
আমিরুল হক, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ।।
সপ্তম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নীলফামারীর সদর উপজেলা কুন্দপুকুর ও ইটাখোলা ইউনিয়নে শান্তি পূর্ণভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কুন্দপুকুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকি (নৌকা) ও ইটাখোলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হেদায়েত আলী শাহ ফকির (আনারস) জয় লাভ করেছে।
সোমবার (৭ ফেব্রæয়ারী) ভোট গ্রহনের পর রাতে ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আফতাব উজ্জামান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী কুন্দপুকুর ইউনিয়নে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকি (নৌকা) প্রার্থী ৭ হাজার ১২৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ গোলাম মোস্তফা (চশমা) পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৬ ভোট, শাহাজাহান আলী চৌধুরী (মটরসাইকেল) পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৪০ ভোট, আজগার আলী (আনারস) ২ হাজার ৬৮২ ভোট ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মোঃ দুলাল (হাতপাখা) পেয়েছেন ৪১০ ভোট।
অপরদিকে ইটাখোলা ইউনিয়নে নৌকা বিদ্রোহী প্রার্থী হেদায়েত আলী শাহ ফকির (আনারস) ৯ হাজার ৬৯ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাফিজুর রশিদ প্রামানিক মঞ্জু (নৌকা) পেয়েছেন ৬ হাজার ২৯৩ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী সুজিত কুমার চৌধুরী (ঘোড়া) পেয়েছেন ১ হাজার ৬২৪ ভোট, জাহাঙ্গীর আলম নান্টু (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ১ হাজার ৫৭৮ভোট ও জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ আবু সাঈদ (গোলাপ ফুল) পেয়েছেন ১৬৯ ভোট।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তি পুর্ণ করতে প্রত্যেক কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, তিনটি স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন ছিল। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪২ জন ।
নীলফামারীর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, সীমানা জটিলতা মামলার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ১১ বছর পর এই সপ্তম ধাপে নীলফামারীর এ দুইটি ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।