
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
লালমনিরহাটে মহান স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্মারক হিসেবে নির্মিত লালমনিরহাট শিশু পাক সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মঞ্চে স্থাপিত ম্যুরাল স্মৃতিস্মারকটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখায় তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সচেতন নাগরিক কমিটি -সনাক-, লালমনিরহাট।
২৬ মার্চ “বুধবার” দুপুরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীদের এ সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, টিআইবি’র এরিয়া কোঅর্ডিনেটর মো. মোরশেদ আলম।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৬ মার্চ সকালে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করতে এসে উপরোল্লিখিত বিষয়টি সনাকের নজরে আসে।
সে সময় সনাক লালমনিরহাট সহ-সভাপতি বলেন “যে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও অবদানে আমরা এ দেশ পেয়েছি তাদের ইতিহাস ও স্মৃতিচিহ্ন ঢেকে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে তাদের অবদান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অস্বীকার করা। মুক্তিযুদ্ধের কার্যক্রম পরিচালনায় ৬নং সেক্টর হিসেবে চিহ্নিত লালমনিরহাটে গত ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস এবং আজ ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রশাসনের এরূপ কর্মকাণ্ড মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
মো. মোরশেদ আলম জানান, একজন ব্যক্তিকে -বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- কেন্দ্র করে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ষেষট্টির ছয় দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের এ স্মৃতিস্মারক ম্যুরালটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ায় সনাক লালমনিরহাট এর পক্ষ থেকে তীব্রনিন্দা জানানো হয় এবং এর প্রতিবাদ স্বরূপ সনাকের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি না দিয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে শহিদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়।
ওই শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি রাওয়ানা মার্জিয়া, সদস্য ডা. মো. কাসেম আলী, অ্যাডভোকেট চিত্ত রঞ্জন রায় মন্টু, এসএম আবু হাসনাত রানা, রিয়াজুল হক সরকার, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রব সুজন, টিআইবি’র এরিয়া কোঅর্ডিনেটর মো. মোরশেদ আলমসহ ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট -ইয়েস- ও অ্যাকটিভ সিটিজেন্স গ্রুপ -এসিজি- সদস্যবৃন্দ।