মো.ইমরান হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার ।।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় মো. শাকিল খাঁন (২১) নামে একজন কোরআনের হাফেজকে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে খেলার ব্যাট দিয়ে অমানুষিক ভাবে পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জালশুকা এলাকার মো. রশিদ খাঁনের ছেলে হাফেজ মো: শাকিল খাঁন (২১) গত ১৮ আগষ্ট রিহ্যাব থেকে পালিয়ে বন্ধুর সাথে দেখা করতে চন্দ্রা দেওয়ানবাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকায় যায়। তখন ওই মসজিদের ইমাম আ: আজিজ ও মোয়াজ্জিন হাসান আলী শাকিল খানঁকে মসজিদের ভিতর ডেকে নিয়ে যায়। এসময় মসজিদের ইমাম আজিজের নেতৃত্বে ৪/৫ জনের একদল লোক কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাকিলকে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে খেলার ব্যাট দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে তার পরিবারকে ফোন দিয়ে মারপিটের কথা না বলেই শাকিলকে রিহ্যাবে পাঠিয়ে দেয়। উক্ত মারপিটের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে শাকিলের পরিবার মারপিটের বিষয়টি জানতে পারে। পরে শাকিলের মা সালমা আক্তার বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এব্যাপারে দেওয়ান বাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মো.আঃ আজিজ বলেন, আমি শাকিলকে পিটাইনি, বরং মসজিদের ভিতরে নিয়ে সেফ করেছি । আমি শাকিলের মাকে টেলিফোন করে মোবইল চুরির বিষয়টি জানাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে তাকে পুলিশে দেন। শাকিল নিজেকে কোরআনের হাফেজ পরিচয় দিলে আমি নিশ্চিত হয়ে সম্মান রক্ষার্থে পুলিশে না দিয়ে রিহ্যাবে পাঠিয়ে দেই।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. আফজাল হোসেন অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলার বাদী মোসাম্মত সালমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৭দিন আগে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ এখনো কোন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই। উল্টো মামলার আইও আমাকে মামলা আপসের প্রস্তাব দিচ্ছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।