মোঃ সোহেল
ভোলা জেলা প্রতিনিধ।।
ভোলা জেলার বিক্রি করা খাঁচাবন্দি পাখি উন্মুক্ত আকাশে দৌলতখান উপজেলার মিয়ার হাট বাজারে একটি দোকানে খাঁচায় রেখে বিক্রির সময় ১৬ টি পাখি উদ্ধারের পর এসব পাখি মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৬টি পাখিই ছিলো ঘুঘু।
আজ -১৪ অক্টোবর- দুপুর ৩ টার সময় মিয়ার হাট বাজারে মাশাল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি দোকান থেকে বন বিভাগের কর্মকর্তা পাখিগুলো উদ্ধার করে মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দেন।
দৈনিক ভোলা টাইমস্ পত্রিকার একটি টিম পাখির দোকানে গিয়ে কাগজপত্র ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন দোকানের মাকিক কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দোকানের মালিক আব্দুর রহিম বলেন- আমি টাকা দিয়ে পাখি কিনেছি এবং পাখির ব্যবসা করি এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার আমি কাগজপত্র করবো কিনা। তবে পাখি বিক্রি করতে গিয়ে যদি কোন কাগজপত্র করা লাগে পরবর্তীতে করে নেব।
দৈনিক ভোলা টাইমস্ পত্রিকার টিম এই ব্যাপারে দৌলতখান রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম এর কাছ থেকে বক্তব্য চাইতে গেলে তিনি তাত্তনিকভাবে ব্যবস্থা নিবেন বলে সাংবাদিকদের জানান। পরবর্তীতে প্রায় ২৫ মিনিট পর পাখির দোকানে বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত হন।
বাংলাবাজার বন কেন্দ্র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম পাখির দোকানে উপস্থিত হয়ে মালিক আব্দুর রহিমকে কাগজপত্র দেখাতে বললে দেখাতে পারেননি। পরে দোকানের খাচা থেকে ১৬টি ঘুঘু উদ্ধার করে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ সময় তিনি আরও বলেন- বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী এসব পাখি বিক্রি অবৈধ। তাই আমরা এগুলো উদ্ধার করে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দিয়েছি।