রাজধানীর যাত্রাবাড়ী,ডেমরা,কদমতলী,শ্যামপুর থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডে হালকা বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় রাস্তা ঘাট। ফলে পানিবন্দি হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ে এলাকাবাসী। পরিত্রানের কোন উদ্যোগে নেই কতৃপক্ষের।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গত দুদিনের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ডিএনডি বাঁধের অভ্যন্তরের ১৫ টি ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ সহ বেশ কিছু নীচু এলাকা। এতে বাধেঁর অভ্যন্তরে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ বাসিন্দা।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত ৫২,৫৩,৫৪ সহ ৭০ নম্বর ওয়ার্ড। ডিএনডির ৫২,৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুরাদপুর,নোয়াখালী পট্টি,বাগানবাড়ী,নামা শ্যামপুর,মাতবর বাজার,শাহী মসজিদ,সালাউদ্দিন স্কুল রোড,সবুজবাগ,৫৯নং ওয়ার্ডের মেরাজনগর ডি-বল্ক ,সি-বল্ক সহ ১,২,৩ গলি পূর্ব কদমতলী ৬০ নং ওয়ার্ডের জিয়াসরনী,স্মৃতিধারা,৬১নং ওয়ার্ডের পুরাতন ধনিয়া,৬২নং ওয়ার্ডের কুতুবখালী ,ছনটেক,গোবিন্দপুর,মৃধাবাড়ী সড়ক,শেখদি আব্দুল্লাপুর কলেজ,৬৩ নং ওয়ার্ডের দরবার শরীফ রোড,মাতুয়াইল বহুমূখী উচ্চবিদ্যালয় সড়ক,৬৪নং ওয়ার্ডের মাতুয়াইল মেন্দিবাড়ী,পূর্ব আড়াবাড়ী,৬৫নং ওয়ার্ডের কবরস্থান রোড,পাড়াডগাইর,হাসেম রোড,মাতুয়াইল ফার্মের মোড় থেকে হাশেম রোড, নারায়নগঞ্জ ফতুল্লার মুন্সিবাগ। এসব এলাকার প্রধান সড়ক,বাসাবাড়ী,
মসজিদ,দোকান পাট,
শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ঢুকে পড়েছে বৃষ্টির পানি। তলিয়ে গেছে ছোট বড় কলকারখানার কাচাঁমালসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। পানিবন্দি ও কর্মহীন হয়ে দিশেহারা দিন মুজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
এলাকার বাসিন্দা সোহরাব জানালেন,বৃষ্টি হলেই এসব এলাকা তলিয়ে যায়। পানি সরতে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে। দীর্ঘদিন যাবত খাল গুলো সংস্কার না হওয়ার কারনে এবং সঠিক রক্ষনাবেক্ষন এর আভাবে জলাবন্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া সড়কে পানি জমে থাকায় খানা খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিন ঘটছে দূর্ঘটনা।
কদমতলী থানার অন্তর্গত ৫৪ নং ওয়ার্ডের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এই এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার লোকের বসবাস। দুদিনের বৃষ্টিতে পানি নিস্কাশনের কোন ব্যাবস্থা না থাকায় তলিয়ে গেছে রাস্তা ঘাট সহ এলাকার অধিকাংশ এলাকা।
বালির বস্তা,মাচাংবেঁধে বসবাস করছেন অনেকেই। পানি কমার ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন পানিবাহি রোগে আক্রান্তের ঝুকি বাড়ছে।
৫৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মাসুদ বলেন,নতুন ওয়ার্ড গুলো নিম্নাঞ্চল সেই সাথে অধিকাংশ ওয়ার্ড গুলোতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে অল্প বৃষ্টিতে ডুবে যায় এই অঞ্চলগুলো। ডিএসসিসির খালটি যাত্রাবাড়ী মৃধাবাড়ী জিয়াসরনী হয়ে মোহাম্মদবাগ হয়ে নারায়নগঞ্জের শিমরাইল যায় পানি চলাচল করে। সেনাবাহিনী এই খালটি পুনঃখনন ও সংস্করণ করছে। এই খালের কাজ শেষে হলে জলাবদ্ধতার আর থাকবে না।
ঢাকা ৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু বলেন,খাল গুলো দীর্ঘদিন ওয়াসার দায়ীত্বে ছিল। এখন নতুন করে সিটি কর্পোরেশনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন সঠিক পরিকল্পনা করলে ভবিষ্যতে ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা দুর হবে।