Dhaka , Sunday, 6 July 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
পাবনার আটঘরিয়াতে জাকারিয়া পিন্টুর বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন ও  গণসংযোগ  কাঠের সেতুর আ’য়ের টাকা জ’নকল্যা’নে ব্যা’য়ের লক্ষে দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কর্তৃক সেন্ট্রাল সিটি হাসপাতাল ব’ন্ধে’র প্র’তিবা’দ কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারীর সদর হা’সপাতা’লে ভর্তি রোগীকে হ’ত‍্যা’চে’ষ্টা, গ্রে’প্তার ১ কোম্পানীগঞ্জে বি’দ্যুৎস্পৃ’ষ্টে ত’রুণের মৃ’ত্যু চন্দনাইশে দোহাজারীতে নিয়ন্ত্রণ হা’রিয়ে ট্রাক খা’দে রূপগঞ্জে বিএনপির উদ্যেগে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যু’ত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ল্যাপটপ বাসায়, ক্লাসে শিক্ষার্থী নেই: অনিয়মে ভরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ডা. জুবাইদা রহমানের জন্মদিনে সিলেট জেলা মহিলা দলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষধ বিতরণ দেশজুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টি, ৯ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা নি’র্বাচ’নী আসন নিয়ে বিএনপি-মিত্র দলগুলোর স’মঝো’তার চলমান আলোচনা কুমিল্লার মুরাদনগরে মা ও দুই সন্তানের হ’ত্যা’র ৩৯ ঘণ্টা পর মা’ম’লা, দুজন আ’টক শুল্ক-কর পরিশোধে ‘এ চা’লান’: অনলাইনে সরাসরি কোষাগারে জমা বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ওয়ানডে আজ চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে হজ ফ্লাইট আ’টকা, দুই ঘণ্টা বিমান চলাচল বন্ধ কলাতলীতে অ’স্ত্রস’হ তিন অ’স্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেফ’তার, উ’দ্ধার বিদেশি আ’গ্নেয়া’স্ত্র ও বি’পুল পরিমাণ গু’লি রূপগঞ্জে ইলেকট্রিশিয়ানকে কু’পি’য়ে হ’ত্যা রূপগঞ্জে বৃ’ক্ষ রোপণ কর্মসূচি ও চারাগাছ বিতরণ রামুতে নি’খোঁ’জ একই পরিবারের চার শিক্ষার্থী ভারতকে ধ’মক ও রু’খে দিতে হলে বিএনপিকে ক্ষ’মতা’য় আনতে হবে : আব্দুস সালাম কালিয়াকৈরে ৩১ দ’ফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ,বিএনপির সদস্য সংগ্রহ -নবায়ন এবং দ্রুত  জাতীয় সংসদ নি’র্বাচনে’র দা’বিতে বিশাল স’মাবে’শ  প্রস্তাবিত রায়পুরা মেঘনা সেতুর দৈর্ঘ্য ১৪৭০ মিটার, নির্মাণ ব্যয় হবে ৮০০ কোটি টাকা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ঈদ পুনর্মিলনী ও কর্মশালা কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার অ’র্থনৈ’তিক সহযোগিতা জো’রদা’রে ঢাকার আ’হ্বান শ’হীদদে’র জন্য ৫ জুলাই দেশব্যা’পী দোয়া-মাহফিলের আ’হ্বান হেফাজতে ইসলামের। লালমনিরহাটে আন্ত:সুরকিমীল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত পাবনায় অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বি’দ্যুৎস্পৃ’ষ্টে চালকের মৃ’ত্যু  কাঁঠালিয়ায় বিএনপির বি’ক্ষো’ভ মিছিল, খু’নি হাসিনার ফাঁ’সি ও আওয়ামী স’ন্ত্রা’সীদে’র বি’চারে’র দাবি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন মোংলা বন্দর চেয়ারম্যান পাবনায় বাস-ট্রাক সং’ঘ’র্ষে নি’হত ৩, আ’হত ১০ 

ঝিনাইগাতির বোর চাষিরা আকাশে মেঘ দেখলেই হতাশায় পরে

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 04:49:01 pm, Tuesday, 21 March 2023
  • 64 বার পড়া হয়েছে

মোঃ রাকিবুল হাসান

 শেরপুর প্রতিনিধি।।

 

