Dhaka , Tuesday, 8 October 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
রামগঞ্জ বিরেন্দ্র খাল পরিস্কার পরিদর্শনে ডিডিএলজি রফিকুল ইসলাম।। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক নান্দাইল চৌরাস্তায় মরণফাঁদ -জানজটে নাকাল চালক ও যাত্রি।। পাবনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ একজনকে ছুরিকাঘাত আহত ১২।। পাবনায় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে দুঃস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ।। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নামে কটুক্তি করার প্রতিবাদে রাজাপুরে বিক্ষোভ মিছিল।। দেবহাটা উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী সমাবেশ।। পাইকগাছায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে লতায় বিএনপির মতবিনিময়।। শারদীয়া দুর্গা পূজার ষষ্ঠী পূজার দিন উৎসবমুখর পরিবেশে বিরাজ করছে।। দুর্গাপুর থানার নতুন ওসি দূরুল হুদা।। নির্বিঘ্নে দুর্গোৎসব পালনে বিএনপি হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে আছে- মাহবুবের রহমান শামীম।। ঠাকুরগাঁও হরিপুরে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে শিশু নিহত এবং দুই জন আহত।। ঠাকুরগাঁওয়ে বদলি হওয়ার পরেও ছাড়ছেন না কোয়ার্টার দিচ্ছেন না ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল।। সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী অসুস্থ এম. এ মান্নান সিলেট ওসমানী হাসপাতালে।। ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন সড়ক অবরোধ নাটোরের লালপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইয়ের বাড়িতে ভাইয়ের হামলা।।  বন্যার্তদের পাশে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেবক।। উখিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দু’এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।। বাঁশখালীর সাবেক এমপি মোস্তাফিজসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের মামলা।। মা ইলিশ রক্ষায় পিরোজপুর সদর টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত।। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত পরিবারের মাঝে অর্থ বিতরণ ভোলা জেলা প্রশাসন।। আমতলীর ব্রীজ ভেঙ্গে মর্মান্তিক নিহত হওয়া সেই ব্রীজের পাশেই নির্মিত হচ্ছে কাঠেরপুল।। রূপগঞ্জে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর অবমাননাকারীর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ।। শহীদ আব্রার ফাহাদ স্মরণে চিলমারী ছাত্রদলের মৌন মিছিল ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত।। পিরোজপুর অপহরণ মামলার আসামি গ্রেফতার।। লক্ষ্মীপুরে বন্যায় সর্বশান্ত হয়েছে ৩ লাখ কৃষক।। মোংলায় সহযোগী জেলে উদ্ধারে কুমিরের সঙ্গে লড়াই।। মধুপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ তিন দপ্তরের প্রধান দায়িত্বে জুবায়ের হোসেন।। পাবনার যুবক ঢাকায় ছিনতাইকারীর হাতে খুন।। পর্যটকবাহী বোটে বিদেশি মদ বিয়ার বিক্রেতা সীমান্তের পেশাদার মাদক কারবারি শাহজাহন গ্রেফতার।। লালপুরের চংধুপইল শোভ ঠাকুরপাড়া গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি।।

সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীতে ভাঙন অব্যাহত।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 01:17:06 pm, Tuesday, 1 October 2024
  • 6 বার পড়া হয়েছে

সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীতে ভাঙন অব্যাহত।।

হযরত বেল্লাল
সুন্দরগঞ্জ -গাইবান্ধা- প্রতিনিধি।।
           
পানি নেমে গেলেও সুন্দরগঞ্জের তিস্তা নদীতে ব্যাপক ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে উঠতি আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলি জমি ও বসতবাড়ি নদীতে বিলিন হচ্ছে। গত সাত দিনের ব্যবধানে উপজেলা কাপাসিয়া ইউনিয়নের উত্তর লালচামার গ্রামে ১০টি বসতবাড়ি তিস্তায় বিলিন হয়ে গেছে ও ১৫টি বসতবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে এবং ১০০টি বসতবাড়ি ভাঙনের মুখে পড়েছে। সোমবার বিকালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের উত্তর লালচামার গ্রামে তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙন পরির্দশনে করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী মো. আহসান হাবিব- গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক- ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।    
           
উপজেলার তারাপুর- বেলকা- হরিপুর- চন্ডিপুর- শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। প্রতিবছর তিস্তায় পানি বাড়ালে বা কমলে এমনকি বন্যা দেখা দিলেই শুরু হয় নদী ভাঙন। যে ভাঙন চলতে থাকে মাসের পর মাস।  নদী পাড়ের মানুষের অভিযোগ- সরকার স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙন রোধ- ড্রেজিং- নদী খনন, ও সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি- হাজারও একর ফসলি জমি নদীতে বিলিন হচ্ছে।
           
কাপাসিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করে গত এক সপ্তাহ ধরে তিস্তা নদ তে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০টি বসতবাড়ি শতাধিক বিঘা জমির আমনক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বসতবাড়ি সরিয়ে নিয়ে গেছে অন্তত ৭০টি পরিবার। ভাঙনের মুখে পড়েছে শতাধিক বিঘা ফসলি জমিসহ ১০০টি বসতবাড়ি। তার ভাষ্য নদীতে পানি বাড়লে অথবা কমলে এবং বন্যা আসলে তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। চরের মানুষ এখন ত্র্যান চায় না- তারা স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙন রোধ চায়।
         
