
নেত্রকোণা প্রতিনিধি।।
স্বাক্ষর জালিয়াতি, এমনকি কৈাশলে জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ করে পেশায় কৃষক হলেও তাদের নাম দেয়া হয়েছে মৎসজীবি সমিতিতে, নেয়া হয়েছে জলমহাল উন্নয়ন ইজারা। যে বিষয়ে কিছুই জানেন না স্থানীয় অন্যান্য মৎসজীবি সহ ভুক্তভোগী ১০ কৃষক।
কৃষকরা হলেন, শৈলেন্দ্র বর্মন, রাজু বর্মন, আনন্দ বর্মন, পলাশ বর্মন, বিকাশ দাস, লিটন বর্মন,পরিতোষ বর্মন, জগদীশ চন্দ্র দাস, নেপাল বর্মন, রুপন বর্মন।
জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার ২ নং চাকুয়া ইউনিয়নের শালদীঘা ফরিদপুর গ্রামে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে উপজেলার বানীচাপুর জলমহালটি ১৪২৯ হতে১৪৩৪ বাংলা সনের জন্য ০৬ (ছয়) বৎসরের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে উপজেলার মৎস্য কন্যা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি তাদের কোন সদস্যকে না জানিয়ে সভাপতির স্বাক্ষর সহ সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে ১০ কৃৃষকের নাম পরিচয় জমা প্রদান করে সম্পূর্ণ বে-আইনি ও অবৈধভাবে অসহায় গরীব জেলেদের অধিকার হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ দিকে না জানিয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নিজেদের স্বাক্ষর ও জাতীয় পরিচয় পত্র জমা দেয়ায় শৈলেন বর্মন, রাজু বর্মন, জগদীশ চন্দ্র দাস সহ বিক্ষুব্ধ ১০ কৃষক নোটারী পাবলিক নেত্রকোনা বরাবর স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে গত ১৮ এপ্রিল এফিডেভিট করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খালিয়াজুড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম আরিফুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা শিকার করে বলেন এ বিষয়টা নিয়ে আমরা এখন ভাবতেছি না, তবে তদন্ত চলছে। অভিযোগটি হয়েছে জেলা প্রশাসক বরাবরে।