Dhaka , Monday, 20 January 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
দুর্গাপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ ফ্যাসিস্ট বেনজিরের ক্যাশিয়ার জসিম উদ্দিন কে গ্রেফতারের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঢাকা উত্তর ছাত্রদলের নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে নোমানের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল ‘তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান সংযোগ বিচ্ছিন্ন জরিমানা আদায় দূষণ বিরোধী অভিযানে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা ৩ ইটভাটা বন্ধ ২,২২৩ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য মহড়ার আয়োজন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পার্বত্য এলাকার বহুমুখী পণ্যের দেশব্যাপী প্রসারে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন হচ্ছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাবের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ডা. শাহাদাত পাইকগাছায় লটারীতে রাস্তা নির্মানের টেন্ডার সম্পন্ন বন্ধ হলো ভোরের কাগজ বাংলাদেশ বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র সংস্কার ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে রাকিব মুসল্লী ও হৃদয় হাসান লক্ষ্মীপুরে ড্রামট্রাকের চাপায় ২ অটো রিকশা যাত্রী  নিহত  পাইকগাছায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত  পাইকগাছার শীতার্তদের মাঝে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির শীতবস্ত্র বিতরণ হাটহাজারী অনলাইন প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন মেহেরপুরে তারুণ্যের ভাবনায় নতুন বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা রামগঞ্জের নিখোঁজের চার দিন পর বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার বিভিন্ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম লুটপাট বন্ধের দাবিতে দুর্গাপুরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পিরোজপুর মাহামুদ হোসাইন শক্ত নেতৃত্বে চাঙ্গা হচ্ছে পিরোজপুর-২ ভান্ডারিয়া,কাউখালি,নেছারাবাদ বিএনপি জনসংযোগ কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধান তথ্য অফিসার জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমকে প্রাধান্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করুন পাইকগাছায় তারেক রহমানের পক্ষে বিএনপি’র কম্বল বিতরণ  হাটহাজারিতে জমির টপসয়েল কাটার দায়ে অর্থদণ্ড আজ শহীদ আসাদ দিবস পালিত নরসিংদীতে ভারতীয় পণ্যসহ যুবক আটক ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ রিয়াজের নামে বরিশালের হিজলায় লঞ্চঘাটের পন্টুন উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা সুন্দরবন থেকে ২৫কেজি হরিণের মাংস জব্দ মুক্তিপণের টাকা দিয়েও অনয়কে মরতে হলো শহীদ জিয়ার জন্ম বার্ষিকীতে মেহেরপুরে বিএনপির দোয়া মাহফিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালিত

পরিবেশ-ধরিত্রীর সুরক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 01:41:37 pm, Friday, 26 January 2024
  • 606 বার পড়া হয়েছে

পরিবেশ-ধরিত্রীর সুরক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন।।

তৌহিদ বেলাল কক্সবাজার।।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-ধরা’র উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, পরিবেশ ও ধরিত্রীর সুরক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। কাজেই আমাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে যাতে রাজনৈতিক শক্তি যথাযথ ভুমিকা পালনে জবাবদিহি করতে বাধ্য হন।
তিনি কক্সবাজারে এক নাগরিক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির আলোচনায় একথা বলেন। 
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-ধরা ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখা আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন, ধরা-র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও ব্রতী’র নির্বাহী পরিচালক শরমিন মুরশিদ। 
কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত এই সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন, ওয়াটারকিপার্শ বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও ধরা-র কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব শরীফ জামিল। 
ধরা-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার জেলা আহবায়ক এবং কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে আলোচনায় অংশ নেন, ধরা-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল করিম চৌধুরী কিম, এজেএম গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকতার উজ জামান চৌধুরী, শওকতুল ইসলাম চৌধুরী বাহাদুর, কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি এইচএম ফরিদুল আলম শাহীন, ধরা-র জেলা কমিটির সদস্যসচিব ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী আবু মুসা মুহাম্মদ, কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিএনএন বাংলা সম্পাদক তৌহিদ বেলাল, পর্যটন উদ্যোক্তা মুকিম খান, ধরা কক্সবাজার সদর উপজেলার মুহাম্মদ হাসান, কক্সবাজার পৌরসভার আরিফুল্লাহ নূরী, টেকনাফ উপজেলার নুরুল হোসাইন, পেকুয়া উপজেলার দেলোয়ার হোসেন, কুতুবদিয়া উপজেলার শহিদুল ইসলাম, মহেশখালী উপজেলার আলাউদ্দিন আলো ও মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুস, চকরিয়া উপজেলার সাঈদুল হক চৌধুরী, ঈদগাঁও উপজেলার রেজাউল করিম, উখিয়া উপজেলার ছেনোয়ারা বেগম সানি, টেকনাফ উপজেলার হারুনর রশীদ সিকদার প্রমুখ। 
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-ধরা-ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে ‘কক্সবাজারের পরিবেশগত সংকট ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে শরমীন মুরশিদ বলেন পরিবেশ রক্ষার প্রচেষ্টায় তরুণদেরকে আরো বেশি যুক্ত করতে হবে। পরিবেশ ও ধরিত্রী রক্ষার আন্দোলনকে স্কুল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে’। 
তিনি এই প্রচেষ্টায় সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিবর্গ ও নারীদেরকে যুক্ত করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান আলোচক শরীফ জামিল ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ পরিচালিত Assessment of the state of the environment and ecology for Cox’s Bazar and its surrounding areas শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কক্সবাজার ও আশেপাশের পরিবেশ, পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ ও করনীয় বিষয়সমুহ তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, কক্সবাজারের পরিবেশ-প্রতিবেশ আজ ধ্বংসের মুখে। নদী, বন, পাহাড়, জীববৈচিত্র্য, সাগরতীর ধ্বংস করে চলছে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। অতিরিক্ত ইট-পাথরের ভবনের ভারে সেন্টমার্টিন যেমন ডুবন্ত প্রায় তেমনি দখল-দূষণে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঁকখালী, ঈদগাঁও-এর ফুলেশ্বরী, চকরিয়ার মাতামুহুরী ও মহেশখালীর কোহেলিয়া সহ অসংখ্য নদী। উন্নয়নের চাপ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না ভার্জিন দ্বীপ সোনাদিয়াও। হোটেলের পয়ঃবর্জ্যে সাগরের পানি দূষিত হচ্ছে। এখনই উদ্যোগ না নিলে নৈসর্গিক কক্সবাজারকে বাঁচানো কঠিন হবে। কক্সবাজারের ভবিষ্যতের উপর জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে, তাই এটি শুধু কক্সবাজারের সমস্যা নয়, এটি এখন জাতীয় সমস্যা।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ ধ্বংসকারীরা যত শক্তিশালীই হোক না কেন তাদেরকে চিহ্নিত করে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিয়ে কক্সবাজারকে বাঁচাতে হবে। নয়তো আমরা যতই আন্দোলন, লেখালেখি বা মামলা-মোকদ্দমা করি না কেন, সেগুলো কোনো কাজে আসবে না। পর্যটন নগরীর পরিবেশের লাগাম এখনই টেনে ধরতে হবে। সরকারের উচিত আগে পরিবেশ রক্ষা, এরপর উন্নয়ন করা। এ মুহূর্তে ধরা-র মতো পরিবেশবাদী সংগঠনের মাধ্যমে সাংবাদিক, পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার।
