মোঃ কাউছার পাটোওয়ারী
বিশেষ প্রতিনিধি।।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের কর্মীদের ছুরিকাঘাতে নিহত আজাদ সরকারের লাশ ৩০ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
মামলার তদন্তের স্বার্থে ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিহতের পারিবারিক কবরস্থান থেকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই আব্দুল্লাহ এ লাশ কবর থেকে তোলেন।
চাঁদপুর জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাকারিয়া হোসেনের উপস্থিতিতে লাশ তোলা হয়। হত্যার শিকার আজাদ সরকার হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৮ নম্বর ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত আনু সরকারের ছেলে।
নিহত আজাদ সরকারের ছেলে আহাম্মেদ কবির হিমেল ও ভাগ্নে নাসরিন আক্তার জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের পানি পান করানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগের কর্মী আজাদ সরকারকে কুপিয়ে জখম করে। পরে কুমিল্লায় নেওয়ার পথেই মারা যান তিনি।
এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকল অপরাধীদের বিচারের দাবি করেন তারা।
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয় কাউন্সিলর কাজী মনির হোসেন।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশ মোতাবেক মামলার তদন্তের স্বার্থে আজাদ সরকারের লাশ কবর থেকে তোলে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানান সহকারী কমিশনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন।
এর আগে গেলো ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পানি খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে আজাদ সরকারকে কুপিয়ে জখম করে আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
এ ঘটনায় নিহত আজাদ সরকারের ছেলে আহাম্মেদ কবির হিমেল বাদী হয়ে ১৫ জনকে নামীয় ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে নুরু কাজী-৫২- নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।