Dhaka , Monday, 3 November 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
আওয়ামী লীগের লোক গণপূর্তের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বদরুলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ বখাটে কর্তৃক ভাইয়ের সিএনজিতে অগ্নিসংযোগ: লক্ষ্মীপুরে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের জের। সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করার সুবিধা মুক্তির লড়াই কোন আইন বা সংবিধান মেনে হয় না — ব্যারিস্টার ফুয়াদ মধুপুরে মাইক্রোবাস চাপায় এক নারী নিহত শার্শায় ইছামতী নদী থেকে ধরা পড়লো ১৬ কেজি ওজনের পাঙাশ মাছ বিএনপি নেতার অর্থায়নে কাঠের সেতু : ৬ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব   কাালিয়াকৈরে তারেক রহমান কর্তৃক  রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারের লক্ষ্যে  কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  নগরকান্দায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী ওয়ালের রড চুরি, পাশে মাঠে উদ্বার। ভূমিসেবা নিশ্চিতের মূল ভিত্তি সঠিক সার্ভে ও সেটেলমেন্ট—-ভূমি উপদেষ্টা পাবনায় দরিদ্র ও এতিমদের জন্য বরাদ্দ করা দুম্বার মাংস লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে  চবিতে আইআর সপ্তাহ ২০২৫ এর বার্ষিক সাধারণ সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত। বৃষ্টি ও বাতাসে সুন্দরগঞ্জে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা টেকনাফে ৫০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার মধুপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ পাইকগাছায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন নিরপেক্ষ নির্বাচনই বাংলাদেশকে ফেরাবে গণতন্ত্রের উজ্জ্বল পথে শরীয়তপুরে জমির বায়নায় নিয়ে প্রতারণা, বিপাকে নারীসহ অনেকে প্রতি জন্মদিনে শাহরুখের জন্য চাঁদে জমি কেনেন ভক্ত গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশে বাধা ইসরায়েলের রাশিয়ার তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় সস্তা ওজন কমানোর পিল, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ব্যবহারকারীরা যথাসময়ে ভোটের পাশাপাশি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন চায় এনসিপি আর্জেন্টাইন গায়িকার সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা ইয়ামালের এবারের ইজতেমা জাতীয় নির্বাচনের পর: ধর্ম উপদেষ্টা জামালপুর নৌকাডুবি ঘটনায় নিখোঁজ আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার ওয়াশিংটন যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট যুক্তরাজ্যে ট্রেনে ছুরিকাঘাতে আহত ১০ রূপগঞ্জে হাতি ঘোড়ার মিছিলে জমে উঠলো যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন র‍্যালী। পশ্চিমপাড়া দারুন নাজাত মহিলা মাদরাসা ও যুব সমাজের উদ্যোগে (৮ম) বার্ষিকী ইসলামী মহা সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের বাগআঁচড়া শাখার নবগঠিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা

কালের স্বাক্ষী প্রায় ৪শত বছরের বনবিবির বটগাছ

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:29:29 am, Tuesday, 21 September 2021
  • 247 বার পড়া হয়েছে

