
সোমনাথ সেন শুভ ,পটিয়া প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের দুই হোতাকে গ্রেফতার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। ভুক্তভোগীর অভিযোগের মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
গতকাল রবিবার -৯ মার্চ- ভোর রাতে উপজেলার পটিয়ার বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশে অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতরা হলেন—পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মনসা গ্রামের ফয়েজ আহম্মদ মাষ্টার বাড়ির মোঃ আবুল কালামের পুত্র আবুল কাশেম হৃদয় -২৪- এবং জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের মুন্সি বাড়ির আবুল কাশেমের পুত্র এনামুল হক ইমরান -২৪-।
পুলিশ জানায়, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া অংশে সিএনজি অটোরিকশা ব্যবহার করে ব্যারিকেড তৈরি করে যাত্রীবাহী যানবাহন থামিয়ে চালক ও যাত্রীদের খুন-জখমের ভয় দেখিয়ে নগদ অর্থ ও মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নিত।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, গত ২ মার্চ রাত ৩টার দিকে কক্সবাজারগামী একটি মাইক্রোবাসকে থামিয়ে এ চক্রের সদস্যরা চালক শাহা জালালের -৪৫- কাছ থেকে নগদ ৬ হাজার ৫০০ টাকা, একটি মোবাইল ফোন ও মাইক্রোবাসের রোড পারমিট, ট্যাক্স টোকেন এবং ফিটনেস সনদপত্র ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার শিকার শাহা জালাল কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার হাজী নুরুল আলমের পুত্র।
ঘটনার পরই শাহা জালাল পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ -ওসি- আবু জায়েদ মোঃ নাজমুন নূরের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ওবায়েদ উল্লাহ নয়নসহ পুলিশের একটি টিম দ্রুত অভিযানে নামে। মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাইকারী চক্রের দুই হোতাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা -রেজি নং: চট্টগ্রাম থ–১৪–৮১৮৪- ১টি স্টিলের চাকু, অভিযোগকারী মাইক্রোবাসের রোড পারমিট, ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস সনদপত্র উদ্ধার করা হয়।
পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে এনামুল হক ইমরান -২৪- ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তিনি আদালতে জানান, তারা আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে একই কৌশলে বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ -ওসি- আবু জায়েদ মোঃ নাজমুন নূর বলেন, “ভিকটিমের অভিযোগ পাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যেই ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।