![](https://dainikajkerbangla.net/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোঃ রাকিবুল হাসান
শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার সিংহভাগ লোক কৃষক তাই তাদের উৎপাদন হলো নানা জাতের কৃষি ফসল। তার মধ্যে প্রধান উৎপাদিত ফসল ধান। এছাড়াও অন্যান্য কৃষি ফসল উৎপাদন করে কৃষকেরা। তাই এই অঞ্চলের আয়ের প্রধান উৎস হলো কৃষি পণ্য। অধিকাংশ পরিবার কৃষি ফসলের উপর নির্ভরশীল। কৃষকরা নিজেদের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বারতি ফসল দেশের অভ্যান্তরে রপ্তানি করে। যদি কোন কারনে কৃষকের উৎপাদিত কৃষি ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের অন্য কোন আয়ের পথ না থাকায় কৃষকরা দিশেরাহা হয়ে পরে। উল্লেখ্য অত্র ঝিনাইগাতি উপজেলা নদী বেষ্টিত এলাকা। উক্ত উপজেলার মধ্য দিয়ে ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে নেমে আসা মাঝারি ৫টি নদী ও কয়েকটি ছোট ঝুরা/নদী এই উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করেছে। মাঝারি নদী গুলো হলো মহারশি, কালঘুষা, সমেশ্বরী, কর্ণঝুড়া ও ভোগাই। এই নদী গুলির নাব্যতা হারানোর ফলে বর্ষা মৌসুমে অতিবর্ষন ও ঢলের পানি নদী দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না। যে কারনে গত বর্ষা মৌসুমে উক্ত নদী গুলির দু-পাড় ভেঙ্গে বহু ফসলি জমির ফসল ও আবাদি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। চলতি বোর মৌসুম চাষাবাদ করেছে কৃষকেরা। উৎপাদিত বোর ফসলও ভালো হয়েছে। গত ৩ দিন হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি পাত হয়েছে। এতে বোর ফসলের জন্য ভালো হলেও দুশ্চিন্তায় পরেছে নদী ভাঙ্গন এলাকার বোর চাষিরা। কারন বড় ধরনের বৃষ্টিপাত হলেই নদীর ভাঙ্গন দিয়ে বর্ষন ও ঢলের পানি প্রবাহিত হলে তাদের কষ্টে অর্জিত বোর ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই নদী ভাঙ্গন এলাকায় বোর চাষিরা আকাশের কালো মেঘ দেখলেই দুশ্চিন্তায় পরে যায়। গত বর্ষার মৌসুমে নদী ভাঙ্গনের ৭/৮ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত নদীর অনেক ভাঙ্গন এখনো মেরামত করা হয়নি। তাই নদী ভাঙ্গন এলাকা সহ নিম্ন অঞ্চলের কৃষকের উৎপাদিত ফসল নিয়ে হতাশার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে। যদি বোর ধান পাকার আগে নদী ভাঙ্গন গুলি দ্রুত সময়ে মেরামত করা হতো তাহলে নদী ভাঙ্গন ও নিম্ন অঞ্চলের বোর চাষিরা এতটা হতাশার মধ্যে থাকতো না। প্রকাশ থাকে যে গত বছরের তুলনায় এ বছর বোর চাষ করতে দ্বিগুন খরচ হয়েছে। কৃষকেরা ধার দেনা করে তাদের জমি গুলি বোর ধান চাষ করেছে। যদি এই চলতি বোর ফসল নদী ভাঙ্গার কারনে বন্যার পানি ভাঙ্গন দিয়ে প্রবাহের ফলে ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাহলে অনেক দরিদ্র কৃষকের না খেয়ে মরতে হবে। এতে একদিকে যেমন কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে অপরদিকে খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিবে। চলতি বোর মৌসুমের ফসল কাটতে আরো বাকি প্রায় ১ মাস। যদি এই ১ মাসের মধ্যে বড় ধরনের বৃষ্টিপাত বা বন্যা হয়। তাহলে নদী ভাঙ্গন এলাকা সহ নিম্নাঞ্চলে বোর ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে না। কারন ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করে ভাঙ্গন এলাকা ও নিম্ন অঞ্চল পানিতে ডুবে ফসলের ক্ষতি সাধিত হবে। ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদারের সাথে নদী ভাঙ্গন বিষয়ে কথা হলে ঘটনার সত্যতা আছে বলে জানান। এছাড়াও গত বন্যায় নদীর উভয় পাড় ভাঙ্গনের ব্যাপারে শেরপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে মুঠফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।