Dhaka , Friday, 28 March 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
মহান স্বাধীনতা দিবসের ত্রিতরঙ্গের আয়োজন সাভারের আশুলিয়ায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে বিপ্লবী যুব উন্নয়ন সংঘ (BJUS) এর উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদল নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ জুলাই বিপ্লবে শহীদ স্মরনে ও আহতদের সম্মানে জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার ও দোয়া মাহফিল বাবুর হাট প্রাচ্যের ম্যানচেস্টার ঈদের বেচা কেনা জমে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষদের নিয়ে বিরিশিরি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত জুলাই-আগস্ট আন্দোলন নোয়াখালীতে তারেক জিয়ার ঈদ উপহার পেল দৃষ্টিশক্তি হারানো আমজাদ লালমনিরহাটের আদিতমারী থেকে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ১ মোটিভেট ভূরুঙ্গামারীর সকল সদস্যের নিরলস পরিশ্রমে আজকের নবীন বরণ, পুরষ্কার বিতরণ ডাব পাড়তে ডেকে নিয়ে ভাতিজাকে হত্যা, চাচা আটক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, ফরিদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ছুরি ধরে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ রামগঞ্জে  টপসয়েল কাটার অপরাধে ১লাখ টাকা জরিমানা  রূপগঞ্জে আগারপাড়া যুব সমাজের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও ইফতার মাহফিল রূপগঞ্জে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতারণ ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা আদালতের শহীদ উমর ফারুক ব্লাড ডোনার সোসাইটি’র দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  নরসিংদীর শিবপুরে যুবকের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শহীদদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে রূপগঞ্জ ঈদ উপহার, সেলাই মেশিন,ভ্যানগাড়ী বিতরন সিএমপি কর্তৃক বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক আযান, ক্বিরাত ও রচনা চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণ আমাদের সংকট এখনো শেষ হয় নাই- খলিলুর রহমান ইব্রাহিম  জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২ জন হাতীবান্ধা থেকে ফেনসিডিলসহ এক মাদক কারবারি গ্রেপ্তার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে আটক ৩ জন নোয়াখালীতে পথচারীদের জন্য বিএনপি নেতার ইফতার  সীতাকুণ্ডে কৃষকদলের সম্পাদক নাসির উদ্দিনকে জবাই করে হত্যা মেহেরপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে সকল নেতা কর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য- কাজী মনিরুজ্জামান মনির

সুন্দরগঞ্জে বিশুদ্ধ পানি চিকিৎসা সেবা ও পশুখাদ্য সংকটে বানভাসিরা।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 02:49:50 pm, Friday, 5 July 2024
  • 47 বার পড়া হয়েছে

সুন্দরগঞ্জে বিশুদ্ধ পানি চিকিৎসা সেবা ও পশুখাদ্য সংকটে বানভাসিরা।।

হযরত বেল্লাল
সুন্দরগঞ্জ -গাইবান্ধা- প্রতিনিধি।।
সুন্দরগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের পানিবন্ধি পরিবারের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।  বানভাসিদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ, যোগাযোগ ব্যবস্থা-চিকিৎসা সেবা ও পশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারিভাবে এ পর্যন্ত পানিবন্ধি পরিবারের জন্য বরাদ্দ মিলেছে ৩০ মেট্রিকটন চাল ও  ৪০০ প্যাকেট শুকনা খাবার। পানিবন্ধি পরিবারগুলো ইতিমধ্যে উচু স্থানে-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে-পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। গৃহপালিত পশুপাখি-বৃদ্ধ-বৃদ্ধা-শিশু ও প্রসুতি নারীদের নিয়ে নিদারুন কষ্টে রয়েছে চরবাসি।  পানি বাড়ায় চরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া এক চর হতে অন্য চরে যাওয়া আসা করা সম্ভব হচ্ছে না। 
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর-বেলকা- হরিপুর-চন্ডিপুর-শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকালেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সবগুলো চর ডুবে গিয়ে কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। সেই সাথে চরের সবগুলো ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। বন্যা আসলে তিস্তার শাখা নদীর আশপাশ ডুবে যায় পানিতে। বন্যা আসলেই শুরু হয় নদী ভাঙন। চলতে থাকে বছর ব্যাপী।  নদী পাড়ের মানুষের দাবি- স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ দিনেও স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙন রোধ- ড্রেজিং- নদী খনন- ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করেনি সরকার। যার কারনে প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি- হাজারও একর ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
           
কাপাসিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত থাকলেও বানভাসিদের কষ্ট বেড়েছে। সরকারি ভাবে যে বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা একেবারেই অপ্রতুল। অনেকে ঘরের টুইয়ের মধ্যে বসবাস করছে। চরের মানুষ বিশেষ করে গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছে।
হরিপুর ইউনিয়নের মঞ্জু মিয়া বলেন, পানি বাড়ার সাথে সাথে চরের মানুষ কষ্ট বাড়তে শুরু করে। হরিপুর ইউনিয়নের কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষ পানিবান্ধ হয়ে পড়েছে। গোটা চরাঞ্চল এখন পানিতে থৈ থৈ করছে। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার চরমভাবে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানিবন্ধি বেশিভাগ পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে এখনও  বসতবাড়ি ছেড়ে যায়নি। ঘরের চকির উপর এবং টুইয়ের মধ্যে বসবাস করছে। 
 হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান- পানি বাড়ায় তার গোটা ইউনিয়ন প্রায় ডুবে গেছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বন্যা দুর্গত মানুষের তালিকা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা অপ্রতুল। বানভাসি মানুষের বিশুদ্ধ পানি, গো-খাদ্য, চিকিৎসা সেবার অভাব দেখা দিয়েছে। 
         
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল জানান- বন্যা কবলিত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের তর্থ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে ৪ হাজার ৯০০ পরিবারের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ পরিবার উচু স্থান- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- বাঁধে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে চলে গেছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে ৩০ মেট্রিকটন চাল ও ৪০০ প্যাকেট শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ পাওয়া গেছে। 
 উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সার্বক্ষনিক বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হয়েছে। স্থানীয় ভাবে সকল প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বানভাসিদের মাঝে সরকারি বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

মহান স্বাধীনতা দিবসের ত্রিতরঙ্গের আয়োজন

সুন্দরগঞ্জে বিশুদ্ধ পানি চিকিৎসা সেবা ও পশুখাদ্য সংকটে বানভাসিরা।।

আপডেট সময় : 02:49:50 pm, Friday, 5 July 2024
হযরত বেল্লাল
সুন্দরগঞ্জ -গাইবান্ধা- প্রতিনিধি।।
সুন্দরগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের পানিবন্ধি পরিবারের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।  বানভাসিদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ, যোগাযোগ ব্যবস্থা-চিকিৎসা সেবা ও পশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারিভাবে এ পর্যন্ত পানিবন্ধি পরিবারের জন্য বরাদ্দ মিলেছে ৩০ মেট্রিকটন চাল ও  ৪০০ প্যাকেট শুকনা খাবার। পানিবন্ধি পরিবারগুলো ইতিমধ্যে উচু স্থানে-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে-পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। গৃহপালিত পশুপাখি-বৃদ্ধ-বৃদ্ধা-শিশু ও প্রসুতি নারীদের নিয়ে নিদারুন কষ্টে রয়েছে চরবাসি।  পানি বাড়ায় চরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া এক চর হতে অন্য চরে যাওয়া আসা করা সম্ভব হচ্ছে না। 
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর-বেলকা- হরিপুর-চন্ডিপুর-শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকালেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সবগুলো চর ডুবে গিয়ে কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। সেই সাথে চরের সবগুলো ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। বন্যা আসলে তিস্তার শাখা নদীর আশপাশ ডুবে যায় পানিতে। বন্যা আসলেই শুরু হয় নদী ভাঙন। চলতে থাকে বছর ব্যাপী।  নদী পাড়ের মানুষের দাবি- স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ দিনেও স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙন রোধ- ড্রেজিং- নদী খনন- ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করেনি সরকার। যার কারনে প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি- হাজারও একর ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
           
কাপাসিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত থাকলেও বানভাসিদের কষ্ট বেড়েছে। সরকারি ভাবে যে বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা একেবারেই অপ্রতুল। অনেকে ঘরের টুইয়ের মধ্যে বসবাস করছে। চরের মানুষ বিশেষ করে গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছে।
হরিপুর ইউনিয়নের মঞ্জু মিয়া বলেন, পানি বাড়ার সাথে সাথে চরের মানুষ কষ্ট বাড়তে শুরু করে। হরিপুর ইউনিয়নের কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষ পানিবান্ধ হয়ে পড়েছে। গোটা চরাঞ্চল এখন পানিতে থৈ থৈ করছে। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার চরমভাবে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানিবন্ধি বেশিভাগ পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে এখনও  বসতবাড়ি ছেড়ে যায়নি। ঘরের চকির উপর এবং টুইয়ের মধ্যে বসবাস করছে। 
 হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান- পানি বাড়ায় তার গোটা ইউনিয়ন প্রায় ডুবে গেছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বন্যা দুর্গত মানুষের তালিকা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা অপ্রতুল। বানভাসি মানুষের বিশুদ্ধ পানি, গো-খাদ্য, চিকিৎসা সেবার অভাব দেখা দিয়েছে। 
         
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল জানান- বন্যা কবলিত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের তর্থ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে ৪ হাজার ৯০০ পরিবারের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ পরিবার উচু স্থান- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- বাঁধে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে চলে গেছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে ৩০ মেট্রিকটন চাল ও ৪০০ প্যাকেট শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ পাওয়া গেছে। 
 উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সার্বক্ষনিক বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হয়েছে। স্থানীয় ভাবে সকল প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বানভাসিদের মাঝে সরকারি বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।