অরবিন্দ রায়
স্টাফ রিপোর্টার।।
মালয়েশিয়ার তরুণী প্রেমের টানে নরসিংদী এসেছে। নরসিংদীর সদর উপজেলার হাজীপুর গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছোট ছেলে জাহিদ খান মালেশিয়ার তরুনী রুহি কে বিয়ে করেন। মুসলিম রীতিনীতি মেনে তাদের বিয়েও সম্পন্ন হয়েছে।
নরসিংদীর ছেলে জাহিদ খান আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে মালয়েশিয়ায় যান। সেখানে একটি খেলনার দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ছোট থেকেই মোটরসাইকেলের প্রতি নেশা থাকায় তিনি মালয়েশিয়ায় কাজের ফাকেঁ ইউটিউবে মোটর ব্লগিং করতেন। সেই সূত্রেই ফটোশোটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার তরুণী রুহি রুহানার সাথে পরিচয়।সেখান থেকে বন্ধুত্ব তারপর দুইজনের মন দেয়া নেয়া শুরু হয়। এরপর ভালোবাসার টানে জাহিদের সাথে রুহি রুহানা চলে আসলেন নরসিংদী।
সোমবার মুসলিম রীতিনীতি অনুয়ায়ী বাঙ্গালি সাজে হয়েছে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। ছিল গায়ে হলুদসহ বিয়ের নানা আয়োজন। ভিনদেশী তরুণীকে কাছে পেয়ে উচ্ছাসিত পরিবার ও এলাকাবাসি।
মালয়শিয়ার নাগরিক রুহি রুহানা। তিনি পেশায় একটি গাড়ি উৎপাদন কোম্পানীর প্রসাশনিক কর্মকর্তা।
তাদের দীর্ঘ ২ বছর সম্পর্কের পর সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। প্রথমে তরুণীর পরিবার রাজি না হলেও পরে মালয়েশিয়ায় তাদের বিয়ে হয়। সেখানে জাহিদের পরিবারের লোকজন না থাকায় প্রেমিক জাহিদের সাথে-১৫ জানুয়ারি-মালয়শিয়া থেকে নরসিংদীর হাজিপুরে চলে আসেন এই তরুণ-তরুণী। প
জাহিদের বন্ধু জুবায়ের বলেন, রুহি খুবই মিশুক প্রকৃতির। সে ভিনদেশী হলেও সবার সাথে অল্প সময়ে মিশে গেছে। সবার সাথে খুব আনন্দ করে সময় কাটাচ্ছে। আমরা চাই তারা সবসময় সুখী থাকুক।
জাহিদের ভাই আশিক আহাম্মেদ বলেন, ওদের ভালোবাসার মাধ্যমে দুই দেশের মানুষের মধ্যে আত্বীয়তার সম্পর্ক তৈরী হলো। তিনি খুবই দ্রুত আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নিয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে না তিনি ভিনদেশী কোন নাগরিক, মনে হচ্ছে তিনি আমাদেরই আপনজন।
মালয়েশিয়ান তরুণী রুহি রুহানা বলেন, ফটোশোট করতে গিয়ে পরিচয়, সেখান থেকে ভালোবাসা শুরু। আমাদের তিনবছরের প্রেমের সম্পর্ক। সে মানুষ হিসেবে খুব ভালো। সে আমার খুব যত্ন করে। তার কাছে ভাষা, খাবার দেশ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। নিজের পরিবারকে মিস করলেও এত বড় পরিবারে সবার সাথে থেকে তাদের ভালোবাসায় সব ভূলে যাই। আমার বাংলাদেশের সবকিছু অনেক ভালো লাগে।
জাহিদ হাসান বলেন, আমি ৬ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় রয়েছি। মটর বাইক দিয়ে ফটোশুট করার বাহানায় তার সাথে পরিচয় হয় পরে আমার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যাই। রুহির পরিবার ভিনদেশী ছেলের সাথে সম্পর্ক প্রথমে মেনে নিতে চায়নি। পরে সে বুঝালে তার পরিবার মেনে নেয়। রুহি আমাকে ভালোবেসে ভাষা শিখেছে। তাকে মালয়েশিয়ান বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে নিয়ে বাংলাদেশি খাবারের সাথে পরিচয় করিয়েছি। পরে তাকে দেশে নিয়ে এসেছি।