
সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামে জমি দখলের উদ্দেশ্যে এক পুলিশ কনস্টেবল কর্তৃক ক্ষমতার অপব্যাহার স্বজনদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা ১১ টায় সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের করেন ওই পুলিশ সদস্যদের স্বজনরা।
এসময় পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত কনস্টেবল হাফিজুর রহমান মানিকের বিরুদ্ধে জমি দখলের উদ্দেশ্যে তার চাচা-চাচি,চাচাতো ভাইসহ পরিবারের ২০ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মানিকের চাচতো ভাই রফিজুজ্জামান রুহেল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মানিকের চাচা হাফিজ উদ্দিন, চাচি আমিনা খাতুন, মিনারা খাতুন, খোরশেদা খাতুন, চাচা আব্দুর রশিদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পুলিশ সদস্য মানিকের দাদা মৃত আব্দুল আজিজের রেখে যাওয়া এক একর ৮০ শতক ভূমি উত্তরাধকারসূত্রে তার ৫ বাবা-চাচা মালিক হন। কিন্তু মানিক ও মানিকের বাবা মনিরুজ্জামান বাকি উত্তরাধিকারীদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে যাচ্ছেন। স্বজনদের আর্থিক ও মানসিকভাবে দুর্বল এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে অন্তত ২০ আত্মীয়-স্বজনের নামে এ পর্যন্ত ১১ টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওইসব মামলায় ১৭ জন সদস্য বিভিন্ন মেয়াদে হাজতবাস করেছেন। মানিকের বাবা মনিরুজ্জামান ও তার ভাই মোহাম্মদ আলী নয়ন বাদী হয়ে দায়ের করা এসব মামলা দিয়ে জমি আত্মসাতের ঢাল হিসেবে দায়ের করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। মামলায় মানিকের চাচা, চাচি, চাচতো ভাই, ফুফু, ফুফা, চাচতো ভাইয়ের স্ত্রী ও বোনদের আসামি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, মানিক ও তার পরিবারের সদস্য দ্বারা একাধিকবার মারধর, নির্যাতন ও হামলার শিকার পরিবারগুলো পুলিশি প্রভাবের কারণে থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে আদালতের সম্মুখিন হলেও থানা থেকে কোনরূপ সুবিচার পাননি। অন্যদিকে, বিবাদিত ভূমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আদালতের আদেশ উপক্ষো করে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সদর থানাপুলিশের একটি দল উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে মানিকের পক্ষ নিয়ে জোরপূর্বক হালচাষ করায়।
পুলিশের এমন একতরফা আচরণে আমরা চরম ভীত-সন্তস্ত্র অবস্থায় দিনাতিপাত করছে পরবারগুলো। সেইসাথে ন্যায্য ভূমি থেকে বিতাড়িত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদস্য হাফিজুর রহমান মানিকের মোবাইল ফোনে তার বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।