
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা গ্রামের গৃহবধূ সুপালী বেগম স্বামী ইসরাইল হোসেনের সাথে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত সংসার করেন।
গত শনিবার সকালে হঠাৎ করে উধাও হন তিনি।
স্বামী ইসরাইল হোসেনের অভিযোগ, সুপালী টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছেন।
এই ঘটনার পর গত রবিবার ও মঙ্গলবার লালমনিরহাট সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্বামী ইসরাইল হোসেন।
গৃহবধূ সুপালী বেগম -৪০- কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার পুটিমারী, আবাসন প্রকল্প এলাকার মৃত মৃত: নাইয়া জব্বারের মেয়ে।
স্বামী মো. ইসরাইল হোসেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা এলাকার মৃত আহাম্মদ আলির ছেলে।
স্বামী ইসরাইলের দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইসরাইল তার বাড়ির সাথে পাকা রাস্তার পাশে দীর্ঘদিন থেকে চায়ের দোকানের ব্যবসা করছেন। তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ায় ১৬ বছর আগে তিনি সুপালীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ঈশামনি খাতুন নামে ৪ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
তার চায়ের দোকানটি বাড়ির পাশে হওয়ায় প্রায়ই তিনি ও তার স্ত্রী সুপালী দুজন মিলে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তার স্ত্রী সুপালী প্রায়ই তার বাবার বাড়িতে যেতেন। আর একবার গেলে সহজে বাড়িতে আসতে চাইতেন না। তবে প্রতিবার ইসরাইল মানুষের সহায়তা নিয়ে সুপালীকে বাড়িতে নিয়ে আসতেন। এভাবেই তাদের সংসার চলছিল। পরে গত ৪ এপ্রিল সুপালীর অনুরোধ রাখতে তাদের বাড়ি -ইসরাইলের শ্বশুর বাড়ি- যান ইসরাইল। এই সুযোগে গত শনিবার-৫ এপ্রিল- সকাল আনুমানিক ১১.৩০ মিনিটে সুপালী তার কাছে রাখা ব্যবসার নগদ ৬০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মোট ৯০ হাজার টাকার সমপরিমাণ অর্থ ও মালামাল একটি বস্তায় ভরে ৪ বছরের মেয়েকে বাড়িতে রেখে তার বাবার বাড়িতে চলে যান। এলাকার কয়েকজনের কাছে ঘটনা শুনে ইসরাইল নিজ বাড়িতে আসেন। এরপর তিনি তার শাশুড়ি -সুপালীর মা – তছিরন বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। সে সময় তাকে সুপালীর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি কিংবা মাঝে মধ্যে কল দিলেও রিসিভ করেননি। ইসরাইল ও এই ঘটনার সাক্ষীদের ধারণা, সুপালী ও তার মা ইসরাইলের টাকা ও মালামাল আত্মসাৎ করার জন্য সুপালীর সন্ধান দিচ্ছেন না। অথবা তার স্ত্রী সুপালী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সাথে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছে।
এলাকাবাসীরা জানান , বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত সুপালীর আচরণ স্বাভাবিক ছিল। তাকে দেখে কারও কোন সন্দেহই হয়নি।
ইসরাইল হোসেন বলেন, “আমার স্ত্রী সুপালী বেগম তার মোবাইলে আহম্মদ নামের এক ব্যক্তির সাথে প্রায়ই কথা বলতেন।
তিনি আরও বলেন, “আমার শ্বশুর বাড়িতে খোঁজখবর নেওয়ার পর জানতে পারি যে আমার শাশুড়ির সহায়তায় আমার স্ত্রী নওগাঁ জেলার হরদত্ত, কিশোরগঞ্জ এলাকার আহম্মদ আলী -৫০- এর বাড়িতে চলে গেছেন। বর্তমানে আমার স্ত্রী তার কাছেই আছেন।
আমি লালমনিরহাট সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছি। থানা থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
আমি লালমনিরহাট সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছি। থানা থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নূরনবী জানান, ইসরাইল হোসেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।