লালচামার গ্রামের ছামাদ মিয়া বলেন প্রতিবছর নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি- ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। একজন চরবাসিকে এক মৌসুমে কমপক্ষে ২-৪ বার ঘরবাড়ি সরাতে হয়। আজও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধের কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।
         
কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মন্জু মিয়ার দাবি নদী খনন- ড্রেজিং- স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে কল্পে বহুবার চাহিদা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আজও কোন ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ হতে নেয়া হয়নি। শুধুমাত্র ভাঙন রোধে প্রাথমিক ভাবে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। স্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকানো না হলে চরবাসির দুঃখ কোন দিনও দুর হবে না। ভাঙনে প্রতিবছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি এবং হাজারও একর ফসলি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
 উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশেদুল কবির জানান- কাপাসিয়া শ্রীপুর- চন্ডিপুর  ও হরিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি চরে তিস্তার ভাঙনে আমনক্ষেতসহ  অন্যান্য ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলি হচ্ছে। এতে করে কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। 
 উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল জানান- কাপাসিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি চরে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। চেয়ারম্যান তালিকা করে পাঠাতে বলা হয়েছে।
           
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান- সোমবার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। এই মহুত্বে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা ছাড়া আর কোন প্রকল্প হাতে নেই। স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ সরকারের উপর মহলের সিদ্ধানের ব্যাপার।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

রামগঞ্জ বিরেন্দ্র খাল পরিস্কার পরিদর্শনে ডিডিএলজি রফিকুল ইসলাম।।

সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীতে ভাঙন অব্যাহত।।

আপডেট সময় : 01:17:06 pm, Tuesday, 1 October 2024
হযরত বেল্লাল
সুন্দরগঞ্জ -গাইবান্ধা- প্রতিনিধি।।
           
পানি নেমে গেলেও সুন্দরগঞ্জের তিস্তা নদীতে ব্যাপক ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে উঠতি আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলি জমি ও বসতবাড়ি নদীতে বিলিন হচ্ছে। গত সাত দিনের ব্যবধানে উপজেলা কাপাসিয়া ইউনিয়নের উত্তর লালচামার গ্রামে ১০টি বসতবাড়ি তিস্তায় বিলিন হয়ে গেছে ও ১৫টি বসতবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে এবং ১০০টি বসতবাড়ি ভাঙনের মুখে পড়েছে। সোমবার বিকালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের উত্তর লালচামার গ্রামে তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙন পরির্দশনে করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী মো. আহসান হাবিব- গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক- ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।    
           
উপজেলার তারাপুর- বেলকা- হরিপুর- চন্ডিপুর- শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। প্রতিবছর তিস্তায় পানি বাড়ালে বা কমলে এমনকি বন্যা দেখা দিলেই শুরু হয় নদী ভাঙন। যে ভাঙন চলতে থাকে মাসের পর মাস।  নদী পাড়ের মানুষের অভিযোগ- সরকার স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙন রোধ- ড্রেজিং- নদী খনন, ও সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি- হাজারও একর ফসলি জমি নদীতে বিলিন হচ্ছে।
           
কাপাসিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করে গত এক সপ্তাহ ধরে তিস্তা নদ তে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০টি বসতবাড়ি শতাধিক বিঘা জমির আমনক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বসতবাড়ি সরিয়ে নিয়ে গেছে অন্তত ৭০টি পরিবার। ভাঙনের মুখে পড়েছে শতাধিক বিঘা ফসলি জমিসহ ১০০টি বসতবাড়ি। তার ভাষ্য নদীতে পানি বাড়লে অথবা কমলে এবং বন্যা আসলে তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। চরের মানুষ এখন ত্র্যান চায় না- তারা স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙন রোধ চায়।
         
লালচামার গ্রামের ছামাদ মিয়া বলেন প্রতিবছর নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি- ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। একজন চরবাসিকে এক মৌসুমে কমপক্ষে ২-৪ বার ঘরবাড়ি সরাতে হয়। আজও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধের কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।
         
কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মন্জু মিয়ার দাবি নদী খনন- ড্রেজিং- স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে কল্পে বহুবার চাহিদা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আজও কোন ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ হতে নেয়া হয়নি। শুধুমাত্র ভাঙন রোধে প্রাথমিক ভাবে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। স্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকানো না হলে চরবাসির দুঃখ কোন দিনও দুর হবে না। ভাঙনে প্রতিবছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি এবং হাজারও একর ফসলি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
 উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশেদুল কবির জানান- কাপাসিয়া শ্রীপুর- চন্ডিপুর  ও হরিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি চরে তিস্তার ভাঙনে আমনক্ষেতসহ  অন্যান্য ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলি হচ্ছে। এতে করে কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। 
 উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল জানান- কাপাসিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি চরে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। চেয়ারম্যান তালিকা করে পাঠাতে বলা হয়েছে।
           
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান- সোমবার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। এই মহুত্বে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা ছাড়া আর কোন প্রকল্প হাতে নেই। স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ সরকারের উপর মহলের সিদ্ধানের ব্যাপার।