আমিরুল হক, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ।।
নীলফামারীর চিলাহাটি ও কোচবিহারের হলদিবাড়ি স্থলবন্দর চালু হওয়া বেড়েছে আমদানি-রপ্তানি। এতে প্রতিদিন সরকার রাজস্ব আয় করছে ৬ থেকে ১৮ লাখ টাকা। গত তিন মাসে সরকার এই স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আয় করেছে প্রায় তিন কোটি টাকা।
দীর্ঘদিন বন্ধের পর ২০২১ সালে আবারও খুলে দেওয়া হয় নীলফামারীর চিলাহাটি ও কোচবিহারের হলদিবাড়ি স্থলবন্দর। গত ১ আগস্ট এই স্থলবন্দরের রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল রেল ও ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়। চিলাহাটি ও হলদিবাড়ি স্থলবন্দর বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন করে চাঙা করছে। রাজস্ব আয় হচ্ছে বেশ। চালুর প্রথম দিনে ভারতের উত্তরবঙ্গের আলিপুর ডিভিশনের ডামডিম রেলস্টেশন থেকে পাথরবোঝাই ৪০টি ওয়াগনের একটি মালবাহী ট্রেন বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ভাড়া বাবদ বাংলাদেশ রেলওয়ে ১৫ লাখ টাকা আয় করে। দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া কম-বেশি আদায় করা হয়। নিয়মিতভাবে ভারত থেকে পণ্য এলে চিলাহাটি স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথে পণ্য পরিবহনে প্রতিদিন ৬ থেকে ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবে। প্রথম দিনেই বাংলাদেশ রেলওয়ে ও কাস্টম রাজস্ব আয় করে ২৬ লাখ ১ হাজার ২৭৫ টাকা।
চিলাহাটি রেলস্টেশন মাস্টার আশরাফুল হক জানান, ভারত থেকে ভারতীয় রেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে ২ হাজার ২৮৫ দশমিক ২০ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে মালবাহী ট্রেনটি চিলাহাটি রেলস্টেশন পর্যন্ত আসে। প্রতি ওয়াগনে গড়ে ৫৯ মেট্রিক টন করে পাথর ছিল।
নীলফামারী সদর সার্কেলের (কাস্টমস) রাজস্ব কর্মকর্তা তুষার কান্তি বলেন, গত তিন মাসে তিন কোটি টাকার বেশি আয় করেছে রেলওয়ে। স্থলবন্দর চালুর মাসে ৭টি মালবাহী ট্রেন আসে। যাতে মোট ১২ হাজার ৫২ টন ভারতীয় পাথর এসেছে। এতে রেলওয়ের আয় হয়েছে ৬৫ লাখ ৮৭ হাজার ৫৫২ টাকা।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের চায় না সেভেন ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রথম দিনে পণ্যবাহী ট্রেনে এই পাথর আমদানি করে। দূরত্ব, সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের জন্য এই পথ ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে নীলফামারীর চিলাহাটি কাস্টম হাউস রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অর্থ বরাদ্দ ও জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব মঞ্জুর করতে বলেছি।