মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৮নংকরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়েজ উল্যা জিসানকে পৌরসভা নির্বাচনে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগের মামলায় আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। তিনি করপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের নেতা।
পুলিশ জানায়- রোববার বিকালে বেঁড়িবাজার এলাকায় লামচর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও করে জিসানকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে রাতে রামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহিম মজুমদার বাদী হয়ে মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে জিসানকে প্রধান আসামী করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামি করা হয়।
এলাকাবাসী জানান- ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চেয়ারম্যান জিসান ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। রোববার ঢাকা থেকে ফিরে তিনি পরিষদে যান। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন ইউপি কার্যালয় ঘেরাও করে তাকে আটক করেন। পরে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাকে রামগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়- ২০১১ সালে পৌরসভার নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ইব্রাহিম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন- কিন্তু অভিযুক্ত জিসান তাকে মারধর করে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে ইব্রাহিমের বাড়িতেও হামলা-ভাঙচুর করা হয়। এতে ইব্রাহিম ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
জানতে চাইলে সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহিম মজুমদার বলেন- জিসান চেয়ারম্যানসহ অভিযুক্তদের কারণে আমি নির্বাচন করতে পারিনি। আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি। এখন তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তাকে পুলিশ কারাগারে পাঠিয়েছে। আশা করছি- দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্য আসামিরাও গ্রেফতার হবে।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন- আটকের পর চেয়ারম্যান জিসানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে । তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার অন্য আসামী ধরার জোর তৎপরতা চলছে।