কক্সবাজার প্রতিনিধি।।
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার আলোচিত স্কুল শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে অপহরণ, ৩৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি এবং হত্যা ও লাশ গুমের ঘটনার অন্যতম মূল হোতা ও পরিকল্পনাকারী মো. রুবেল খানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
১০ অক্টোবর দিবাগত রাত ৩ টা ৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগরের আন্দরকিল্লা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব সূত্রে জানা যায়- গত ২৮ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের পেকুয়া হতে অপহরণের শিকার হন পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুলের অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম। পরবর্তীতে অপহৃতের মোবাইল থেকে কল করে স্বজনদের নিকট ৩৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও অপহৃতের স্বজনদের নিকট কল করে মুক্তিপণ দাবিকারী হিসেবে রুবেলকে শনাক্ত ও তার বিস্তারিত পরিচয় ও অবস্থানস্থল উদঘাটনে সমর্থ হয় সংস্থাটি। পরবর্তীতে র্যাব ১৫, র্যাব ১১ ও র্যাব ৭ এর যৌথ আভিযানিক দল র্যাব সদরদপ্তর গোয়েন্দা শাখার সার্বিক সহযোগিতায় রুবেলকে গ্রেপ্তারের মিশনে নামে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে তারা। গ্রেপ্তারকৃত রুবেল চাঁদপুর সদর উপজেলার চরপুরচণ্ডী গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুল্লাহ খানের জ্যেষ্ঠ পুত্র।
অভিযানের অন্যতম নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন র্যাব ১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। তিনি জানান- অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত রুবেল অন্যতম। এই রুবেলই সরাসরি অপহৃতের স্বজনদের নিকট অপহৃতের মোবাইল থেকে দফায়দফায় কল দিয়ে ৩৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এ ছাড়া অপহরণের আগে অধ্যক্ষ আরিফুলের গতিবিধির উপর দীর্ঘদিন যাবত নজরদারিও করেন রুবেল।
র্যাব কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন শামীম আরো বলেন- গ্রেপ্তারের পর রুবেল এই হত্যাকাণ্ড ও মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা অকপটে স্বীকার করেন। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য অপরাধীকেও শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে মর্মেও জানান তিনি। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গ্রেপ্তারকৃত রুবেল আর কী কী তথ্য দিয়েছেন- জানতে চাইলে তদন্তের স্বার্থে এ প্রসঙ্গে এখনই আর কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন এ র্যাব কর্মকর্তা।
এদিকে অপহরণের ১৩ দিনের মাথায় -১১ অক্টোবর- পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে অধ্যক্ষ আরিফুলের বস্তাবন্দী গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রুবেলকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজারের পেকুয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে র্যাব।পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফ ভাইকে অপহরণ পরবর্তী হত্যার সঙ্গে জড়িত অন্যতম মূলহোতা রুবেল খাঁনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব।
রুবেল মুঠোফোন কোম্পানি বাংলালিংক এর মার্কেট ডেভেলপমেন্ট অফিসার -এমডিও- হিসেবে পেকুয়ায় কর্মরত ছিলেন এবং শিক্ষক আরিফের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
ইতিমধ্যে রুবেল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের নাম প্রকাশ করেছে। তাঁর কাছ থেকে শিক্ষক আরিফের ব্যবহৃত মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।