Dhaka , Sunday, 6 October 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
৩১ বছরের শিক্ষকতায় ১ দিনও ছুটি নেননি তিনি।। নালিতাবাড়ীতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ।। হাটহাজারীতে সিএনজি- বাইক সংঘর্ষে আহত ১।। পাবনার গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার রহস্য উদঘাটন গাজীপুরে।। নোয়াখালীতে বৃদ্ধ বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করল ছেলে।। অসামাজিক কার্যকলাপে বাধা দেওয়ায় ভারাটিয়া কতৃক বাড়িওয়ালা হামলার শিকার।। অপহৃত কিশোরীকে বরিশাল থেকে উদ্ধার করেছে পিরোজপুর জেলা পুলিশ হাটহাজারিতে সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার বিষয়ক কর্মশালা।। শঙ্কামুক্ত দুর্গাপূজা উদযাপনে সনাতনীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বিএনপি- মাহবুবের রহমান শামীম।। ভোলায় -অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ৫ জন।। লক্ষ্মীপুরে পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রতিমা শিল্পিদের ব্যস্ততা ততই বেড়ে চলেছে।। চোখের পানি আর আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো ঠাকুরগাঁওয়ের ইজতেমা।। চট্টগ্রামের রাউজানে মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল ইসলাম সিদ্দিকী’র’ কু-কৃত্তি-১।। বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার দাবিতে দুর্গাপুরে সিপিবি’র বিক্ষোভ।। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত।। দুর্গাপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।। হরিপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত।। পুর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদান ও মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ।। সুন্দরগঞ্জে ভারি বর্ষনে তিস্তার নিচু এলাকা প্লাবিত।। সুন্দরগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনা।। পানি নিস্কাশনের নালা না থাকায় সুন্দরগঞ্জে পৌর শহরে হাটু পানি।। মুজিবনগরে  বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত।। নোয়াখালীতে ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড পানিবন্দি ২ লাখ ৬ হাজার পরিবার।। লক্ষ্মীপুরে ফের বন্যার পদধ্বনি এখনো ৩ লাখ মানুষ পানি বন্দী।। লালপুরে  শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার ও অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।। দেবহাটায় বিশ্ব শিক্ষক দিবসে র‌্যালী ও আলোচনা সভা।। ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন।। সকল শিক্ষককে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।। যানচলাচল বন্ধ করে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে জলঢাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন।।  ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন।।

নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখুন- সালা উদ্দিন আহমেদ।। 

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 01:48:23 pm, Tuesday, 17 September 2024
  • 14 বার পড়া হয়েছে

নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখুন- সালা উদ্দিন আহমেদ।। 

ইসমাইল ইমন
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
   
   
নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দীন আহমেদ।
বিশ্ব গনতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার -১৭ সেপ্টেম্বর- বিকেলে নগরীর আলমাস মোড়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি আয়োজিত কেন্দ্র ঘোষিত গণতন্ত্রের শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সালাউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি আলমাস হয়ে কাজীর দেউরী- লাভ লেইন- জুবলী রোড়- নিউ মার্কেট- কোতোয়ালী হয়ে লালদিঘি পাড়ে এসে শেষ হয়। 
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক- গোলাম আকবর খোন্দকার- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় শোভাযাত্রার সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম- সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন। 
এসময় সালাউদ্দীন আহমেদ বলেন- ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন আমরা করেছিলাম- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে- বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। সেই কেয়ারটেকার সরকার বিলুপ্ত করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নতুনভাবে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদি শাসনের প্রবর্তন করে। অন্তঃহীন সংগ্রাম- ত্যাগ তিতিক্ষা- রক্ত শ্রম এবং প্রাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ পুনরায় স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই স্বাধীনতা- এই গণতন্ত্রের জন্য যারা যুদ্ধ করেছে- বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে- তাদের মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম শহিদ রংপুরের সাঈদ- দ্বিতীয় শহিদ চকরিয়া পেকুয়ার সন্তান- আমার সন্তান ওয়াসিম। সমস্ত গণতান্ত্রিক সংগ্রামে- আন্দোলনে- যুদ্ধে চট্টগ্রাম সবসময় নেতৃত্ব দিয়েছে। 
কিন্তু আপনারা যদি মনে করেন- সবকিছু এমনি এমনি এসেছে- তাহলে এটা ভুল কথা। মোট ৪৮৫ জন শহিদের মধ্যে এ গণঅভ্যুত্থানে- এ গণবিপ্লবে ৪২২ জন শহিদ বিএনপির নেতাকর্মী। ১১৩ জনের বেশি ছাত্রদলের নেতাকর্মী। এ আন্দোলন সংগ্রামে সাতশ’র বেশি মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৪২৩ জন শুধু বিএনপির নেতাকর্মী। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে প্রায় ২৭০০ মানুষ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে- বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে- তার মধ্যে শত- শত মানুষ বিএনপির নেতাকর্মী। 
তিনি বলেন, এত রক্ত, এত ঘাম, এত প্রাণ, এত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করেছি বাংলাদেশে নতুন স্বাধীনতা দিবস- বাংলাদেশের নতুন গণতন্ত্র দিবস। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকে ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। কিন্তু গণতন্ত্র, এই নতুন স্বাধীনতা, এই বিজয়কে যদি আপনারা অর্থবহ করতে চান- তাহলে ধৈর্য্য ধরতে হবে। আন্দোলন জারি রাখতে হবে- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হবে। সুতরাং চলমান এ আন্দোলন, যদি সত্যিকারভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হবে- ততদিন চালু রাখতে হবে। প্রকৃত গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যতদিন পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, সংসদ প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে এ আন্দোলন অব্যাহত রাখবো। 
বাংলাদেশে গণহত্যাকারীর আর কোনোদিন জায়গা হবে না। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের- গণহত্যাকারীদের কোনো রাজনীতি চলবে না। যদি গণহত্যাকারীদের রাজনীতি চলে- তাহলে বাংলাদেশ আবার পরাধীন হবে। কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের এখানে তাঁবেদারি চলবে না। যদি সত্যিকারভাবে স্বাধীন- সার্বভৌম- গণতান্ত্রিক- বৈষম্যহীন- যদি সাম্যভিত্তিক একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চান- যদি আইনের শাসনের রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চান- তাহলে শহিদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমাদের পরস্পরের অধিকারের প্রতি স্বীকৃতি দিতে হবে। কেউ আইনের চেয়ে বড় নন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন- সবাই ধৈর্য্য ধরুন। সবাই সুশৃঙ্খল থাকুন। গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম জারি রাখুন। যতদিন পর্যন্ত এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাবার ঘোষণা না দেয়- ততদিন এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাবৃন্দদের আহ্বান জানাই- যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচনমুখী সংস্কার সাধন করুন এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ আপনারা ঘোষণা করুন। তাহলে এদেশের মানুষ আশ্বস্ত হবে যে, বাংলাদেশ সত্যিই প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, বিগত সতেরো বছর নির্যাতনের পরও বিএনপিকে স্তব্ধ করতে পারেনি। আগামী ১৭ বছর চেষ্টা করলেও পারবেনা। রাত যত গভীর হয় ভোর তত নিকটে আসে। আওয়ামী লীগ মনে করেছিল ভোর বুঝি আর হবেনা। কিন্তু সকাল ঠিকই হয়েছে। শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। শেখ হাসিনা মাবোনদের জন্য কলঙ্ক।হাসিনার মত স্বৈরশাসক ইতিহাসেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তাই বলে আমাদের নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের কেউ যেন আশ্রয় না পায়। আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেক টাকা। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। 
আবুল খায়ের ভূইয়া বলেন- আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে ভঙ্গুর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে জবরদস্তির শাসন কায়েম করেছিল। জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিতদের শাসন ফিরিয়ে আনাই হবে রাষ্ট্রের বড় সংস্কার। 
জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন- স্বৈরাচারের পতনের পর গণতন্ত্রের পথে নতুন করে অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রের অতি জরুরি কিছু সংস্কার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জন প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ ও সরকার গঠন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। উন্নয়ন যেমন গণতন্ত্রের বিকল্প নয়, তেমনি সংস্কারও ভোটের বিকল্প নয়।
গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে পারেনি। সাম্প্রতিক পোশাক শিল্পে অস্থিরতার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসররা দায়ী। ছাত্র জনতার আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মী। বিএনপির সাথে আওয়ামী লীগের তুলনা করা যায় না। গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচার এদেশের মাটিতে হবেই। 
শোভাযাত্রার সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম বলেন- বর্তমান সরকার হচ্ছে গণঅভ্যুত্থানের পর বিপ্লবের মধ্যদিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করে জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়া। তবে আওয়ামী লীগ সরকার যে জঞ্জাল সৃষ্টি করে গেছে, সেটাকে দূর করে একটি সঠিক সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। 
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন- গত ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে দুর্বল করে দিয়েছে। তার শাসনামলে এই জাতিকে সে ১৮ লাখ কোটি টাকার ঋণে আবদ্ধ করে গেছে। পাচার হয়ে গেছে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার। দুঃশাসনে সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে দিয়েছে। বর্তমান সরকার হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমরা আশা করবো, তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দিবে।
সভাপতির বক্তব্যে এরশাদ উল্লাহ বলেন- ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে। দেশ আজকে একটি নবতর স্বাধীনতা পেয়েছে। একবার আমরা ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পেয়েছি। আর এবার সত্যিকার অর্থে ৫ই আগস্ট নতুন প্রজন্ম দেখতে পেলো- স্বাধীনতা কাকে বলে। মানবাধিকার ছিল না। এক ব্যক্তির শাসন ছিল সেখান থেকে আজ আমরা মুক্ত হয়েছি। গণতন্ত্রের যাত্রা পথের মুক্তিকে আমাদেরকে সমুন্নত রাখতে হবে।
এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন- সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর- কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ- ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন- কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি- সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী- খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি- সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ ভুঁইয়া- কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমেদ- সদস্য সাচিং প্রু জেরী- জালাল উদ্দীন মজুমদার- মশিউর রহমান বিপ্লব- হুম্মাম কাদের চৌধুরী- রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দিপেন তালুকদার দিপু- উত্তর জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম- ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল- কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. শামীম আরা স্বপ্না- নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আবদুর রহমান- বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা। উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি গাজী শাহজাহান জুয়েল- সরওয়ার জামাল নিজাম- নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন। 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

