ভোলা জেলা প্রতিনিধি।।
ভোলা সদর উপজেলার ৭ নং শীবপুর ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে আপন চাচাকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে আপন ভাতিজা সেনা সদস্য আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে। আহত আবুল হাসেম (৬০) মোসাম্মৎ আসমা বেগম (২৫) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম (১৮) মোঃ হাসান (৩২) ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
০১,০৮,২৩ই আগষ্ট বেলা সাড়ে ১১ টায় ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হাসেম মাল বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবুল হাসেম (৬০) জানান, একটি গাছ লাগানো কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমার ভাতিজি জামাই মঞ্জু ও ভাতিজা সেনা বাহিনী সদস্য রহিম এসে রড দিয়ে বাড়ী দিয়ে মাথা পাঠিয়ে দিয়েছে এবং পায়ে আঘাত করেছে। আমার পুত্রবধূ আসমা রক্ষা করতে আসলে তাকেও পিটিয়েছে তারা, তারা দুষ্ট, দুর্দান্ত, দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারী, পরবিত্তলোভী, সন্ত্রাস, মাস্তান, ক্যাডার ভূমি দস্যু ও উৎশৃঙ্খল প্রকৃতির লোক, মঞ্জু ও আব্দুর রহিম স্থানীয় বিচার- সালিশ ও আইনকানুন কিছুই মানে না। আমি এবং মঞ্জু ও রহিম একই বাড়ীতে পাশাপাশি ঘরে বসবাস করি, আমি, মঞ্জু ও রহিম দের সাথে বাড়ীর জায়গা-জমি নিয়া পূর্ব হইতে বিরোধ রয়েছে। তাতে মঞ্জু ও আব্দুর রহিম বিভিন্ন সময় আমাদের পক্ষের ৪০ বছর আগের ক্রয়র্কিত জায়গা-জমিতে থাকা গাছপালা ও ফল-ফলাদী তছরুফ করে এবং মারমুখি ভাব-ভঙ্গি দেখিয়ে আমাদের উপর আতঙ্কিত রোড দা ও দেশি অস্ত্র দ্বারা হামলা চালায় আমি গুরুতর আহত হয়ে এখন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি আমার ভাতিজা আব্দুর রহিম সে সেনাবাহিনীতে চাকরি করে সে প্রতিনিয়ত আমাদেরকে আইনি জটিলতার ভয় দেখায় ও বল প্রয়োগ করে বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানাইলে মঞ্জু ও রহিম আমাদের প্রতি আরও অধিকতর ক্ষিপ্ত হইয়ে ওঠে তাই ঘটনায় আমরা ভোলার কোর্টে একটি মামলা করেছি যার নং এমপি ৩৮০/২৩। আমরা সাধারণ দিনমজুরি মানুষ তাই প্রশাসনের সহায়তা চাচ্ছি, সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়।
এই এ বিষয়ে অভিযুক্ত সেনা সদস্য রহিম ও মঞ্জুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।