
নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি।।
নীলফামারীর ডোমারে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আরিফ হোসেনের(১৪)মাথা বিচ্ছিন্ন অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের ১৯ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে না পারেনি পুলিশ।হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে আরিফের সহপাঠী,পরিবার ও এলাকাবাসী।মঙ্গলবার(১৩ সেপ্টেম্বর)দুপুরে ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
দ্রুত সময়ের মধ্যে আরিফের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান-প্রধান মোড় প্রদক্ষিণ শেষে ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে মিলিত হয়।সমাজ সেবক আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন,আসাদুজ্জামান হিল্লোল,আরিফের বাবা আনোয়ার হোসেন,মা তফিনা বেগম,প্যানেল মেয়র সেলিম রেজা ও আরিফের সহপাঠিরা।নিহত আরিফের মা তফিনা বেগম বলেন,গত ১৯ আগষ্ট বিকেলে আমার ছেলে অটো নিয়ে বাইরে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।তার ৭দিন পর আমার ছেলের মাথা বিচ্ছিন্ন অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার ২৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ আমার ছেলের হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ নানা ভাবে আমাদের বুঝিয়ে সময় নষ্ট করছে।আমার ছেলের হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।আরিফের বাবা পৌরসভার কাজি পাড়ার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন,আমার ছেলে অটো চালিয়ে আমাদের সংসার চালান।ঘটনার ২৫ দিন পেরিয়ে গেলেও আমার ছেলের হত্যাকারীদের এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।তিনি আরিফ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানান।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাওসার আলম বলেন,প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা হত্যাকারীকে সনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।অচিরেই এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকল অপরাধীদের আইনের আত্ততায় আনা হবে।তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।এ ব্যাপারে ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মাহমুদ উন নবী বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন।সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ আগষ্ট বিকেলে ডোমার পৌর এলাকার কাজী পাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে অটো নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ৭ দিন পর ২৬ আগষ্ট ডোমার বড়রাউতা এলাকার সাধুর আশ্রম সংলগ্ন একটি গভীর নলকূপের ঘর থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ডোমার থানা পুলিশ।