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার সিংহভাগ লোক কৃষক তাই তাদের উৎপাদন হলো নানা জাতের কৃষি ফসল। তার মধ্যে প্রধান উৎপাদিত ফসল ধান। এছাড়াও অন্যান্য কৃষি ফসল উৎপাদন করে কৃষকেরা। তাই এই অঞ্চলের আয়ের প্রধান উৎস হলো কৃষি পণ্য। অধিকাংশ পরিবার কৃষি ফসলের উপর নির্ভরশীল। কৃষকরা নিজেদের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বারতি ফসল দেশের অভ্যান্তরে রপ্তানি করে। যদি কোন কারনে কৃষকের উৎপাদিত কৃষি ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের অন্য কোন আয়ের পথ না থাকায় কৃষকরা দিশেরাহা হয়ে পরে। উল্লেখ্য অত্র ঝিনাইগাতি উপজেলা নদী বেষ্টিত এলাকা। উক্ত উপজেলার মধ্য দিয়ে ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে নেমে আসা মাঝারি ৫টি নদী ও কয়েকটি ছোট ঝুরা/নদী এই উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করেছে। মাঝারি নদী গুলো হলো মহারশি, কালঘুষা, সমেশ্বরী, কর্ণঝুড়া ও ভোগাই। এই নদী গুলির নাব্যতা হারানোর ফলে বর্ষা মৌসুমে অতিবর্ষন ও ঢলের পানি নদী দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না। যে কারনে গত বর্ষা মৌসুমে উক্ত নদী গুলির দু-পাড় ভেঙ্গে বহু ফসলি জমির ফসল ও আবাদি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। চলতি বোর মৌসুম চাষাবাদ করেছে কৃষকেরা। উৎপাদিত বোর ফসলও ভালো হয়েছে। গত ৩ দিন হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি পাত হয়েছে। এতে বোর ফসলের জন্য ভালো হলেও দুশ্চিন্তায় পরেছে নদী ভাঙ্গন এলাকার বোর চাষিরা। কারন বড় ধরনের বৃষ্টিপাত হলেই নদীর ভাঙ্গন দিয়ে বর্ষন ও ঢলের পানি প্রবাহিত হলে তাদের কষ্টে অর্জিত বোর ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই নদী ভাঙ্গন এলাকায় বোর চাষিরা আকাশের কালো মেঘ দেখলেই দুশ্চিন্তায় পরে যায়। গত বর্ষার মৌসুমে নদী ভাঙ্গনের ৭/৮ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত নদীর অনেক ভাঙ্গন এখনো মেরামত করা হয়নি। তাই নদী ভাঙ্গন এলাকা সহ নিম্ন অঞ্চলের কৃষকের উৎপাদিত ফসল নিয়ে হতাশার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে। যদি বোর ধান পাকার আগে নদী ভাঙ্গন গুলি দ্রুত সময়ে মেরামত করা হতো তাহলে নদী ভাঙ্গন ও নিম্ন অঞ্চলের বোর চাষিরা এতটা হতাশার মধ্যে থাকতো না। প্রকাশ থাকে যে গত বছরের তুলনায় এ বছর বোর চাষ করতে দ্বিগুন খরচ হয়েছে। কৃষকেরা ধার দেনা করে তাদের জমি গুলি বোর ধান চাষ করেছে। যদি এই চলতি বোর ফসল নদী ভাঙ্গার কারনে বন্যার পানি ভাঙ্গন দিয়ে প্রবাহের ফলে ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাহলে অনেক দরিদ্র কৃষকের না খেয়ে মরতে হবে। এতে একদিকে যেমন কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে অপরদিকে খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিবে। চলতি বোর মৌসুমের ফসল কাটতে আরো বাকি প্রায় ১ মাস। যদি এই ১ মাসের মধ্যে বড় ধরনের বৃষ্টিপাত বা বন্যা হয়। তাহলে নদী ভাঙ্গন এলাকা সহ নিম্নাঞ্চলে বোর ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে না। কারন ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করে ভাঙ্গন এলাকা ও নিম্ন অঞ্চল পানিতে ডুবে ফসলের ক্ষতি সাধিত হবে। ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদারের সাথে নদী ভাঙ্গন বিষয়ে কথা হলে ঘটনার সত্যতা আছে বলে জানান। এছাড়াও গত বন্যায় নদীর উভয় পাড় ভাঙ্গনের ব্যাপারে শেরপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে মুঠফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

পাবনার আটঘরিয়াতে জাকারিয়া পিন্টুর বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন ও  গণসংযোগ 

ঝিনাইগাতির বোর চাষিরা আকাশে মেঘ দেখলেই হতাশায় পরে

আপডেট সময় : 04:49:01 pm, Tuesday, 21 March 2023

মোঃ রাকিবুল হাসান

 শেরপুর প্রতিনিধি।।

 

