Dhaka , Tuesday, 21 January 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
দুর্গাপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ ফ্যাসিস্ট বেনজিরের ক্যাশিয়ার জসিম উদ্দিন কে গ্রেফতারের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঢাকা উত্তর ছাত্রদলের নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে নোমানের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল ‘তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান সংযোগ বিচ্ছিন্ন জরিমানা আদায় দূষণ বিরোধী অভিযানে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা ৩ ইটভাটা বন্ধ ২,২২৩ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য মহড়ার আয়োজন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পার্বত্য এলাকার বহুমুখী পণ্যের দেশব্যাপী প্রসারে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন হচ্ছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাবের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ডা. শাহাদাত পাইকগাছায় লটারীতে রাস্তা নির্মানের টেন্ডার সম্পন্ন বন্ধ হলো ভোরের কাগজ বাংলাদেশ বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র সংস্কার ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে রাকিব মুসল্লী ও হৃদয় হাসান লক্ষ্মীপুরে ড্রামট্রাকের চাপায় ২ অটো রিকশা যাত্রী  নিহত  পাইকগাছায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত  পাইকগাছার শীতার্তদের মাঝে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির শীতবস্ত্র বিতরণ হাটহাজারী অনলাইন প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন মেহেরপুরে তারুণ্যের ভাবনায় নতুন বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা রামগঞ্জের নিখোঁজের চার দিন পর বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার বিভিন্ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম লুটপাট বন্ধের দাবিতে দুর্গাপুরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পিরোজপুর মাহামুদ হোসাইন শক্ত নেতৃত্বে চাঙ্গা হচ্ছে পিরোজপুর-২ ভান্ডারিয়া,কাউখালি,নেছারাবাদ বিএনপি জনসংযোগ কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধান তথ্য অফিসার জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমকে প্রাধান্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করুন পাইকগাছায় তারেক রহমানের পক্ষে বিএনপি’র কম্বল বিতরণ  হাটহাজারিতে জমির টপসয়েল কাটার দায়ে অর্থদণ্ড আজ শহীদ আসাদ দিবস পালিত নরসিংদীতে ভারতীয় পণ্যসহ যুবক আটক ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ রিয়াজের নামে বরিশালের হিজলায় লঞ্চঘাটের পন্টুন উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা সুন্দরবন থেকে ২৫কেজি হরিণের মাংস জব্দ মুক্তিপণের টাকা দিয়েও অনয়কে মরতে হলো শহীদ জিয়ার জন্ম বার্ষিকীতে মেহেরপুরে বিএনপির দোয়া মাহফিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালিত

ঝিনাইগাতির বোর চাষিরা আকাশে মেঘ দেখলেই হতাশায় পরে

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 04:49:01 pm, Tuesday, 21 March 2023
  • 57 বার পড়া হয়েছে

মোঃ রাকিবুল হাসান

 শেরপুর প্রতিনিধি।।

 

