
মোঃ রাকিবুল হাসান
(শেরপুর) প্রতিনিধি।।
শেরপুর জেলার সীমান্ত অঞ্চলে প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ প্রাকৃতিক বৈরী আবহাওয়ার কারনে নানা জাতের ফসলের ক্ষতি সহ জন-জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। গত কয়েক দিন থেকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে শীতের সাথে যুক্ত হয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। যে কারনে শীতের তীব্রতায় জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। সূর্যের আলো দেখা মিলছে না কয়েদিন যাবৎ। ঘন কুয়াশার কারনে বোর বীজ তলার বীজ ও নানা জাতের সবজী ব্যপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। ব্যপক কুয়াশা পরার কারনে আলু, ফুল কপি, বাধা কপি, সীম, বরবটি, করলা, লাউ, শসা সহ বোর জ¦ালা (চারা) নষ্ট হতে চলেছে। অনেক কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসল কুয়াশার ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে কুয়াশার বিষ প্রয়োগ করছে। এতে অত্র এলাকার কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পরছে। উল্লেখ্য উঠতি ফসল সরিষারও আংশিক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না। মানুষের জীবনে সাধারন কাজ কর্মে নেমে এসেছে স্থবিরতা। তীব্র শীতের কারনে দরিদ্র শ্রমিকরা কাজ কর্ম করতে পারছে না। তীব্র শীতের কারনে নানা রকম শীত জনিত রোগে আক্রমন বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকাশ থাকে যে শেরপুর জেলার সিংহ ভাগ লোক কৃষি ফসলের উপর নির্ভরশীল তাই সিংহ ভাগ পরিবারের কৃষকেরা নানা জাতের সবজী চাষাবাদ করে থাকে। বর্তমানে অনেক দরিদ্র চাষির উৎপাদিত নানা জাতের সবজীর ক্ষতির মূখে পরেছে, এই বৈরি আবহাওয়ার কারনে। প্রান্তিক ও দরিদ্র চাষিদের অল্প জমি হওয়ার কারনে তারা বছর জুরেই নানা জাতের সবজী চাষ করে থাকে। এই সবজী চাষের উৎপাদিত সবজী বিক্রি করে তাদের জীবন জীবিকা চালায়। কিন্তু এই বছর হঠাৎ এই বৈরী আবহাওয়ার কারনে তাদের উৎপাদিত সবজীর ব্যপক ক্ষতি হওয়ায় দরিদ্র কৃষকেরা হতাশ হয়ে পরেছে। পাশাপাশি বোর বীজ তলার বীজ (চারা) নষ্ট হওয়ায় বোর চাষিরাও সংকিত হয়ে পরেছে। প্রকৃতির এমন বৈরী আচরনে ফসল সহ জন জীবনে চরম দূর্ভোগ নেমে এসেছে।