কালের স্বাক্ষী প্রায় ৪শত বছরের বনবিবির বটগাছ

দীপঙ্কর বিশ্বাস, সাতক্ষীরা ।।

সবুজ আর বাতাসে ভেসে আসে পাখির কলকাকলি। গাছের পাতায় বাতাসের শব্দ আর ডালে বসা পাখির ডাক মিলে তৈরি হয় প্রশান্তির এক আবহ। ছড়িয়ে থাকা একেকটি শাখাকে তখন মনে হয় পরম মমতায় বাড়িয়ে দেওয়া হাত। গাছের নিচে বসলে আর উঠতে ইচ্ছে করে না। অচেনা এক মায়া যেন টেনে ধরে।
প্রকৃতি আর মানবমনের এ অদৃশ্য যোগসূত্রের দেখা মিলবে সাতক্ষীরার দেবহাটার বনবিবির বটতলায়। শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে দেবহাটা উপজেলা সদর। সেখানেই রয়েছে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ৪শত বছরের এই বটগাছ। এটিই ‘বনবিবির বটতলা’ নামে পরিচিত।
প্রায় সাড়ে তিন একর জমির ওপর দাঁড়িয়ে আছে বটগাছটি। গাছের শাখা-প্রশাখা থেকে নেমে আসা অংশ মাটির সঙ্গে তৈরি করেছে আঙ্গিক সম্পর্ক। ধারণা করা হয়, বহু পুরোনো বটতলাটি একসময় সাধু ও ঋষিদের ধ্যানের জায়গা ছিল। এখানে বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা-অর্চনা হতো। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালিত হতো। কথিত আছে, কারও মনের বাসনা পূরণের জন্য এখানে এসে বনবিবিকে স্মরণ করলে এবং তাঁর কাছে চাইলে মনের আশা পূরণ হতো।
বর্তমানে এখানে আর সাধু-ঋষিদের ধ্যান করতে দেখা যায় না। তবে বিনোদনের জন্য অনেক নারী-পুরুষ এখানে ভিড় জমায়। ঘুরতে আসা দর্শনার্থী রুহুল আমিন জানান, ‘বটতলা জায়গাটি অনেক ঐতিহ্যবাহী। এখানে প্রতিবছর হাজুত-মানত মেলা হয়। মেলায় হিন্দু, মুসলিম–সব ধর্মের মানুষ অংশ নেয়। আমরাও মেলায় আসি, অনেক মজা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাছটি কত বছরের পুরোনো কেউ বলতে পারে না। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হলো, কেউ বলতে পারে না এর মূল গোড়া কোথায়? আমি শুনেছি, কেউ গাছটি কাটার চেষ্টা করলে তার বা তার পরিবারের সদস্যদের কোনো না কোনো ক্ষতি হয়। তাই কেউ কাটে না।’
এই বটতলাতেই ভারত-বাংলাদেশের যৌথ ছবি শঙ্খচিলের অনেক দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ইত্যাদি অনুষ্ঠানেও এটি নিয়ে পর্ব প্রচারিত হয়। উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবছর এই বটতলায় পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপিত হয়। পান্তা-ইলিশ খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
স্থানটির চারপাশে এখন বসতি গড়ে উঠেছে। তাই ধীরে ধীরে এই বটতলাটি নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলছে। কিন্তু উপজেলার ঐতিহ্য আজও ধরে রেখেছে বনবিবির বটতলা। ছায়া সুনিবিড়, পাখির কুজনে মুখরিত, শ্যামল ও নয়নাভিরাম এই স্থানটিতে অবসরের কিছুটা সময় বসে থাকলে মনের সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। মনটা সতেজ হয়ে ওঠে। প্রকৃতির অপূর্ব দৃশ্য দেখতে দেখতে সময় কেটে যায়। বেড়াতে আসা আব্দুস সালাম জানান, ‘জায়গাটি অনেক নিরিবিলি এবং খুবই সুন্দর হওয়ায় মাঝে মাঝে বেড়াতে আসি। কিন্তু এখানে বসার কোনো স্থান নেই। কোথাও কোনো পরিপাটি নেই। জায়গাটি যদি সুন্দর ব্যবস্থাপনা করা যায়, তাহলে এখান থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করতে পারবে। সবাই এসে সময় কাটাতে পারবে।’
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার বলেন, ‘বনবিবি বটতলা ঘিরে আমাদের অনেক উদ্যোগ রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি কাটলে প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু কাজ করা হবে।

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগের লোক গণপূর্তের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বদরুলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কালের স্বাক্ষী প্রায় ৪শত বছরের বনবিবির বটগাছ

