
সিলেট প্রতিনিধি।।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার -দক্ষিণ- মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ও শাহপরাণ -রহঃ- থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেনের তদারকিতে এএসআই -নিঃ- মোঃ হুমায়ুন মিয়া ও তার সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে ৫৩ বস্তায় ২৫৯৭ কেজি ভারতীয় চিনি এবং ২ বস্তায় ৪২ কেজি ভারতীয় সুপারি জব্দ করেন।
অভিযানটি ০৩-১২-২০২৪ খ্রিঃ তারিখে শাহপরাণ -রহঃ- থানাধীন বটেশ্বরস্থ জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুলের সামনে পাকা রাস্তার উপর চেকপোষ্ট পরিচালনা করা হয়। সকাল অনুমান ১১:০৫ ঘটিকায় সিয়েরা-৬৩ ডিউটি পালনকালে পুলিশের কাছে তথ্য আসে যে একটি ডিআই পিকআপে ভারতীয় চিনি সিলেট শহরের দিকে আনা হচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে চেকপোস্ট স্থাপন করে সন্দেহভাজন পিকআপটি থামানো হয়।
ডিআই পিকআপটি তল্লাশি করে ৫৩ বস্তা ভারতীয় চিনি যার প্রত্যেকটি বস্তার গায়ে ইংরেজীতে WHITE CRYSTAL SUGAR INDIA সহ আরো অনেক ইংরেজী শব্দ লিখা আছে এবং ২ বস্তা ভারতীয় সুপারি পাওয়া যায়। প্রতিটি চিনি বস্তায় ৪৯ কেজি করে মোট ২৫৯৭ কেজি। জব্দকৃত চিনি ও সুপারি বাজারমূল্য যথাক্রমে ৩,১১,৬৪০/- টাকা ও ৪,০০০/- টাকা।
জিজ্ঞাসাবাদে পিকআপে থাকা দুই ব্যক্তি জানায়, তারা তামাবিল স্থল শুল্ক গুদাম থেকে নিলামে চিনি কিনেছে। তারা ডেলিভারি চালান উপস্থাপন করলে চালান কপিতে ৩৬ বস্তা চিনির উল্লেখ থাকলেও উক্ত পিকআপটি তল্লাশি করার সময় মোট ৫৩ বস্তা ভারতীয় চিনি এবং ০২ -দুই-বস্তা ভারতীয় সুপারি পাওয়া যায়। যা চালানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় উক্ত মালামাল অবৈধ হিসেবে প্রতীয়মান হয়।
ধৃত ব্যক্তিরা হলেন-
১। মোঃ বদিউজ্জামান -৩১- পিতা- মৃত কামাল উদ্দিন- মাতা- আনোয়ারা বেগম- সাং- ইসলামাবাদ- থানা- গোয়াইনঘাট- জেলা- সিলেট।
২। বদরুল আলম -৩৪- পিতা- মৃত ময়না মিয়া -মাতা- হোসনে আরা বেগম- সাং- বাঘেরসড়ক নোয়ামাটি- থানা- গোয়াইনঘাট- জেলা- সিলেট।
এসআই -নিঃ- মোঃ সানাউল ইসলামের নেতৃত্বে যথাযথ নিয়মে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে মালামাল জব্দ করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাহপরাণ -রহঃ- থানায় এফআইআর নং ০১- তারিখ- ৩ ডিসেম্বর ২০২৪- আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।