পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার দাপট রয়েছে। এমন আবহাওয়া আরও কয়েকদিন চলবে, ফলে এবার ঈদও হতে পারে বৃষ্টিভেজা।
গত কয়েকদিনে গরমের অস্বস্তি কমেছে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বর্ষণে।
ঈদের সময় তেমন বর্ষণ না থাকলেও এক পশলা বৃষ্টি থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন।
বাংলাদেশে বুধবার চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর হবে। আর চাঁদ দেখা না গেলে ঈদ হবে শুক্রবার।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, “ঈদের দিন সকালে ও বিকালে বৃষ্টি হতে পারে। তবে ভারি বর্ষণের তেমন আভাস নেই; হতে পারে এক পশলা বৃষ্টি। রাজধানীতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। রংপুর ও সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে বেশি।”
তিনি বলেন, বৈশাখের শেষে ও জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরুতে যে বৃষ্টি হয়, তাতে কালবৈশাখীরও দাপট থাকে বলে তেমন প্রস্তুতি রাখা উচিৎ।
১৪-১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।
“১৬ এপ্রিলের পর বৃষ্টির প্রবণতাও কমবে; তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে থাকবে।”
মঙ্গলবার ২৯ বৈশাখে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে টাঙ্গাইলে ৭৮ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয় ৩৪ মিলিমিটার।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকাসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্র বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে সারাদেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে এবং বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।