নয়ন হোসেন, ঠাকুরগাঁও হরিপুর প্রতিনিধি:
দেশের মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থায় ৫২ বছরের বৈষম্য এখনও কাটেনি—২০২৫ সালেও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দশম গ্রেডে আটকে থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। এই প্রেক্ষাপটে ( ১) তারিখ সোমবার ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চারটি স্পট ও যৌক্তিক দাবি উত্থাপন করেছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিনসহ সকল শিক্ষক এসব দাবিতে একমত পোষণ করে মতামত প্রকাশ করেছেন।
চার দফা দাবি
1.শিক্ষকদের মতে, সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের মর্যাদা, পদোন্নতি ও প্রশাসনিক কাঠামো সুসংহত করার জন্য আলাদা অধিদপ্তর গঠন সময়ের দাবি। নবম গ্রেড এন্ট্রি পদ চালু না থাকায় তাদের বেতন-গ্রেড দীর্ঘদিন ধরে পশ্চাৎপদ অবস্থায় রয়েছে।
শিক্ষক সংকট, সহকারী ও সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি স্থবিরতা এবং প্রশাসনিক জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে তারা জানান। দ্রুত নিয়োগ ও পদোন্নতি চালু হলে শিক্ষার্থীরাও উন্নত শিক্ষা সেবা পাবে।
বহু শিক্ষকই নিয়মিত কর্মরত থাকা সত্ত্বেও টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত। বকেয়া প্রদান শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার বলে মন্তব্য করেন তারা।
বিএড ও এম.এড স্কেলে দুই থেকে তিনটি ইনক্রিমেন্ট পুনর্বহাল
শিক্ষকতা পেশায় দক্ষতা, যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি সত্ত্বেও বিএড/এম.এড ডিগ্রির সম্মানজনক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ থাকা শিক্ষকদের মনোবলকে ব্যাহত করছে। এ সুবিধা পুনর্বহাল করার জোর দাবি জানান শিক্ষকরা।
হরিপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন বলেন,
“দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর শিক্ষকরা যখন নিজেদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত থাকেন, তখন শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমাদের চার দফা দাবি বৈষম্য দূর করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করবে।”
শিক্ষকদের অভিমতে,
হরিপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আশা প্রকাশ করেন, সরকারের যথাযথ উদ্যোগে ৫২ বছরের প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য দূর হয়ে মাধ্যমিক শিক্ষকদের ন্যায্য স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠিত হবে। তাদের দাবি এখন শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের অভিন্ন প্রত্যাশার প্রতিফলন।
























