Dhaka , Sunday, 3 August 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
সবদলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে আবারও বিপদ আছে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রেস ক্লাবে ঢুকতে দেওয়া হবে না ফ্যাসিস্ট দোসরদের রূপগঞ্জে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ  উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা মির্জাপুরে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ সবদলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে আবারও বিপদ আছে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি রূপগঞ্জে প্রবাসী নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার জুলাই বিপ্লবের ছবি ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে থাকবে:- ডা. শাহাদাত হোসেন রামুতে ট্রেনে কাটা পড়ে সিএনজি’র শিশুসহ ৫ জন নিহত — রেলক্রসিংয়ে গেইট না থাকায় জনরোষ, ট্রেন চলাচল বন্ধ নরসিংদীর পুলিশের অভিযানে বন্দুক-গুলি-ককটেল উদ্ধার নিখোঁজের ৪ মাস উদ্ধার হাফেজ আশরাফুল এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের অভিযানে ৯০০ (নয়শত) গ্রাম গাঁজাসহ ০১ (এক) জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার: কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবে জমজমাট আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো মৌসুমি ফল উৎসব পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় ড্রোনের আনাগোনা, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রূপগঞ্জে এক হাজার সরকারি ফলজ গাছের চারা বিতরণ না করে খালে ফেলে দিলো অধ্যক্ষ র‍্যাবের অভিযানে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার, মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবে জমজমাট আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো মৌসুমি ফল উৎসব রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে মাদক সন্ত্রাস চাঁদাবাজ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন রূপগঞ্জে ছাত্রদল নেতার বাবার মৃত্যুতে দোয়া কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের সাপ্তাহিক পাঠচক্রের আসর “প্রয়াস” অনুষ্ঠিত। মির্জাপুরে একসাথে ৩ শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) কর্তৃক ০১ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকার চোরাচালানী মালামাল আটক রামগঞ্জের লক্ষ্মীধর পাড়া সরকারি প্রাথমিকবিদ্যালয়ে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠিত রামগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাসহ ২ জন গ্রেফতার হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সীতাকুণ্ডের সড়কে গাড়ির ধাক্কায় ছাত্রদলের ২ নেতা নিহত লালমনিরহাটে পুলিশের অভিযান: চোরাই অটোরিকশা ও বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ শহীদ ওয়াসিম আকরাম নিজের রক্ত দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস লিখে গেছেন সীমান্তে বিজিবির সাঁড়াশি অভিযান: মাদক ও আসামী আটক, বিপুল পরিমাণ কোয়ার্ড ক্রিম জব্দ মির্জাপুরে কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র প্রদান রামগঞ্জে ছিনতাইকারীর কবলে পরে সর্বস্ব খোয়ালেন ব্যবসায়ী

উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই -ধর্ম উপদেষ্টা।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 01:46:45 pm, Saturday, 21 September 2024
  • 97 বার পড়া হয়েছে

উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই -ধর্ম উপদেষ্টা।।

ঢাকা- শনিবার- ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪।।

 

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই।

আজ বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় যাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও ইসলামিক ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায়  প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন- মুসলিম উম্মাহ যদি একত্রিত হতে পারে তাহলে নতুন পৃথিবী উপহার দিতে পারবে। ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে আল-আকসা উদ্ধার করতে সমর্থ হবে। মুসলিম বিশ্বে আমাদের সম্পদের প্রাচুর্য রয়েছে। আমরা যদি এই সমস্ত সম্পদ যদি বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে মুসলিম বিশ্ব নতুন শক্তি নিয়ে জেগে উঠবে।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.)ছিলেন আল্লাহ রহমতস্বরূপ। তিনি ছিলেন মানবতার ও সমগ্র বিশ্বের নবী।  তিনিই প্রথম মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার প্রায় এক হাজার ৪০০ বছর পূর্বেই তিনি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে মানুষের অধিকার বলতে কিছু ছিলো না। মহানবী (সা.) সর্বপ্রথম ঘোষণা করেন, আরবের ওপর অনারবের কিংবা অনারবের ওপর আরবের, সাদার ওপর কালোর কিংবা কালোর ওপর সাদার বিশেষ কোন মর্যাদা নেই। পৃথিবীর সব মানুষ সমান এবং  আল্লাহ ভীতিই একমাত্র শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, মহানবী (সা.) এর আগমনের পূর্বে নারীদেরকে কোন সম্মান ও মর্যাদা ছিলো না, বরং তাদেরকে সকল অনিষ্টের মূল হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু রাসূল (সা.) ঘোষণা করলেন, মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। তাঁর এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্বে নারীর  মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া- নবী করিম (সা.) পৃথিবীতে প্রথম যুদ্ধনীতি ঘোষণা করে বলেন যুদ্ধের ময়দানে নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করা যাবে না এবং মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাতে ধর্মযাজকদেরক হত্যা করা যাবে না।

