দৈনিক আজকের বাংলা ডেস্ক।।
গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ । এ লজ্জা আর অপমান সইতে না পেরে শনিবার ভোরে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করলো ওই কিশোরী । কক্সবাজার পেকুয়ার এই আত্মহত্যা শুধু আত্মহত্যা নয়। এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ধরনে আঘাত। যে লজ্জা ও অপমান সইতে না পেরে রেখামণি চলে গেল না ফেরার দেশে । বেছে নিল আত্মহত্যা পথ। আর জানান দিলো, এ দেশ মা জাতির ইজ্জত রক্ষা করতে পারছে না। এই লজ্জা আমাদের সবার——–।
যেখানে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সেই জায়গায় পেকুয়া থানায়, একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। যা নিতান্ত্যই লজ্জার !
কক্সবাজারের পেকুয়ায় রাজাখালী ইউনিয়নের হাজিরপাড়ায় ঘটেছে এমন লোমহর্ষক ঘটনা। নিহত কিশোরীর নাম তাবাসসুম জন্নার রেখামণি (১৪) । ওই এলাকার আইয়ুব আলীর মেয়ে রেখা, রাজাখালী বহুমুখী বেশারাতুল উলুম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী ছিল সে। পুলিশ শনিবার তার লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীর মা-বাবা গত শুক্রবার পাশের উপজেলা চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পুঁইছড়িতে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সুযোগে রাতে তিন বখাটে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কাছের একটি মৎস্য প্রকল্পের টংঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ অপমান সইতে না পেরে শনিবার ভোরে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে কিশোরী ।
রেখার বাবা আইয়ুব আলী বলেন, শনিবার ভোরে ছেলে রাসেল ফোন করে জানায়, রেখা বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে। আইয়ুব আরও জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন স্থানীয় মৃত বাদশার ছেলে আলমগীর, নুরুল হকের ছেলে রবি আলম ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া এলাকার মকসুদ আহমদের ছেলে আবুল কাশেম রেখাকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে।
তথ্য পাওয়া গেছে, গণধর্ষণের বিষয় জানানো হলেও এ ঘটনায় , পেকুয়া থানায় অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, মেয়েটি বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে খবর পেয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মেয়েটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রতিবেদনে যদি অন্য কোনো কারণ থাকে, তাহলে পরে সেই ধারায় মামলা নেওয়া হবে।
সাধারনতঃ বাদী পক্ষের অভিযোগ চুরান্ত বলে গন্য হওয়ার কথা থাকলেও, ওই মামলায় তা গ্রহন যোগ্যতা পায়নি !