মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ
সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টার।।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন দমাতে গিয়ে গণহত্যা চালিয়েছে হাসিনার সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই ও আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে দেশজুড়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড তদন্তে ঢাকা অবস্থান করছে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল। প্রায় একমাস ধরে তাদের এই তথ্যানুসন্ধান কাজ চলমান থাকবে। এর আগে- গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য ঢাকায় আসেন।
জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দলের জুলাই ও আগস্টের নৃশংসতার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের বিষয়ে জানতে বাংলাদেশের জাতিসংঘ অফিসের মুখপাত্র আনাহিতা আহমেদ বলেন- কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সরকারি বাহিনীর চালানো নৃশংসতার ঘটনার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে কাজ করছে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল। গত একসপ্তাহ ধরে তারা কাজ করছেন। তথ্য সংগ্রহের জন্য তারা আরও অন্তত চার সপ্তাহ বাংলাদেশে অবস্থান করতে পারেন।
তথ্যানুসন্ধান দল কতজনের তথ্য পেয়েছে জানতে চাইলে আনাহিতা বলেন- জাতিসংঘের তিন সদস্যের প্রাথমিক প্রতিনিধিদল ঢাকা আসার পরে তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছিল। কিন্তু তথ্যানুসন্ধান দলটি এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের কথা বলেনি। এমন কি তারা কতজন এসেছেন সেই তথ্যও আমাদের কাছে নেই। তারা অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ করছেন। এর কারণ যারা তথ্যানুসন্ধান দলের কাছে তথ্য দিচ্ছেন বা ভুক্তভোগীরা কথা বলছেন তাদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য অনেকটা নীরবে কাজ করছেন। সারাদেশে ঘুরে ঘুরে তারা তথ্য সংগ্রহ করবেন বলে জেনেছি। এর বাইরে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
জাতিসংঘের প্রাথমিক প্রতিনিধি দল কি কি রোডম্যাপ দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- জাতিসংঘের হাইকমিশনার দফতরের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেনের নেতৃত্বে ঢাকায় আসা প্রাথমিক দল বেশ কিছু রোডম্যাপ তৈরি করেছে। তাদের দেখানো রোড ম্যাপেই কাজ করছে তথ্যানুসন্ধান দল।
জানা গেছে- তথ্যানুসন্ধান দলটি গত জুলাই ও আগস্টের শুরুর দিকে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ ১৫ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্ত করবে। তদন্ত প্রতিবেদন আগামী নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেওয়া হতে পারে।