আলোচনা সভায় উপস্থাপিত গবেষণাটি কক্সবাজার জেলার সবকটি উপজেলায়; কক্সবাজার শহর ও সদর, ঈদগাঁও, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, টেখনাফ, পেকুয়া, ও রামুতে পরিচালিত হয়। গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, ৬টি উপজেলা বন নিধন, ৭টি উপজেলা পাহাড় কর্তন ও ৯টি উপজেলা বালু উত্তোলনের ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে। ৪টি উপজেলার জলাভূমি ময়লা ফেলা এবং ৬টি উপজেলার জলাভূমি দখল, পলি জমা, ড্রেজিং, পাহাড় কর্তনসহ বিভিন্ন কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে। উপরোল্লিখিত ৯টি উপজেলাতেই অবৈধ দখলের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে। এদের ৭টিতেই চলছে অবৈধ ইটের ভাটা। সাধারণ জমি লবণ ও চিংড়িচাষের জন্য রূপান্তরিত করার ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলা। পানীয় জলের সংকটের ঝুঁকিতে রয়েছে জেলা সদরসহ প্রায় সবকটি উপজেলা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণকালে ৬২টি বিপন্ন এশিয়ান হাতির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১৭,৭৯৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, কিন্তু এখনো অনেকে যথাযত ক্ষতিপূরণ পায়নি। রোহিঙ্গাদের পূনর্বাসনের জন্য অতিরিক্ত ৬,১৬৪ একর বন নিধন করা হয়েছে এবং প্রতিদিন ৬,৮০০ টন কাঠের জ্বালানি রোহিঙ্গাদের রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-ধরা-এর কার্যক্রম কক্সবাজারে শুরু করার জন্য ফজলুল কাদের চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং জাহাঙ্গীর আলমকে সদস্যসচিব করে একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

দুর্গাপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ

পরিবেশ-ধরিত্রীর সুরক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন।।

আপডেট সময় : 01:41:37 pm, Friday, 26 January 2024
তৌহিদ বেলাল কক্সবাজার।।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-ধরা’র উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, পরিবেশ ও ধরিত্রীর সুরক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। কাজেই আমাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে যাতে রাজনৈতিক শক্তি যথাযথ ভুমিকা পালনে জবাবদিহি করতে বাধ্য হন।
তিনি কক্সবাজারে এক নাগরিক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির আলোচনায় একথা বলেন। 
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-ধরা ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখা আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন, ধরা-র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও ব্রতী’র নির্বাহী পরিচালক শরমিন মুরশিদ। 
কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত এই সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন, ওয়াটারকিপার্শ বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও ধরা-র কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব শরীফ জামিল। 
ধরা-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার জেলা আহবায়ক এবং কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে আলোচনায় অংশ নেন, ধরা-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল করিম চৌধুরী কিম, এজেএম গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকতার উজ জামান চৌধুরী, শওকতুল ইসলাম চৌধুরী বাহাদুর, কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি এইচএম ফরিদুল আলম শাহীন, ধরা-র জেলা কমিটির সদস্যসচিব ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী আবু মুসা মুহাম্মদ, কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিএনএন বাংলা সম্পাদক তৌহিদ বেলাল, পর্যটন উদ্যোক্তা মুকিম খান, ধরা কক্সবাজার সদর উপজেলার মুহাম্মদ হাসান, কক্সবাজার পৌরসভার আরিফুল্লাহ নূরী, টেকনাফ উপজেলার নুরুল হোসাইন, পেকুয়া উপজেলার দেলোয়ার হোসেন, কুতুবদিয়া উপজেলার শহিদুল ইসলাম, মহেশখালী উপজেলার আলাউদ্দিন আলো ও মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুস, চকরিয়া উপজেলার সাঈদুল হক চৌধুরী, ঈদগাঁও উপজেলার রেজাউল করিম, উখিয়া উপজেলার ছেনোয়ারা বেগম সানি, টেকনাফ উপজেলার হারুনর রশীদ সিকদার প্রমুখ। 