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার সিংহভাগ লোক কৃষক তাই তাদের উৎপাদন হলো নানা জাতের কৃষি ফসল। তার মধ্যে প্রধান উৎপাদিত ফসল ধান। এছাড়াও অন্যান্য কৃষি ফসল উৎপাদন করে কৃষকেরা। তাই এই অঞ্চলের আয়ের প্রধান উৎস হলো কৃষি পণ্য। অধিকাংশ পরিবার কৃষি ফসলের উপর নির্ভরশীল। কৃষকরা নিজেদের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বারতি ফসল দেশের অভ্যান্তরে রপ্তানি করে। যদি কোন কারনে কৃষকের উৎপাদিত কৃষি ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের অন্য কোন আয়ের পথ না থাকায় কৃষকরা দিশেরাহা হয়ে পরে। উল্লেখ্য অত্র ঝিনাইগাতি উপজেলা নদী বেষ্টিত এলাকা। উক্ত উপজেলার মধ্য দিয়ে ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে নেমে আসা মাঝারি ৫টি নদী ও কয়েকটি ছোট ঝুরা/নদী এই উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করেছে। মাঝারি নদী গুলো হলো মহারশি, কালঘুষা, সমেশ্বরী, কর্ণঝুড়া ও ভোগাই। এই নদী গুলির নাব্যতা হারানোর ফলে বর্ষা মৌসুমে অতিবর্ষন ও ঢলের পানি নদী দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না। যে কারনে গত বর্ষা মৌসুমে উক্ত নদী গুলির দু-পাড় ভেঙ্গে বহু ফসলি জমির ফসল ও আবাদি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। চলতি বোর মৌসুম চাষাবাদ করেছে কৃষকেরা। উৎপাদিত বোর ফসলও ভালো হয়েছে। গত ৩ দিন হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি পাত হয়েছে। এতে বোর ফসলের জন্য ভালো হলেও দুশ্চিন্তায় পরেছে নদী ভাঙ্গন এলাকার বোর চাষিরা। কারন বড় ধরনের বৃষ্টিপাত হলেই নদীর ভাঙ্গন দিয়ে বর্ষন ও ঢলের পানি প্রবাহিত হলে তাদের কষ্টে অর্জিত বোর ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই নদী ভাঙ্গন এলাকায় বোর চাষিরা আকাশের কালো মেঘ দেখলেই দুশ্চিন্তায় পরে যায়। গত বর্ষার মৌসুমে নদী ভাঙ্গনের ৭/৮ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত নদীর অনেক ভাঙ্গন এখনো মেরামত করা হয়নি। তাই নদী ভাঙ্গন এলাকা সহ নিম্ন অঞ্চলের কৃষকের উৎপাদিত ফসল নিয়ে হতাশার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে। যদি বোর ধান পাকার আগে নদী ভাঙ্গন গুলি দ্রুত সময়ে মেরামত করা হতো তাহলে নদী ভাঙ্গন ও নিম্ন অঞ্চলের বোর চাষিরা এতটা হতাশার মধ্যে থাকতো না। প্রকাশ থাকে যে গত বছরের তুলনায় এ বছর বোর চাষ করতে দ্বিগুন খরচ হয়েছে। কৃষকেরা ধার দেনা করে তাদের জমি গুলি বোর ধান চাষ করেছে। যদি এই চলতি বোর ফসল নদী ভাঙ্গার কারনে বন্যার পানি ভাঙ্গন দিয়ে প্রবাহের ফলে ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাহলে অনেক দরিদ্র কৃষকের না খেয়ে মরতে হবে। এতে একদিকে যেমন কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে অপরদিকে খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিবে। চলতি বোর মৌসুমের ফসল কাটতে আরো বাকি প্রায় ১ মাস। যদি এই ১ মাসের মধ্যে বড় ধরনের বৃষ্টিপাত বা বন্যা হয়। তাহলে নদী ভাঙ্গন এলাকা সহ নিম্নাঞ্চলে বোর ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে না। কারন ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করে ভাঙ্গন এলাকা ও নিম্ন অঞ্চল পানিতে ডুবে ফসলের ক্ষতি সাধিত হবে। ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদারের সাথে নদী ভাঙ্গন বিষয়ে কথা হলে ঘটনার সত্যতা আছে বলে জানান। এছাড়াও গত বন্যায় নদীর উভয় পাড় ভাঙ্গনের ব্যাপারে শেরপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে মুঠফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

দুর্গাপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ

ঝিনাইগাতির বোর চাষিরা আকাশে মেঘ দেখলেই হতাশায় পরে

আপডেট সময় : 04:49:01 pm, Tuesday, 21 March 2023

মোঃ রাকিবুল হাসান

 শেরপুর প্রতিনিধি।।

 