আপডেট সময় : 12:29:29 am, Tuesday, 21 September 2021

দীপঙ্কর বিশ্বাস, সাতক্ষীরা ।।

সবুজ আর বাতাসে ভেসে আসে পাখির কলকাকলি। গাছের পাতায় বাতাসের শব্দ আর ডালে বসা পাখির ডাক মিলে তৈরি হয় প্রশান্তির এক আবহ। ছড়িয়ে থাকা একেকটি শাখাকে তখন মনে হয় পরম মমতায় বাড়িয়ে দেওয়া হাত। গাছের নিচে বসলে আর উঠতে ইচ্ছে করে না। অচেনা এক মায়া যেন টেনে ধরে।
প্রকৃতি আর মানবমনের এ অদৃশ্য যোগসূত্রের দেখা মিলবে সাতক্ষীরার দেবহাটার বনবিবির বটতলায়। শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে দেবহাটা উপজেলা সদর। সেখানেই রয়েছে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ৪শত বছরের এই বটগাছ। এটিই ‘বনবিবির বটতলা’ নামে পরিচিত।
প্রায় সাড়ে তিন একর জমির ওপর দাঁড়িয়ে আছে বটগাছটি। গাছের শাখা-প্রশাখা থেকে নেমে আসা অংশ মাটির সঙ্গে তৈরি করেছে আঙ্গিক সম্পর্ক। ধারণা করা হয়, বহু পুরোনো বটতলাটি একসময় সাধু ও ঋষিদের ধ্যানের জায়গা ছিল। এখানে বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা-অর্চনা হতো। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালিত হতো। কথিত আছে, কারও মনের বাসনা পূরণের জন্য এখানে এসে বনবিবিকে স্মরণ করলে এবং তাঁর কাছে চাইলে মনের আশা পূরণ হতো।
বর্তমানে এখানে আর সাধু-ঋষিদের ধ্যান করতে দেখা যায় না। তবে বিনোদনের জন্য অনেক নারী-পুরুষ এখানে ভিড় জমায়। ঘুরতে আসা দর্শনার্থী রুহুল আমিন জানান, ‘বটতলা জায়গাটি অনেক ঐতিহ্যবাহী। এখানে প্রতিবছর হাজুত-মানত মেলা হয়। মেলায় হিন্দু, মুসলিম–সব ধর্মের মানুষ অংশ নেয়। আমরাও মেলায় আসি, অনেক মজা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাছটি কত বছরের পুরোনো কেউ বলতে পারে না। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হলো, কেউ বলতে পারে না এর মূল গোড়া কোথায়? আমি শুনেছি, কেউ গাছটি কাটার চেষ্টা করলে তার বা তার পরিবারের সদস্যদের কোনো না কোনো ক্ষতি হয়। তাই কেউ কাটে না।’
এই বটতলাতেই ভারত-বাংলাদেশের যৌথ ছবি শঙ্খচিলের অনেক দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ইত্যাদি অনুষ্ঠানেও এটি নিয়ে পর্ব প্রচারিত হয়। উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবছর এই বটতলায় পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপিত হয়। পান্তা-ইলিশ খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
স্থানটির চারপাশে এখন বসতি গড়ে উঠেছে। তাই ধীরে ধীরে এই বটতলাটি নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলছে। কিন্তু উপজেলার ঐতিহ্য আজও ধরে রেখেছে বনবিবির বটতলা। ছায়া সুনিবিড়, পাখির কুজনে মুখরিত, শ্যামল ও নয়নাভিরাম এই স্থানটিতে অবসরের কিছুটা সময় বসে থাকলে মনের সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। মনটা সতেজ হয়ে ওঠে। প্রকৃতির অপূর্ব দৃশ্য দেখতে দেখতে সময় কেটে যায়। বেড়াতে আসা আব্দুস সালাম জানান, ‘জায়গাটি অনেক নিরিবিলি এবং খুবই সুন্দর হওয়ায় মাঝে মাঝে বেড়াতে আসি। কিন্তু এখানে বসার কোনো স্থান নেই। কোথাও কোনো পরিপাটি নেই। জায়গাটি যদি সুন্দর ব্যবস্থাপনা করা যায়, তাহলে এখান থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করতে পারবে। সবাই এসে সময় কাটাতে পারবে।’
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার বলেন, ‘বনবিবি বটতলা ঘিরে আমাদের অনেক উদ্যোগ রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি কাটলে প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু কাজ করা হবে।