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-ধরা-ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে ‘কক্সবাজারের পরিবেশগত সংকট ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে শরমীন মুরশিদ বলেন পরিবেশ রক্ষার প্রচেষ্টায় তরুণদেরকে আরো বেশি যুক্ত করতে হবে। পরিবেশ ও ধরিত্রী রক্ষার আন্দোলনকে স্কুল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে’। 
তিনি এই প্রচেষ্টায় সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিবর্গ ও নারীদেরকে যুক্ত করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান আলোচক শরীফ জামিল ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ পরিচালিত Assessment of the state of the environment and ecology for Cox’s Bazar and its surrounding areas শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কক্সবাজার ও আশেপাশের পরিবেশ, পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ ও করনীয় বিষয়সমুহ তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, কক্সবাজারের পরিবেশ-প্রতিবেশ আজ ধ্বংসের মুখে। নদী, বন, পাহাড়, জীববৈচিত্র্য, সাগরতীর ধ্বংস করে চলছে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। অতিরিক্ত ইট-পাথরের ভবনের ভারে সেন্টমার্টিন যেমন ডুবন্ত প্রায় তেমনি দখল-দূষণে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঁকখালী, ঈদগাঁও-এর ফুলেশ্বরী, চকরিয়ার মাতামুহুরী ও মহেশখালীর কোহেলিয়া সহ অসংখ্য নদী। উন্নয়নের চাপ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না ভার্জিন দ্বীপ সোনাদিয়াও। হোটেলের পয়ঃবর্জ্যে সাগরের পানি দূষিত হচ্ছে। এখনই উদ্যোগ না নিলে নৈসর্গিক কক্সবাজারকে বাঁচানো কঠিন হবে। কক্সবাজারের ভবিষ্যতের উপর জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে, তাই এটি শুধু কক্সবাজারের সমস্যা নয়, এটি এখন জাতীয় সমস্যা।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ ধ্বংসকারীরা যত শক্তিশালীই হোক না কেন তাদেরকে চিহ্নিত করে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিয়ে কক্সবাজারকে বাঁচাতে হবে। নয়তো আমরা যতই আন্দোলন, লেখালেখি বা মামলা-মোকদ্দমা করি না কেন, সেগুলো কোনো কাজে আসবে না। পর্যটন নগরীর পরিবেশের লাগাম এখনই টেনে ধরতে হবে। সরকারের উচিত আগে পরিবেশ রক্ষা, এরপর উন্নয়ন করা। এ মুহূর্তে ধরা-র মতো পরিবেশবাদী সংগঠনের মাধ্যমে সাংবাদিক, পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার।
আলোচনা সভায় উপস্থাপিত গবেষণাটি কক্সবাজার জেলার সবকটি উপজেলায়; কক্সবাজার শহর ও সদর, ঈদগাঁও, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, টেখনাফ, পেকুয়া, ও রামুতে পরিচালিত হয়। গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, ৬টি উপজেলা বন নিধন, ৭টি উপজেলা পাহাড় কর্তন ও ৯টি উপজেলা বালু উত্তোলনের ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে। ৪টি উপজেলার জলাভূমি ময়লা ফেলা এবং ৬টি উপজেলার জলাভূমি দখল, পলি জমা, ড্রেজিং, পাহাড় কর্তনসহ বিভিন্ন কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে। উপরোল্লিখিত ৯টি উপজেলাতেই অবৈধ দখলের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে। এদের ৭টিতেই চলছে অবৈধ ইটের ভাটা। সাধারণ জমি লবণ ও চিংড়িচাষের জন্য রূপান্তরিত করার ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলা। পানীয় জলের সংকটের ঝুঁকিতে রয়েছে জেলা সদরসহ প্রায় সবকটি উপজেলা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণকালে ৬২টি বিপন্ন এশিয়ান হাতির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১৭,৭৯৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, কিন্তু এখনো অনেকে যথাযত ক্ষতিপূরণ পায়নি। রোহিঙ্গাদের পূনর্বাসনের জন্য অতিরিক্ত ৬,১৬৪ একর বন নিধন করা হয়েছে এবং প্রতিদিন ৬,৮০০ টন কাঠের জ্বালানি রোহিঙ্গাদের রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-ধরা-এর কার্যক্রম কক্সবাজারে শুরু করার জন্য ফজলুল কাদের চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং জাহাঙ্গীর আলমকে সদস্যসচিব করে একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।