Dhaka , Sunday, 2 November 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
লক্ষ্মীপুরে “”রামগঞ্জের পথে”” নামক সংগঠনের মাদক বিরোধী ব্যতিক্রম উদ্যোগ ঈদগাঁও বাজারে পচা মাছ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য! জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকিতে দুষ্টচক্রের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের ক্ষোভ — কঠোর আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা ; আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয়, ফ্যাসিস্ট সংগঠন: হাসনাত আবদুল্লাহ লাইসেন্স প্রদান করে মহাসড়কে অটোরিকশা চালানোর সুযোগ দেওয়া হবে —  মো.হুমায়ুন কবির খাঁন  মিথ্যা মামলায় আ.লীগের ১১ বছর জেলে কেটেছে যুবদল কর্মি মিজুর পিস্তল ঠেকিয়ে স্বর্ন গয়না ছিনতাই এর মূলহোতা’ডন শরীফ’র‍্যাব হেফাজতে। ফরিদপুরে ৫৪ তম জাতীয় সমবায় দিবস- ২০২৫ অনুষ্ঠিত। সরাইলে তরী বাংলাদেশ এর মতবিনিময় সভা ‘নতুন বাংলাদেশ গড়বে জনগণ’ আড়াইহাজারে বিএনপি’র জনসভায় মাহমুদুর রহমান সুমন। মধুপুরে ৫৪ তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০২৫ উদযাপন। খুলনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৫৪’তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন পাইকগাছায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ পাইকগাছায় জাতীয় সমবায় দিবস পালিত গাজীপুরে বিএনপির মনোনয়ন পেতে হেভিওয়েট প্রার্থীদের ব্যাপক দৌড় ঝাঁপ “বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির স্বর্গভূমি,” নিকট প্রতিবেশী ভারত-মিয়ানমারের দিকে তাকালেই তা স্পষ্ট: ধর্ম উপদেষ্টা মির্জাপুরে আরপি সাহার ১২৯ তম জন্ম জয়ন্তী পালন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু সরকারের রাজস্ব আদায়ে দলিল লেখকগন অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে কাউকে গ্রীন সিগন্যাল দেয়নি, গুজবকারীদের জন্য আসছে রেড সিগনাল:- হুম্মাম কাদের  লালমনিরহাটে ১৫ বিজিবি’র অভিযানে ১১ লাখ টাকার গরু ও মাদক জব্দ সার পাচার রুখতে তৎপর ১৫ বিজিবি: সীমান্তের ৩ অভিযানে উদ্ধার ২৪৫ বস্তা সার ফরিদপুরে পিস্তল ঠেকিয়ে গৃহবধূর কানের দুল ছিনতাইয়ের আসামি র‍্যাব-১০ এর অভিযানে গ্রেফতার। রূপগঞ্জে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বিপ্লবীর রক্তে রঞ্জিত চট্টগ্রামে লিখিত হয়েছে শোষণ ও বৈষম্য মুক্তির মহাকাব্য: মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন শ্রীপুরে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভা কলমের পাশাপাশি কাস্তে হাতে: সংবাদকর্মী মিজানুর রহমানের কৃষিজীবনের নতুন যাত্রা রামু উপজেলা মহিলা দলের মাসিক সভা সম্পন্ন ঘুমধুমে টিভি টাওয়ার রাবার গাছে রোহিঙ্গা যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ বিএনপি ও ধানের শীষ প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে- রফিকুল ইসলাম

নাগরপুরে জমে উঠেনি নৌকার হাট

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 08:17:20 pm, Saturday, 10 July 2021
  • 197 বার পড়া হয়েছে

