড়া পানির তোড়ে ২০০টি ব্রিজ-কালভার্ট এবং কাঁচাপাকা ২ হাজার ৭৫০ কিলোমিটার সড়ক ভেঙে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। অপরদিকে ৯ হাজার ৮৭০ কিমি বিদ্যুৎ লাইন ও ১০১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৩০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এ ছাড়া ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৫৬টি গবাদিপশু ভেসে যাওয়াসহ বন্যায় মারা গেছে। সব মিলিয়ে জেলায় বন্যায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। এতে ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতির শিকার হন। এর মধ্যে পুঁজিসহ সব হারিয়ে নিঃস্ব তিন লাখ কৃষক ও চাষি। কীভাবে সামনের দিনগুলোতে ঘুরে দাঁড়াবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে বানবাসী এসব মানুষের। 
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া বলেন, ‘৩০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এবারের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ক্ষতির শিকার প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। এর মধ্যে কৃষকই তিন লাখ। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে। কাজ করে যাচ্ছি।’ 
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, আমন আবাদসহ মোট শস্যখেত রয়েছে ৯০ হাজার ৫৭৪ হেক্টর জমি। এর মধ্যে বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ৫৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির ফসল। যার ক্ষয়ক্ষতি ৬৩৩ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। 
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসনের কাজ চলছে। পাশাপাশি খালগুলোর বাঁধ অপসারণ ও দুপাড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বহুতল ভবন উচ্ছেদ করে পানি চলাচল স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও মৎস্য খাতে। 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

চট্টগ্রামে স্কুলের সভাপতি নির্বাচনে উপদেষ্টার পিএস’র হস্তক্ষেপের অভিযোগ।।

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় সর্বশান্ত হয়েছে ৩ লাখ কৃষক।।

আপডেট সময় : 06:48:51 am, Tuesday, 8 October 2024
মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি।।
   
   
এবারের ভয়াবহ বন্যায় লক্ষ্মীপুরে  ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে প্রায় তিন লাখ মানুষ।  সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও মৎস্য খাতে। এই দুই খাতেই ক্ষতি হয়েছে ৮৭০ কোটি টাকা। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জেলার রামগতি ও রামগঞ্জ উপজেলায়। 
এ ছাড়া বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। তার মধ্যে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন প্রায় তিন লাখ কৃষক। বন্যার দুই মাস পার হলেও এখনো ৫টি উপজেলায় প্রায় দুই  লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। 
স্থানীয় লোকজন জানান, গত ২০ বছরের মধ্যে এত পানি আর জলাবদ্ধতা এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্যা দেখেনি লক্ষ্মীপুরের মানুষ। বন্যার দুই মাস পার হলেও অনেক এলাকা থেকে এখনো পানি নামেনি। এখন পর্যন্ত রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর হাঁটু পরিমাণ পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এদিকে গত দুদিনের বৃষ্টিতে কিছু কিছু এলাকায় আবার জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পেয়েছে। 
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হয় টানা বৃষ্টি ও বন্যা। এতে জেলার রামগতি, রামগঞ্জ ও কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে একের পর এক গ্রাম ও শহর পানিতে তলিয়ে যায়। বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েন পাঁচ উপজেলার লাখ লাখ মানুষ। ভেসে যায় ৫০ হাজার পুকুর ও ঘেরের ২৫০ কোটি টাকার মাছ। তলিয়ে যায় আমনের বীজতলা-আবাদসহ ৬০ হাজার হেক্টর জমির ফসল। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা। 
এ ছাড়া পানির তোড়ে ২০০টি ব্রিজ-কালভার্ট এবং কাঁচাপাকা ২ হাজার ৭৫০ কিলোমিটার সড়ক ভেঙে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। অপরদিকে ৯ হাজার ৮৭০ কিমি বিদ্যুৎ লাইন ও ১০১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৩০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এ ছাড়া ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৫৬টি গবাদিপশু ভেসে যাওয়াসহ বন্যায় মারা গেছে। সব মিলিয়ে জেলায় বন্যায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। এতে ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতির শিকার হন। এর মধ্যে পুঁজিসহ সব হারিয়ে নিঃস্ব তিন লাখ কৃষক ও চাষি। কীভাবে সামনের দিনগুলোতে ঘুরে দাঁড়াবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে বানবাসী এসব মানুষের। 
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া বলেন, ‘৩০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এবারের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ক্ষতির শিকার প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। এর মধ্যে কৃষকই তিন লাখ। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে। কাজ করে যাচ্ছি।’ 
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, আমন আবাদসহ মোট শস্যখেত রয়েছে ৯০ হাজার ৫৭৪ হেক্টর জমি। এর মধ্যে বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ৫৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির ফসল। যার ক্ষয়ক্ষতি ৬৩৩ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। 
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসনের কাজ চলছে। পাশাপাশি খালগুলোর বাঁধ অপসারণ ও দুপাড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বহুতল ভবন উচ্ছেদ করে পানি চলাচল স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও মৎস্য খাতে।