৩১ বছরের শিক্ষকতায় ১ দিনও ছুটি নেননি তিনি।।

নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখুন- সালা উদ্দিন আহমেদ।। 

আপডেট সময় : 01:48:23 pm, Tuesday, 17 September 2024
ইসমাইল ইমন
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
   
   
নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দীন আহমেদ।
বিশ্ব গনতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার -১৭ সেপ্টেম্বর- বিকেলে নগরীর আলমাস মোড়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি আয়োজিত কেন্দ্র ঘোষিত গণতন্ত্রের শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সালাউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি আলমাস হয়ে কাজীর দেউরী- লাভ লেইন- জুবলী রোড়- নিউ মার্কেট- কোতোয়ালী হয়ে লালদিঘি পাড়ে এসে শেষ হয়। 
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক- গোলাম আকবর খোন্দকার- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় শোভাযাত্রার সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম- সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন। 
এসময় সালাউদ্দীন আহমেদ বলেন- ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন আমরা করেছিলাম- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে- বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। সেই কেয়ারটেকার সরকার বিলুপ্ত করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নতুনভাবে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদি শাসনের প্রবর্তন করে। অন্তঃহীন সংগ্রাম- ত্যাগ তিতিক্ষা- রক্ত শ্রম এবং প্রাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ পুনরায় স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই স্বাধীনতা- এই গণতন্ত্রের জন্য যারা যুদ্ধ করেছে- বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে- তাদের মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম শহিদ রংপুরের সাঈদ- দ্বিতীয় শহিদ চকরিয়া পেকুয়ার সন্তান- আমার সন্তান ওয়াসিম। সমস্ত গণতান্ত্রিক সংগ্রামে- আন্দোলনে- যুদ্ধে চট্টগ্রাম সবসময় নেতৃত্ব দিয়েছে। 
কিন্তু আপনারা যদি মনে করেন- সবকিছু এমনি এমনি এসেছে- তাহলে এটা ভুল কথা। মোট ৪৮৫ জন শহিদের মধ্যে এ গণঅভ্যুত্থানে- এ গণবিপ্লবে ৪২২ জন শহিদ বিএনপির নেতাকর্মী। ১১৩ জনের বেশি ছাত্রদলের নেতাকর্মী। এ আন্দোলন সংগ্রামে সাতশ’র বেশি মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৪২৩ জন শুধু বিএনপির নেতাকর্মী। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে প্রায় ২৭০০ মানুষ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে- বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে- তার মধ্যে শত- শত মানুষ বিএনপির নেতাকর্মী। 
তিনি বলেন, এত রক্ত, এত ঘাম, এত প্রাণ, এত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করেছি বাংলাদেশে নতুন স্বাধীনতা দিবস- বাংলাদেশের নতুন গণতন্ত্র দিবস। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকে ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। কিন্তু গণতন্ত্র, এই নতুন স্বাধীনতা, এই বিজয়কে যদি আপনারা অর্থবহ করতে চান- তাহলে ধৈর্য্য ধরতে হবে। আন্দোলন জারি রাখতে হবে- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হবে। সুতরাং চলমান এ আন্দোলন, যদি সত্যিকারভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হবে- ততদিন চালু রাখতে হবে। প্রকৃত গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যতদিন পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, সংসদ প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে এ আন্দোলন অব্যাহত রাখবো। 
বাংলাদেশে গণহত্যাকারীর আর কোনোদিন জায়গা হবে না। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের- গণহত্যাকারীদের কোনো রাজনীতি চলবে না। যদি গণহত্যাকারীদের রাজনীতি চলে- তাহলে বাংলাদেশ আবার পরাধীন হবে। কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের এখানে তাঁবেদারি চলবে না। যদি সত্যিকারভাবে স্বাধীন- সার্বভৌম- গণতান্ত্রিক- বৈষম্যহীন- যদি সাম্যভিত্তিক একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চান- যদি আইনের শাসনের রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চান- তাহলে শহিদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমাদের পরস্পরের অধিকারের প্রতি স্বীকৃতি দিতে হবে। কেউ আইনের চেয়ে বড় নন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন- সবাই ধৈর্য্য ধরুন। সবাই সুশৃঙ্খল থাকুন। গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম জারি রাখুন। যতদিন পর্যন্ত এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাবার ঘোষণা না দেয়- ততদিন এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাবৃন্দদের আহ্বান জানাই- যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচনমুখী সংস্কার সাধন করুন এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ আপনারা ঘোষণা করুন। তাহলে এদেশের মানুষ আশ্বস্ত হবে যে, বাংলাদেশ সত্যিই প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, বিগত সতেরো বছর নির্যাতনের পরও বিএনপিকে স্তব্ধ করতে পারেনি। আগামী ১৭ বছর চেষ্টা করলেও পারবেনা। রাত যত গভীর হয় ভোর তত নিকটে আসে। আওয়ামী লীগ মনে করেছিল ভোর বুঝি আর হবেনা। কিন্তু সকাল ঠিকই হয়েছে। শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। শেখ হাসিনা মাবোনদের জন্য কলঙ্ক।