জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ১২ লাখ টাকার মাটি কেটে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পেলেও বাকি ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা না পেয়ে রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ঠিকাদার জাহেদ আলী।
এ ঘটনায় ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় ঠিকাদার জাহেদ আলী বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জানাগেছে, জগন্নাথপুর পৌর শহরের হাবিবনগর গ্রাম এলাকার মইয়ার হাওরে বাড়ি বানানোর জন্য ৪ কেদার জমি মাটি ভরাট করা নিয়ে গত ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর মাটিকাটা ঠিকাদার ঘোষগাঁও গ্রামের জাহেদ আলী ও মাটি কাটানোর পক্ষে উপজেলার জয়নগর গ্রামের আক্তার হোসেনের মধ্যে লিখিত চুক্তিপত্র হয়। চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদার জাহেদ আলী মাটি ভরাট ও পুকুর খননের কাজ শেষ করলেও এখনো পুরো টাকা পাননি। এতে ১২ লাখ টাকার মাটি কাটলেও পেয়েছেন মাত্র ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বাকি ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা না পেয়ে মেশিন ও শ্রমিকদের টাকা দিতে গিয়ে রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ঠিকাদার জাহেদ আলী।
এ বিষয়ে মাটিকাটা ঠিকাদার জাহেদ আলী বলেন, আমি কয়েকমাস আগেই তাদের কাজ শেষ করেছি। ১২ লাখ টাকার মধ্যে আক্তার হোসেন ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেন। কাজ শেষ হওয়ার পর তার পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি ফোনও ধরেন না। এ জমির মালিক দাবি করে ভবানীপুর গ্রামের প্রবাসী রূপবাহার বেগমও দ্রæত কাজ শেষ করার তাগাদা দেন। কাজ শেষ হলে এক সাথে টাকা দিবেন বলে আশ্বাস দিলেও টাকা দিচ্ছেন না। বরং টাকা না দিতে প্রবাসী মহিলাও নানা টালবাহানা করছেন।
জাহেদ আলী আরো বলেন, কাজের সময় ওইস্থানে আমি ছোট টিনসেড ঘর বানিয়েছিলাম শ্রমিক থাকার জন্য। তারা তাদের কাজ বুঝে নিচ্ছেন না। আমার টাকাও দিচ্ছেন না। যে কারণে এখনো ওই ঘরে মানুষ রেখে পাহারা দিতে হচ্ছে। এর মধ্যে বৃষ্টিপাতে মাটি কমপক্ষে এক ফুট দেবে গেছে। প্রতিদিন আমার লোকসান হচ্ছে। তাই নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিবাদী আক্তার হোসেন বলেন, প্রথমে আমার সাথে চুক্তি করে জাহেদ আলী মাটি কাটলেও পরে প্রবাসী রূপবাহার বেগমের সাথে কথা বলে মাটি কাটেন। এখন বিষয়টি তাদের ব্যাপার। এ বিষয়ে জানতে চেষ্টা করেও প্রবাসী রূপবাহার বেগমের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি