
মোঃ রাকিবুল হাসান,
ঝিনাইগাতি (শেরপুর) প্রতিনিধি।।
শেরপুর জেলায় বোর চাষিরা আগাম জাতের বোর ধান আগাম সময়ে রুপন করা শুরু করেছে। কারন এই সমস্ত বিল অঞ্চলের বোর জমি গুলি আগাম বর্ষা ও বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে কৃষকরা বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই আগাম সময়ে আগাম জাতের বোর ধান রুপন করলে আগাম বর্ষা বা বন্যায় বোর ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নাই বলল্লেই চলে। তাই কৃষকেরা বন্যায় ক্ষয় ক্ষতির ঝুকি কাটিয়ে উঠতে তাদের বিল অঞ্চল ও নি¤œ অঞ্চলের জমি গুলিতে আগাম সময়েই আগাম জাতের ধান রুপন শুরু করেছে। উল্লেখ্য এই সমস্ত জমিতে বছরের প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস সময় পানির নিচে তলিয়ে থাকে। সূত্র মতে জানা যায় এই জমি গুলিতে শুধু মাত্র ১টি মৌসমে বোর ফসলের ধান উৎপাদন হয়। এলাকা গুলি হলো বগাডুবি, ছুরিহাড়া, কোনাগাও, গজার মারি, চতল, সারিকালি নগর, দড়িকালি নগর, জুলগাও, রাজ নগর, দুহাইলা সহ আরো অনেক এলাকা। যা প্রতি বৎসর উটতি বোর ফসল আমাগ বর্ষা বা বন্যার কারনে কৃষকরা বোর ধান ঘরে তুলতে পরে না। ফসল আবাদ করেও আগাম বন্যার কারনে ধান কাটতে না পেরে কৃষকরা অতি কষ্টে দিন কাটায়। প্রকৃতিক দূর্যোগ আগাম বন্যা বা বর্ষা কাটিয়ে উঠতে কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে বিল ও নি¯œাঞ্চলের জমি গুলিতে নতুন পদ্ধতিতে বোর চাষাবাদ শুরু করেছে। নি¤œ অঞ্চলের জমি থেকে পানি নামার পর শুধু মাত্র আবর্জনা পরিষ্কার করেই বোর ধানের চারা রুপন করা যায়। জমিতে কোন চাষের প্রয়োজন হয় না। জমি গুলি উর্বর হওয়াতে জমিতে তেমন কোন সার বিষ প্রয়োগ করতে হয় না। অল্প খরচে প্রতি একর জমিতে ৭০/৮০ মণ ধান উৎপাদন হয়। প্রকাশ থাকে যে ইতি পূর্বে কৃষকেরা আগাম জাতের আগাম সময়ে বোর চাষ না করে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বোর চাষিরা। বর্তমানে কৃষকেরা আগাম বন্যা ও বর্ষার পানির হাত থেকে বোর ফসল রক্ষায় নতুন কৌশলে আগাম জাতের আগাম সময়ে বোর ফসল রুপন করছে। এতে বোর ফসল আগাম বর্ষা ও বন্যার পানি আসার পূর্বেই কৃষকদের বোর ফসল ঘরে তুলে ফেলবে। বন্যার ক্ষয়-ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে নতুন কৌশলে অত্র অঞ্চলের দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা এই পদ্ধতিতে বোর ফসল চাষাবাদ শুরু করেছে। এব্যপারে ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ হোসেন, নাদিয়া আক্তার ও কৃষি উপ-সহকারি কর্মকর্তা মোঃ খন্দকার মঞ্জুরুল হক ও মোঃ আল-আমিন এর সাথে কথা হলে তারা জানান কৃষকদের ফসল রক্ষায় আগাম জাতের উন্নত বোর চাষ আগাম সময়ে করতে পারলে তাহলে প্রাকৃতিক দূর্যোগ বন্যা ও বর্ষা আসার পূর্বেই কৃষকদের ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারবে তাই আমরা কৃষকদের এই পদ্ধতিতে বোর চাষ করতে উৎসাহ দিয়ে থাকি। এতে এক দিকে যেমন কৃষকরা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে অপর দিকে দেশে উৎপাদনের ঘাটতি কমে আসবে।