
মোঃ রাকিবুল হাসান
শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদারের নিজ উদ্দ্যেগে অফিস চত্বরের খালি জায়গায় বিভিন্ন জাতের সবজী চাষ করেছেন। অফিস চত্বরে পরিত্যক্ত প্রায় ১ শতাংশ জমিতে উন্নত জাতের টমেটো বেগুন ফুলকপি বাধাকপি মরিচ সহ নানা জাতের সবজী চাষ করেছে। জৈব সার দারা সবজী চাষ করায় সবজী অনেক ভালো হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তার আসল উদ্দেশ্য হলো কৃষকদের দেখানো যাতে প্রত্যেক কৃষকরা তাদের বাড়ির আশপাশ আঙ্গিনা পরিত্যক্ত জমি গুলো খালি না রেখে নানা জাতের সবজী চাষ করে। এতে নিজেদের পরিবারের পরিত্যেক্ত জমি থেকে নানা জাতের সবজী উৎপাদন করে নিজেদের পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। এই পরিত্যেক্ত জমিগুলোতে বছর জুরেই বিভিন্ন মৌসুমের নানা জাতের সবজী চাষ করে খেতে পারবে। এতে তাদের অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে অপর দিকে জৈব সার দারা বিষ মুক্ত ভালো মানের সবজী খেতে পারবে। এতে দু’ দিকেই লাভবান হচ্ছে উৎপাদনকারী কৃষকরা। সিংহ ভাগ পরিবার যদি এই উদ্দ্যেগ গ্রহন করে সবজী উৎপাদন করে তাহলে পর নির্ভরশীলতা যেমন কমবে তেমনি আর্থিক ভাবে মানসম্মত সবজী বছর জুরেই খেতে পারবে। বাজারে যে সমস্ত সবজী বিক্রয় হয় তা প্রায় রায়ায়নিক প্রক্রিয়ায় উৎপাদন হয়। আর নিজেদের উৎপাদিত সবজী রাসায়নিক প্রক্রিয়া মুক্ত করে উৎপাদন করা হয় বলে ভালো মানের হয়ে থাকে। এবং কি নিজেদের উৎপাদিত সবজী গুলো জৈব সারের মাধ্যমে উৎপদিত সবজী গুনগত ও মানসর্ম্পন্ন বিষ মুক্ত হওয়ায় অনেক স্বাদের হয়ে থাকে। তাই নিজেরা একটু চেষ্টা করলেই নিজের বাড়ির আঙ্গিনা ও আশপাশ জমি থেকে নানা জাতের সবজী বছর জুরেই উৎপাদন করে নিজেদের পরিবারের চাহিদা পূরন করা সম্ভব। এ ব্যপারে ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদারের সাথে কথা হলে তিনি জানান কৃষকদেরকে সচেতন করার লক্ষেই এই উদ্দ্যেগের মাধ্যমে বুঝাতে চাই প্রত্যেকেই পরিত্যক্ত ভূমি থেকে সব ধরনের ফসল সব সময় উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা পূরন করা সম্ভব। সকলেই যদি বাড়ির আশপাশ আঙ্গিনা সহ পরিত্যক্ত ভূমি ফেলে না রেখে পরিত্যক্ত ভূমিতে উৎপাদনে উৎসাহি হয় তাহলে দেশের চাহিদা পূরনে সহায়ক ভূমিকা রাখা সম্ভব বলে কৃষি কর্মকর্তা মনে করেন।