
রাহাদ হাসান মুন্না,তাহিরপুর।।
ভাটির জনপদ হাওর বেষ্টিত এলাকা সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তবর্তী পর্যটন কেন্দ্র খ্যাত (বড়গোপ) বারেকটিলায় বসবাসরত ৪৩টি পরিবার পানির জন্য হাহাকার।বড়গোপ টিলার নীচে ঘেঁষে বয়ে গেছে সীমান্ত নদী যাদুকাটা। এর নিচে সমতল ভূমিতে বসবাস করা পরিবারগুলো পানির কষ্ট না পোহালেও টিলার উপর বসবাস করা পরিবারগুলো পানির জন্য হাহাকার করছেন।‘শুষ্ক মৌসুমে’এই সংকট আরো চড়ম ভাবে দেখা দেয়।এসময় সীমান্তের ওপার থেকে নালা দিয়ে বেয়ে আসা পানির সরবরাহ কমে যায়।এ সমস্যা কয়েক যুগ ধরে চললেও নিরসনে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
‘জানাগেছে, ১৯৪২ সালের দিকে বড়গোপ টিলায় ১৩টি ক্ষুদ্রনৃগোষ্টি পরিবার প্রথম বারের মতো বসতি গড়ে তুলেন।পরে আরও নতুন করে অনেক পরিবার যুক্ত হতে থাকেন।বর্তমানে সেখানে ৩৩টি ক্ষুদ্রনৃগোষ্টি ও ১০টি বাঙালি পরিবারসহ ৪৩টি পরিবারের বসবাস করেন।পানির সংকট থাকায় টিলাজুড়ে কোথায়ও শাক-সবজির বাগানের দেখা যায় না।যদিও ২০০৮ সালে এখানে একটি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছিল।কিন্তু প্রথম থেকেই এটি অকার্যকর ছিলো।’
বড়গোপ টিলার বাসিন্দা মালবিকা আজমি বলেন,‘স্বামী বাহিরে থাকার কারণে পরিবারের সব কাজ আমাকে একাই সামলাতে হয়।চাইলেও এতদূর হেঁটে গিয়ে পানি সংগ্রহ করতে পারিনা। তাই নিরুপায় হয়ে টাকা দিয়ে পানি কিনে প্রয়োজন মেটাচ্ছি।এক কলস পানি ২০ টাকা এবং এক ড্রাম পানি ১০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।
তৃপ্ত বনোয়ারী আক্ষেপ নিয়ে বলেন,‘এমনিতেই টিলাজুড়ে পানির জন্য হাহাকার লেগেই থাকে।তার উপর নালার পাশে লোকজন গর্ব চড়ায়। কেউ কেউ মলমূত্রও ত্যাগ করে। কিন্তু আমরা নিরুপায়।এই পানিই ছেঁকে খাবার পানির প্রয়োজন মেটাচ্ছি।
স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য সুষমা জাম্বিল বলেন,‘৫০০ ফুট উঁচু টিলায় ওঠানামা করে পানি সংগ্রহ করা খুবই কষ্টকর। তাই মানবিক ও স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় এখানে মোটরের সাহায্যে পানির সংকট নিরসনের দাবি জানাচ্ছি।’
‘তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন,বারেক টিলায় বসবাসরত পরিবার গুলো পানির সংকটে রয়েছেন আমি শুনেছি তাদের এই সমস্যা দ্রুতভাবে সমাধান করা হবে।’