নাগরপুরে জমে উঠেনি নৌকার হাট

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি।।

এবারের বর্ষায় জমে উঠেনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়হাটায় শত বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাট। আষাঢ় মাসে চতুর দিকে থই থই পানি থাকার কথা থাকলেও আষাঢ়ের শেষের দিকেও তুলনা মুলক পানি কম অপর দিকে লকডাউনের কারনে এ বছর হাটে নেই ক্রেতা সাধারন। আর এজন্য এখনও তেমন বাড়েনি নৌকা বিক্রি। এ কারনেই বিপাকে পড়েছেন এর সাথে সংশ্লিষ্ট কারিগর ও ব্যবসায়ীরা।

নাগরপুর উপজেলার এক পাশ দিয়ে যমুনা অন্যপাশ দিয়ে ধলেশ্বরী সহ বয়ে গেছে ছোট বড় বেশ কয়েকটি নদী। আর এ কারণে বর্ষার শুরু থেকেই নি¤œাঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর এক মাত্র ভরসার যান হলো নৌকা। পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার চোহালী, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন চরাঞ্চল হওয়ায় এসব নি¤œাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ সাধ্যের মধ্যে নৌকা কিনতে এ হাটে ছুটে আসছে। আর এসব নি¤œাঞ্চলের মানুষের মালামাল পরিবহন ও যাতায়াতের একমাত্র বাহন হয়ে উঠেছে নৌকা।

সরেজমিনে দেখা যায়, নাগরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাট শুধু নামেই বিখ্যাত নয়। এখানে সাধ্যের মধ্যে সব শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য রয়েছে নানা ধরনের নৌকা। বড় কয়েকটি নদীতে পানি বাড়ায় ধীরে ধীরে ছোট নদীগুলোতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। উপজেলার ভেতর ও আশেপাশের বেশকয়েকটি উপজেলা থেকে নৌকার ক্রেতা ও বিক্রেতারা আসছে এই শত বছরের পুরানো নৌকার হাটে। নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ মাঠে নৌকার হাট লাগলেও করোনার প্রভাবে তেমন জমে উঠেনি। নৌকার কাঠামো তৈরিতে মেহগনি, কড়ই, আম, চাম্বল এবং রেন্ডি কাঠের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। প্রতিটি নৌকার মান ও আকার ভেদে ৪ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

খাষ পুকুরিয়ার হাসেম বলেন, বর্ষার সময় নৌকা ছাড়া আমাগো চলা ফেরা করার কোনো উপায় নেই। আর সে জন্যই প্রতি এক বা দুই বছর পর পর এ হাট থেকে নৌকা কিনি। লকডাউনের কারনে এখনো পুরো দমে নৌকার বেচাকেনা শুরু না হওয়ায় ব্যপারিরা তাদের ইচ্ছে মতো নৌকার দাম চাচ্ছেন।
নৌকা তৈরির কারখানার মালিক মো. শাহাদত বলেন, লকডাউনের জন্য সব জিনিসের দাম বেশি সেই সাথে ঠিক মত পাওয়া যায় না মিস্ত্রী। এ বছর কিছুটা খরচ বেশি হচ্ছে নৌকা তৈরি করতে। এখনো পানি তেমন একটা না হওয়ায় হাটে ক্রেতা আসছে না।
নৌকা ব্যবসায়ী হিরা লাল বলেন, আমি পঞ্চাশ বছর ধরে নৌকার ব্যবসা করি। এবার পানি না হওয়ায় ব্যবসা খুবই মন্দা।

এ বিষয়ে গয়হাটা হাটের ইজারাদার রাজিব আহম্মেদ রাজু বলেন, আমার জন্মের পর থেকে দেখে আসছি এই নৌকার হাটটি। তবে এ বছর একদিকে করোনা অন্য দিকে বর্ষায় পানি না হওয়ায় নৌকা বেচাকেনা কম হচ্ছে।

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরে “”রামগঞ্জের পথে”” নামক সংগঠনের মাদক বিরোধী ব্যতিক্রম উদ্যোগ

