
কুমিল্লার বরুড়ায় গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী আলমগীরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাজধানী যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার নিকট থেকে ১টি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, কুমিল্লার বরুড়া থানা এলাকায় বসবাস করত ভিকটিম ও আসামী সাইফুল। তারা আত্মীয়তার সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায় তারা নিজেরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবহিকতায় গত ১২ জুলাই তারা বিয়ে করার উদ্দেশ্য বাড়ী থেকে বের হয়। তাদের বিয়েতে সহযোগিতা করতে সাইফুল তার তিন বন্ধু আলমগীর, মকরম ও অপর আসমীকে খবর দেয়। এসময় সাইফুল তাদের বিয়েতে পরিবারের সদস্যদের আনার কথা বলে ভিকটিমকে আলমগীর ও অপর আসামীর কাছে রেখে যায়।
পূর্বপরিকল্পিত মতে ভিকটিমকে কাজী অফিসে যাওয়ার কথা বলে আলমগীর ও অপর আসামী বরুড়ার দূর্গাপুর এলাকার একটি বাসায় নিয়ে উপর্যপুরি ধর্ষন করে। ধর্ষনে ভিকটিম বাঁধা দেওয়ায় আলমগীর টর্চ লাইট দিয়ে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে ভিকটিমকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোড়পূর্বক আলমগীর ও অপর আসামী পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে ধর্ষণকারীরা ঘটনাটি কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে ভিকটিমকে দূর্গাপুর পাকা রাস্তার উপর একা ফেলে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ১৩ জুলাই ভিকটিম তার পরিবারের সহযোগিতায় বরুড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে,যার মামলা নং ৭। মামলায় আসামীরা হলেন আলমগীর,প্রেমিক সাইফুল,মোকারম ও অপরজন।
র্যাব ১০ এর অপারেশন অফিসার এনায়েত সোয়েব জানান,ঘটনার পর থেকে ৪ জন আসামী আত্মগোপনে চলে যায়। বৃহস্পতিবার মামলার প্রধান আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয় । বাকী আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।