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার সিংহভাগ লোক কৃষক তাই তাদের উৎপাদন হলো নানা জাতের কৃষি ফসল। তার মধ্যে প্রধান উৎপাদিত ফসল ধান। এছাড়াও অন্যান্য কৃষি ফসল উৎপাদন করে কৃষকেরা। তাই এই অঞ্চলের আয়ের প্রধান উৎস হলো কৃষি পণ্য। অধিকাংশ পরিবার কৃষি ফসলের উপর নির্ভরশীল। কৃষকরা নিজেদের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বারতি ফসল দেশের অভ্যান্তরে রপ্তানি করে। যদি কোন কারনে কৃষকের উৎপাদিত কৃষি ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের অন্য কোন আয়ের পথ না থাকায় কৃষকরা দিশেরাহা হয়ে পরে। উল্লেখ্য অত্র ঝিনাইগাতি উপজেলা নদী বেষ্টিত এলাকা। উক্ত উপজেলার মধ্য দিয়ে ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে নেমে আসা মাঝারি ৫টি নদী ও কয়েকটি ছোট ঝুরা/নদী এই উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করেছে। মাঝারি নদী গুলো হলো মহারশি, কালঘুষা, সমেশ্বরী, কর্ণঝুড়া ও ভোগাই। এই নদী গুলির নাব্যতা হারানোর ফলে বর্ষা মৌসুমে অতিবর্ষন ও ঢলের পানি নদী দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না। যে কারনে গত বর্ষা মৌসুমে উক্ত নদী গুলির দু-পাড় ভেঙ্গে বহু ফসলি জমির ফসল ও আবাদি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। চলতি বোর মৌসুম চাষাবাদ করেছে কৃষকেরা। উৎপাদিত বোর ফসলও ভালো হয়েছে। গত ৩ দিন হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি পাত হয়েছে। এতে বোর ফসলের জন্য ভালো হলেও দুশ্চিন্তায় পরেছে নদী ভাঙ্গন এলাকার বোর চাষিরা। কারন বড় ধরনের বৃষ্টিপাত হলেই নদীর ভাঙ্গন দিয়ে বর্ষন ও ঢলের পানি প্রবাহিত হলে তাদের কষ্টে অর্জিত বোর ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই নদী ভাঙ্গন এলাকায় বোর চাষিরা আকাশের কালো মেঘ দেখলেই দুশ্চিন্তায় পরে যায়। গত বর্ষার মৌসুমে নদী ভাঙ্গনের ৭/৮ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত নদীর অনেক ভাঙ্গন এখনো মেরামত করা হয়নি। তাই নদী ভাঙ্গন এলাকা সহ নিম্ন অঞ্চলের কৃষকের উৎপাদিত ফসল নিয়ে হতাশার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে। যদি বোর ধান পাকার আগে নদী ভাঙ্গন গুলি দ্রুত সময়ে মেরামত করা হতো তাহলে নদী ভাঙ্গন ও নিম্ন অঞ্চলের বোর চাষিরা এতটা হতাশার মধ্যে থাকতো না। প্রকাশ থাকে যে গত বছরের তুলনায় এ বছর বোর চাষ করতে দ্বিগুন খরচ হয়েছে। কৃষকেরা ধার দেনা করে তাদের জমি গুলি বোর ধান চাষ করেছে। যদি এই চলতি বোর ফসল নদী ভাঙ্গার কারনে বন্যার পানি ভাঙ্গন দিয়ে প্রবাহের ফলে ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাহলে অনেক দরিদ্র কৃষকের না খেয়ে মরতে হবে। এতে একদিকে যেমন কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে অপরদিকে খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিবে। চলতি বোর মৌসুমের ফসল কাটতে আরো বাকি প্রায় ১ মাস। যদি এই ১ মাসের মধ্যে বড় ধরনের বৃষ্টিপাত বা বন্যা হয়। তাহলে নদী ভাঙ্গন এলাকা সহ নিম্নাঞ্চলে বোর ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে না। কারন ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করে ভাঙ্গন এলাকা ও নিম্ন অঞ্চল পানিতে ডুবে ফসলের ক্ষতি সাধিত হবে। ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদারের সাথে নদী ভাঙ্গন বিষয়ে কথা হলে ঘটনার সত্যতা আছে বলে জানান। এছাড়াও গত বন্যায় নদীর উভয় পাড় ভাঙ্গনের ব্যাপারে শেরপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে মুঠফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।