হোসাইন রুবেল ভোলা :
বাংলাদেশের বিখ্যাত দ্বীপ জেলা ভোলায় বিজয় দিবস উপলক্ষে পথে পথে বিক্রি হচ্ছে লাল সবুজের পতাকা। বিজয়ের মাস এলে পরেই শহর থেকে গ্রামে হাট বাজারে দেখা মেলে পতাকা বিক্রেতাদের। তারা বিক্রি করে নানা আকারের পতাকা এবং এর লোগো সংবলিত মাথা ও হাতে বাঁধার ব্যান্ড। পতাকার মধ্যে বর্তমান লাল-সবুজ জাতীয় পতাকা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন লাল-সবুজের মাঝে হলুদ মানচিত্র আঁকা পতাকাও।
পতাকা বিক্রেতাদের সূত্রে জানা গেছে, ৬ ফুটের পতাকা তিনি বিক্রি করছেন প্রতি পিচ ১৫০ টাকা, ৫ ফুট ১০০ টাকা, সাড়ে ৩ ফুট ৮০ টাকা, আড়াই ফুট ৫০ টাকা, দেড় ফুট ৩০ টাকা আর ১ ফুট ২০ টাকা এবং ফিতা আর ব্যান্ড বিক্রি করছেন ১০ টা। প্রতিদিন এক একজনে ১৫০০ থেকে ২০০ হাজার টাকার পতাকা বিক্রি করছেন।
স্থানীয়রা বলেছেন, বিজয়ের মাসে অনেকেই বাড়ির ছাদে, শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সামনে এমনকি গাড়িতেও জাতীয় পতাকা ওড়ান। এর ফলে বিজয়ের মাস এলেই জাতীয় পতাকার চাহিদা বেড়ে যায়। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জাতীয় পতাকা বিক্রি করছেন। শুধু পতাকা নয়, হাতে ও মাথায় বাঁধার মতো লাল-সবুজ ব্যাচও বিক্রি করছে। আর ১৬ ডিসেম্বরে লাল-সবুজ পতাকা হাতে দেখা মেলে অসংখ্য শিশু-কিশোরদের
মো.জাকির নামে এক পতাকা বিক্রেতা প্রায় ১০ ফুট লম্বা একটি কঞ্চিই বাঁশের সাথে বড় ছোট আকারের পতাকা নিয়ে হরহামশায় ঘুরে বেড়ায় শহর থেকে গ্রামে। কাঁধে ঝোলানো রয়েছে পতাকা ভর্তি ব্যাগ। আর মৃদু বাসাতে পতাকা গুলো উড়ছে। সারাদিন ঘুরে পতাকা বিক্রি করতে কষ্ট হলেও গর্ববোধ করেন এই পতাকা বিক্রেতা। তিনি বলেন কুমিল্লা লালমাই এলাকা থেকে পতাকা বিক্রি করতে ভোলায় এসেছেন। রাস্তায় ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করে তেমন বেশি লাভ হয় না। তারপরও স্বাধীনতা ও বিজয়ের মাস এলেই পতাকা বিক্রি করেন তিনি। মাস শেষ হলেই আবার অন্য পেশায় যুক্ত হয় বলে এই পতাকা বিক্রেতা জানিয়েছেন।
একই এলাকার পতাকা বিক্রেতা মুজিবুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্ম না হলেও পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কিছুটা জেনেছি। মাত্র ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। লাল-সবুজের এই পতাকা অর্জনের ইতিহাস ভুলে যাবার মতো নয়। এই বিজয় নিশান কাঁধে নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে ভালোই লাগে। ছোট-বড় সকলেই পতাকা কিনছেন।