হাসিনার মত স্বৈরশাসক ইতিহাসেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তাই বলে আমাদের নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের কেউ যেন আশ্রয় না পায়। আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেক টাকা। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। 
আবুল খায়ের ভূইয়া বলেন- আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে ভঙ্গুর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে জবরদস্তির শাসন কায়েম করেছিল। জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিতদের শাসন ফিরিয়ে আনাই হবে রাষ্ট্রের বড় সংস্কার। 
জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন- স্বৈরাচারের পতনের পর গণতন্ত্রের পথে নতুন করে অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রের অতি জরুরি কিছু সংস্কার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জন প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ ও সরকার গঠন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। উন্নয়ন যেমন গণতন্ত্রের বিকল্প নয়, তেমনি সংস্কারও ভোটের বিকল্প নয়।
গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে পারেনি। সাম্প্রতিক পোশাক শিল্পে অস্থিরতার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসররা দায়ী। ছাত্র জনতার আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মী। বিএনপির সাথে আওয়ামী লীগের তুলনা করা যায় না। গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচার এদেশের মাটিতে হবেই। 
শোভাযাত্রার সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম বলেন- বর্তমান সরকার হচ্ছে গণঅভ্যুত্থানের পর বিপ্লবের মধ্যদিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করে জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়া। তবে আওয়ামী লীগ সরকার যে জঞ্জাল সৃষ্টি করে গেছে, সেটাকে দূর করে একটি সঠিক সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। 
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন- গত ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে দুর্বল করে দিয়েছে। তার শাসনামলে এই জাতিকে সে ১৮ লাখ কোটি টাকার ঋণে আবদ্ধ করে গেছে। পাচার হয়ে গেছে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার। দুঃশাসনে সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে দিয়েছে। বর্তমান সরকার হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমরা আশা করবো, তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দিবে।
সভাপতির বক্তব্যে এরশাদ উল্লাহ বলেন- ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে। দেশ আজকে একটি নবতর স্বাধীনতা পেয়েছে। একবার আমরা ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পেয়েছি। আর এবার সত্যিকার অর্থে ৫ই আগস্ট নতুন প্রজন্ম দেখতে পেলো- স্বাধীনতা কাকে বলে। মানবাধিকার ছিল না। এক ব্যক্তির শাসন ছিল সেখান থেকে আজ আমরা মুক্ত হয়েছি। গণতন্ত্রের যাত্রা পথের মুক্তিকে আমাদেরকে সমুন্নত রাখতে হবে।
এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন- সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর- কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ- ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন- কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি- সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী- খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি- সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ ভুঁইয়া- কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমেদ- সদস্য সাচিং প্রু জেরী- জালাল উদ্দীন মজুমদার- মশিউর রহমান বিপ্লব- হুম্মাম কাদের চৌধুরী- রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দিপেন তালুকদার দিপু- উত্তর জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম- ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল- কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. শামীম আরা স্বপ্না- নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আবদুর রহমান- বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা। উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি গাজী শাহজাহান জুয়েল- সরওয়ার জামাল নিজাম- নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন।