
অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টার
দেশে দিনে দিনে মৌমাছি চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। মৌমাছি চাষে খরচ কম- লাভ বেশি । মৌমাছি থেকে মধু সংগ্রহ করে অনেক মানুষের ভাগ্য বদলে গেছে । বাংলাদেশে বানিজ্যিক ভাবে মৌমাছি পালন করে মধু সংগ্রহ বেড়েছে। মৌমাছি থেকে মধু সংগ্রহ করা হাজার হাজার মানুষ পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে। মৌমাছি পালন করতে আলাদা কোন জায়গার প্রয়োজন হয় না। সেই সাথে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্হার দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরন হয়েছে।
দেশে মৌমাছি চাষ বৃদ্ধির ফলে অধিক মধু উৎপাদনে মধ্য দিয়ে দেশে খাঁটি মধুর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে । নিয়মিত বিশুদ্ধ মধু সেবনের মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মৌমাছি চাষের কারনে মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরনের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হযেছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মৌমাছি চাষ করে হাজার হাজার মানুষেমানুষের কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা হয়েছে। এক সময় মৌমাছি বনে- জঙ্গলে-গাছের ডাল- গাছের কোঠরে- মাটির দেওয়াল সহ বিভিন্ন জায়গায় মৌচাক তৈরি করতো । বর্তমানে জ্ঞান-বিজ্ঞানে ফলে মৌমাছি পালন সহজসাধ্য হয়েছে। কাঠের বাক্সে এখন মৌমাছি পালন করা হচ্ছে।
মির্জাপুরের রামপুর, গাজেশ্বরী এলাকায় মৌমাছির পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ঠান্ডু মিয়া। মৌমাছি পালন করে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করছেন। ঠান্ডু মিয়া বিশ বছর ধরে মৌমাছি পালন করে মধু সংগ্রহ করে যাচ্ছেন । সরিষা চাষের সময় মির্জাপুর এলাকায় বসবাস করেন। কালীজিরা চাষের সময় শরীয়তপুর এলাকায়, লিচুর সময় রাজশাহী, নাটোর ও গাজীপুরের একাংশ মৌমাছি নিয়ে মধু সংগ্রহের জন্য তিনি চলে যায়। ঠান্ডু মিয়ার বর্তমানে ১২০ টি বক্স আছে। ঠান্ডু মিয়ার সাথে ৫/৬ জন লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্হা করেছে। ঠান্ডু মিয়া জানান, এক স্হান থেকে অন্য স্হানে বক্সে করে মৌমাছি নিয়ে যাবার সময় পুলিশের হয়রানি স্বীকার হতে হয়।
মির্জাপুরের গাজেশ্বরী মৌমাছি পালনকারী জালাল মিয়া, তরফপুর গ্রামে মৌমাছি পালন কারী রাকিব হোসেন মৌমাছি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেক সময় সরিষা চাষির মনে করেন মৌমাছি সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ করলে তাদের উৎপাদন কম হবে। পরাগায়নের কারনে ফসলের উৎপাদন বাড়ে। কৃষকেরা এ সব তথ্য না জানার ফলে অনেক কৃষক সরিষা ক্ষেতের কাছে মৌমাছির বক্স বসাতে আপওি করেন।
দেশে মৌমাছি চাষ বৃদ্ধির ফলে অধিক মধু উৎপাদনের মধ্য দিয়ে দেশে খাঁটি মধুর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে । নিয়মিত বিশুদ্ধ মধু সেবনের মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মৌমাছি চাষের কারনে মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরনের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হযেছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মৌমাছি চাষ করে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা হয়েছে। এক সময় মৌমাছি বনে, জঙ্গলে, গাছের ডাল, গাছের কোঠরে, মাটির দেওয়াল সহ বিভিন্ন জায়গায় মৌচাক তৈরি করত । বর্তমানে জ্ঞান-বিজ্ঞানে ফলে মৌমাছি চাষ সহজসাধ্য হয়েছে। কাঠের বাক্সে এখন মৌমাছি পালন করা হচ্ছে।
ড. চিওরঞ্জন রায় জানান, মৌমাছি চাষীদের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রশিক্ষনের ব্যবস্হা করা, মৌমাছির উন্নত জাত সরবরাহ করা, ঋণের ব্যবস্হা করা, মধুর বাজারজাত করনের ব্যবস্হা করে বেকার সমস্যার সমাধান ও কর্মসংস্থানে সৃষ্টি হবে। মৌমাছি চাষ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ক্ষেএ তৈরি হতে পারে।
সাংবাদিক উৎপল রক্ষিত জানান, মৌমাছি চাষ করলে পুজি কম লাগে, লাভ বেশি হয়। মধুর চাহিদা বৃদ্ধির ফলে দেশে মৌমাছি পালন বৃদ্ধি পেয়েছে।
অল্প বিনিয়োগে ও ফসল ক্ষেতে মৌমাছি চাষ করে অনেক মানুষ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে। অল্প খরচে মধু উৎপাদন করে বেশি দামে মধু বিক্রি করা যায়। মধু বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়। মৌমাছি চাষ করে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব। পরিকল্পিতভাবে মৌমাছির চাষ করে অনেকে মানুষ লাভবান হচ্ছে। এতে অর্থনীতির গুরুত্ব বৃদ্ধি পাশাপাশি বেকার সমস্যা সমাধান ও কর্মসংস্হান সৃষ্টির সুযোগ হয়েছে। মৌমাছির চাষ নতুন অর্থনৈতিক খাত হিসেবে গণ্য হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র হিসেবে মৌমাছি চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের অনেক বেকার যুবক মৌমাছি চাষ করে নিজের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করছে।
দেশের মানুষের খাঁটি মধু খেতে পারছেন। বাজারে যে সব মধু বিক্রি হয় সেখানে প্রায় ভেজাল ও চিনি মিশ্রিত মধু বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশে ভারতীয় জাতের মৌমাছি ও অ্যাপিল মেলিফেরা প্রজাতির মৌমাছি বেশি পালন করা হয়। বংশ বৃদ্ধিকালে বাচ্চা ঘরে নতুন ফ্রেম দিতে হবে। ক্রুটিপুর্ন রাণী মৌমাছি সরিয়ে নতুন রাণী মৌমাছি সংযোজন করতে হবে। মৌমাছির সংখ্য বেশি হলে বাক্সের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
শীতকালে সরিষা ফুল ফুটে। ফলে শীতকালে বেশী মধু উৎপাদন হয়। শীতকালে বাক্সের উপর পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা প্রয়োজন।
বর্তমানে মৌমাছি চাষ বেশ লাভ জনক। অল্প সময়ে দ্রুত আয় করতে মৌমাছি চাষ ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মৌমাছি পালন করে মধু সংগ্রহ করে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভর।