
শওকত আলম, ককসবাজার:
কক্সবাজারের টেকনাফে টানা বর্ষণে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বিভিন্ন গ্রাম, বাজার ও বসতি এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে পানিতে। এতে অন্তত ৩ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগে দিন কাটছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
গত কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা, হোয়াইক্যং, সাবরাং, সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন নিচু এলাকা ডুবে গেছে। ঘরের ভেতরে পানি উঠে যাওয়ায় অনেক পরিবার রান্নাবান্না বন্ধ করে দিয়েছে। শিশু-বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষ চলাফেরায় চরম সমস্যায় পড়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ার কারণে প্রতিবছর বৃষ্টিতে এ রকম দুর্ভোগে পড়তে হয়। পানির সঠিক নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে গিয়ে গ্রাম ও শহর রূপ নেয় জলাবদ্ধ চিত্রে।
সাবরাং ইউনিয়নের এক বাসিন্দা বলেন,
> “সকাল থেকে পানি উঠে বসতঘর ডুবে গেছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। বৃষ্টির সঙ্গে তীব্র স্রোতও বইছে। প্রশাসনের কেউ খোঁজও নেয়নি এখনো।”
এদিকে, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জরুরি সহায়তার জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এবং যেসব পরিবার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন,
> “আমরা মাঠ পর্যায়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। পরিস্থিতি খারাপ হলে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হবে এবং খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করা হবে।”
টেকনাফে এমন টানা বর্ষণে পাহাড়ধসের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। প্রশাসন পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছে।