মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি।।
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলায় গত এক সপ্তাহে ২৫টি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে কোন কাগজ পত্র না থাকায় ১২ টি ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্র না থাকায় ১৩ ইটভাটাকে ২১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজিদ আহমেদ ও সুলতানা সালেহা সুমি এবং লক্ষ্মীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হারুনুর রশিদ পাঠান।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় রামগতি উপজেলার চর আফজাল ও বিবিরহাট এলাকার ফাতেমা ইটভাটায়- ফারদিন আনাম ব্রিকস- শাওন সোহাগ ব্রিকস ও আমানত ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় দুটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
লক্ষ্মীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হারুনুর রশিদ পাঠান বলেন, গত ২৪ থেকে ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৫টি ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময়ে ১৩ টিতে ২১ লাখ টাকা জরিমানা ও ১২ টিতে চিমনিসহ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
হারুনুর রশিদ বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলার ৫টি উপজেলায় প্রায় দেড় শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার বেশির ভাগই অবৈধ। পাশাপাশি- সরকারি আইন মানা হয়নি বা পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নেই। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অভিযান শুরু হয়েছে। এটি অব্যাহত রাখা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজিদ আহমেদ বলেন, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা যে সব ইটভাটা রয়েছে। প্রতিটি ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসব অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য বিপন্ন হচ্ছে। কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনকে হাত করে বছরের পর বছর অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হয় কাঠ। এতে সৃষ্ট ধোঁয়া ও ছাই থেকে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বিভিন্ন গাছপালা ও ফসলের। ফলে শিশু, নারী পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই সাড়া বছর লেগেই আছে । অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান এলাকাবাসী।