নাগরপুরে জমে উঠেনি নৌকার হাট

আপডেট সময় : 08:17:20 pm, Saturday, 10 July 2021

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি।।

এবারের বর্ষায় জমে উঠেনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়হাটায় শত বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাট। আষাঢ় মাসে চতুর দিকে থই থই পানি থাকার কথা থাকলেও আষাঢ়ের শেষের দিকেও তুলনা মুলক পানি কম অপর দিকে লকডাউনের কারনে এ বছর হাটে নেই ক্রেতা সাধারন। আর এজন্য এখনও তেমন বাড়েনি নৌকা বিক্রি। এ কারনেই বিপাকে পড়েছেন এর সাথে সংশ্লিষ্ট কারিগর ও ব্যবসায়ীরা।

নাগরপুর উপজেলার এক পাশ দিয়ে যমুনা অন্যপাশ দিয়ে ধলেশ্বরী সহ বয়ে গেছে ছোট বড় বেশ কয়েকটি নদী। আর এ কারণে বর্ষার শুরু থেকেই নি¤œাঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর এক মাত্র ভরসার যান হলো নৌকা। পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার চোহালী, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন চরাঞ্চল হওয়ায় এসব নি¤œাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ সাধ্যের মধ্যে নৌকা কিনতে এ হাটে ছুটে আসছে। আর এসব নি¤œাঞ্চলের মানুষের মালামাল পরিবহন ও যাতায়াতের একমাত্র বাহন হয়ে উঠেছে নৌকা।

সরেজমিনে দেখা যায়, নাগরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাট শুধু নামেই বিখ্যাত নয়। এখানে সাধ্যের মধ্যে সব শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য রয়েছে নানা ধরনের নৌকা। বড় কয়েকটি নদীতে পানি বাড়ায় ধীরে ধীরে ছোট নদীগুলোতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। উপজেলার ভেতর ও আশেপাশের বেশকয়েকটি উপজেলা থেকে নৌকার ক্রেতা ও বিক্রেতারা আসছে এই শত বছরের পুরানো নৌকার হাটে। নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ মাঠে নৌকার হাট লাগলেও করোনার প্রভাবে তেমন জমে উঠেনি। নৌকার কাঠামো তৈরিতে মেহগনি, কড়ই, আম, চাম্বল এবং রেন্ডি কাঠের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। প্রতিটি নৌকার মান ও আকার ভেদে ৪ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

খাষ পুকুরিয়ার হাসেম বলেন, বর্ষার সময় নৌকা ছাড়া আমাগো চলা ফেরা করার কোনো উপায় নেই। আর সে জন্যই প্রতি এক বা দুই বছর পর পর এ হাট থেকে নৌকা কিনি। লকডাউনের কারনে এখনো পুরো দমে নৌকার বেচাকেনা শুরু না হওয়ায় ব্যপারিরা তাদের ইচ্ছে মতো নৌকার দাম চাচ্ছেন।
নৌকা তৈরির কারখানার মালিক মো. শাহাদত বলেন, লকডাউনের জন্য সব জিনিসের দাম বেশি সেই সাথে ঠিক মত পাওয়া যায় না মিস্ত্রী। এ বছর কিছুটা খরচ বেশি হচ্ছে নৌকা তৈরি করতে। এখনো পানি তেমন একটা না হওয়ায় হাটে ক্রেতা আসছে না।
নৌকা ব্যবসায়ী হিরা লাল বলেন, আমি পঞ্চাশ বছর ধরে নৌকার ব্যবসা করি। এবার পানি না হওয়ায় ব্যবসা খুবই মন্দা।

এ বিষয়ে গয়হাটা হাটের ইজারাদার রাজিব আহম্মেদ রাজু বলেন, আমার জন্মের পর থেকে দেখে আসছি এই নৌকার হাটটি। তবে এ বছর একদিকে করোনা অন্য দিকে বর্ষায় পানি না হওয়ায় নৌকা বেচাকেনা কম হচ্ছে।