
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি
আধিপত্য বিস্তারের জেরে লক্ষ্মীপুরে রায়পুর উপজেলার খাসেরহাট এলাকায় বিএনপি দু গ্রুপের সংঘর্ষে সাইজ উদ্দিন (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে আরো ১৫জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনার জেরে কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়।
আজ সোমবার বিকেলে বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজ ও কৃষক দল নেতা শামীম গাজী সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় শামীম গাজী ও ফারুক কবিরাজ একে অপরকে দায়ী করেছেন।
দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ২নং চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজ ও উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব শামীম গাজী গ্রুপের মধ্যে মাছঘাট, মেঘনার চর, কাঁচাবাজার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
আজ সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় অন্তত ১৫জন আহত হয়। ঘটনার জেরে বিকেলে ফারুক কবিরাজের ভাই মেহেদী কবিরাজের নেতৃত্বে কয়েকজন শামীম সমর্থক আবু খাঁ ও সাইজ উদ্দিনকে খাসেরহাট বাজারের নতুন ব্রীজের পাশ থেকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।
পরে সাইজ উদ্দিনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আশংকাজনক অবস্থায় বিএনপি কর্মী আবু খাঁ, নজরুল কবিরাজ, হানিফ দেওয়ান, জসিম উদ্দিনসহ চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের চারজনের অবস্থায় আশংকাজনক। অন্য আহতদের লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনার জেরে খাসেরহাট এলাকায় কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. সালেহ আহমেদ বলেন, নানা অপরাধে গত ২১ ডিসেম্বর ২ নং চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও কৃষকদলসহ সকল অঙ্গসংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব শামীম গাজী ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সাইজ উদ্দিন মারা গেছেন। বেশ কয়েকজন আহত হয়। কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর করার খবর শুনেছি।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. কমলাশীষ বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে সাইজ উদ্দিন মারা যায়।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আধিপত্যা বিস্তার নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন মারা যান। কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।