উপদেষ্টা বলেন, মহানবী (সা.) যেটা বলেছেন সেটা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। এর ব্যতিক্রম কখনো ঘটেনি। তিনি সমগ্রজীবনে তত্ত্বকে বাস্তবে রূপায়ণ করেছেন। আমরা যদি রাসূল (সা.) এর আদর্শ অনুসরণের করতে পারি তাহলে আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন আলোকিত ও মহিমান্বিত হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসূর চাভোশি বলেন, মহান আল্লাহ পাক হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে সারাবিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। মহানবী (সা.) সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। তাঁর চারিত্রিক মাধুর্যে মূর্তিপূজারিরাও আকৃষ্ট হয়েছে এবং তিনি বিধর্মী কাফের, মুশরিক ও মুর্তিপূজারীদেরকে ইসলামের পতাকাতলে  আবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। রাষ্ট্রদূত মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে মতভেদ ভুলে মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুরোধ জানান।

ঢাকাস্থ  ইরান দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর  সৈয়দ রেজা মীরমোহাম্মাদীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাঈল মিয়া- বাংলাদেশ ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা লুৎফর রহমান প্রমূখ বক্তব্য প্রদান করেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

সবদলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে আবারও বিপদ আছে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই -ধর্ম উপদেষ্টা।।

আপডেট সময় : 01:46:45 pm, Saturday, 21 September 2024

ঢাকা- শনিবার- ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪।।

 

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই।

আজ বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় যাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও ইসলামিক ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায়  প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন- মুসলিম উম্মাহ যদি একত্রিত হতে পারে তাহলে নতুন পৃথিবী উপহার দিতে পারবে। ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে আল-আকসা উদ্ধার করতে সমর্থ হবে। মুসলিম বিশ্বে আমাদের সম্পদের প্রাচুর্য রয়েছে। আমরা যদি এই সমস্ত সম্পদ যদি বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে মুসলিম বিশ্ব নতুন শক্তি নিয়ে জেগে উঠবে।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.)ছিলেন আল্লাহ রহমতস্বরূপ। তিনি ছিলেন মানবতার ও সমগ্র বিশ্বের নবী।  তিনিই প্রথম মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার প্রায় এক হাজার ৪০০ বছর পূর্বেই তিনি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে মানুষের অধিকার বলতে কিছু ছিলো না। মহানবী (সা.) সর্বপ্রথম ঘোষণা করেন, আরবের ওপর অনারবের কিংবা অনারবের ওপর আরবের, সাদার ওপর কালোর কিংবা কালোর ওপর সাদার বিশেষ কোন মর্যাদা নেই। পৃথিবীর সব মানুষ সমান এবং  আল্লাহ ভীতিই একমাত্র শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, মহানবী (সা.) এর আগমনের পূর্বে নারীদেরকে কোন সম্মান ও মর্যাদা ছিলো না, বরং তাদেরকে সকল অনিষ্টের মূল হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু রাসূল (সা.) ঘোষণা করলেন, মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। তাঁর এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্বে নারীর  মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া- নবী করিম (সা.) পৃথিবীতে প্রথম যুদ্ধনীতি ঘোষণা করে বলেন যুদ্ধের ময়দানে নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করা যাবে না এবং মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাতে ধর্মযাজকদেরক হত্যা করা যাবে না।

উপদেষ্টা বলেন, মহানবী (সা.) যেটা বলেছেন সেটা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। এর ব্যতিক্রম কখনো ঘটেনি। তিনি সমগ্রজীবনে তত্ত্বকে বাস্তবে রূপায়ণ করেছেন। আমরা যদি রাসূল (সা.) এর আদর্শ অনুসরণের করতে পারি তাহলে আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন আলোকিত ও মহিমান্বিত হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসূর চাভোশি বলেন, মহান আল্লাহ পাক হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে সারাবিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। মহানবী (সা.) সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। তাঁর চারিত্রিক মাধুর্যে মূর্তিপূজারিরাও আকৃষ্ট হয়েছে এবং তিনি বিধর্মী কাফের, মুশরিক ও মুর্তিপূজারীদেরকে ইসলামের পতাকাতলে  আবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। রাষ্ট্রদূত মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে মতভেদ ভুলে মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুরোধ জানান।

ঢাকাস্থ  ইরান দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর  সৈয়দ রেজা মীরমোহাম্মাদীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাঈল মিয়া- বাংলাদেশ ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা লুৎফর রহমান প্রমূখ বক্তব্য প্রদান করেন।