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার সিংহভাগ লোক কৃষক তাই তাদের উৎপাদন হলো নানা জাতের কৃষি ফসল। তার মধ্যে প্রধান উৎপাদিত ফসল ধান। এছাড়াও অন্যান্য কৃষি ফসল উৎপাদন করে কৃষকেরা। তাই এই অঞ্চলের আয়ের প্রধান উৎস হলো কৃষি পণ্য। অধিকাংশ পরিবার কৃষি ফসলের উপর নির্ভরশীল। কৃষকরা নিজেদের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বারতি ফসল দেশের অভ্যান্তরে রপ্তানি করে। যদি কোন কারনে কৃষকের উৎপাদিত কৃষি ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের অন্য কোন আয়ের পথ না থাকায় কৃষকরা দিশেরাহা হয়ে পরে। উল্লেখ্য অত্র ঝিনাইগাতি উপজেলা নদী বেষ্টিত এলাকা। উক্ত উপজেলার মধ্য দিয়ে ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে নেমে আসা মাঝারি ৫টি নদী ও কয়েকটি ছোট ঝুরা/নদী এই উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করেছে। মাঝারি নদী গুলো হলো মহারশি, কালঘুষা, সমেশ্বরী, কর্ণঝুড়া ও ভোগাই। এই নদী গুলির নাব্যতা হারানোর ফলে বর্ষা মৌসুমে অতিবর্ষন ও ঢলের পানি নদী দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না। যে কারনে গত বর্ষা মৌসুমে উক্ত নদী গুলির দু-পাড় ভেঙ্গে বহু ফসলি জমির ফসল ও আবাদি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। চলতি বোর মৌসুম চাষাবাদ করেছে কৃষকেরা। উৎপাদিত বোর ফসলও ভালো হয়েছে। গত ৩ দিন হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি পাত হয়েছে। এতে বোর ফসলের জন্য ভালো হলেও দুশ্চিন্তায় পরেছে নদী ভাঙ্গন এলাকার বোর চাষিরা। কারন বড় ধরনের বৃষ্টিপাত হলেই নদীর ভাঙ্গন দিয়ে বর্ষন ও ঢলের পানি প্রবাহিত হলে তাদের কষ্টে অর্জিত বোর ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই নদী ভাঙ্গন এলাকায় বোর চাষিরা আকাশের কালো মেঘ দেখলেই দুশ্চিন্তায় পরে যায়। গত বর্ষার মৌসুমে নদী ভাঙ্গনের ৭/৮ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত নদীর অনেক ভাঙ্গন এখনো মেরামত করা হয়নি। তাই নদী ভাঙ্গন এলাকা সহ নিম্ন অঞ্চলের কৃষকের উৎপাদিত ফসল নিয়ে হতাশার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে। যদি বোর ধান পাকার আগে নদী ভাঙ্গন গুলি দ্রুত সময়ে মেরামত করা হতো তাহলে নদী ভাঙ্গন ও নিম্ন অঞ্চলের বোর চাষিরা এতটা হতাশার মধ্যে থাকতো না। প্রকাশ থাকে যে গত বছরের তুলনায় এ বছর বোর চাষ করতে দ্বিগুন খরচ হয়েছে। কৃষকেরা ধার দেনা করে তাদের জমি গুলি বোর ধান চাষ করেছে। যদি এই চলতি বোর ফসল নদী ভাঙ্গার কারনে বন্যার পানি ভাঙ্গন দিয়ে প্রবাহের ফলে ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাহলে অনেক দরিদ্র কৃষকের না খেয়ে মরতে হবে। এতে একদিকে যেমন কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে অপরদিকে খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিবে। চলতি বোর মৌসুমের ফসল কাটতে আরো বাকি প্রায় ১ মাস। যদি এই ১ মাসের মধ্যে বড় ধরনের বৃষ্টিপাত বা বন্যা হয়। তাহলে নদী ভাঙ্গন এলাকা সহ নিম্নাঞ্চলে বোর ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে না। কারন ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করে ভাঙ্গন এলাকা ও নিম্ন অঞ্চল পানিতে ডুবে ফসলের ক্ষতি সাধিত হবে। ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদারের সাথে নদী ভাঙ্গন বিষয়ে কথা হলে ঘটনার সত্যতা আছে বলে জানান। এছাড়াও গত বন্যায় নদীর উভয় পাড় ভাঙ্গনের ব্যাপারে শেরপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে মুঠফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।