Dhaka , Friday, 23 May 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দিনমজুরের মৃত্যু  পাইকগাছায় ইউপি সদস্য রুপার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন সাত হাজার ইয়াবাসহ তিন যুবক আটক করেছে পুলিশ দলিল থাকা স্বত্বেও ১৬ বছর জমি অবৈধ দখলে, ক্ষতিপূরণ ও প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন আইনুল ৬ বছরেও প্রত্যাহার হয়নি নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদের অর্ধডজন মামলা পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের অবৈধ পুশইন, শিশু নারীসহ আটক ২০ কক্সবাজারে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অভিযুক্ত যুবককে হাতেনাতে আটক রায়পুরায় প্রধান শিক্ষকের গোপনীয়তা রেখে বক্তব্যের অভিযোগ মাত্র ১২০ টাকায় সততা ও মেধার ভিত্তিতে ১৭ জনকে চাকরি দিয়েছে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ কুড়িগ্রামের দুধকুমার নদের তীর রক্ষা বাঁধে ধস, বৃষ্টির পানিতে আতঙ্কে স্থানীয়রা চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ রূপগঞ্জে মহাসড়ক বন্ধ করে গণধিকার পরিষদের সমাবেশের আয়োজন রূপগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু  বিএনপির কেন্দ্রীয়  নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আব্দুস সালামের ইন্তেকাল  নোয়াখালী যুবদলের সভাপতির বিরুদ্ধে বাড়ী দখলের মিথ্যা সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন  মোংলায় কোষ্টগার্ডের তারুন্যের উৎসব মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন নারায়ণগঞ্জে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা- বিএসটিআই আইন লঙ্ঘনে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম গড়তে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখতে হবে- চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত কিশোর কিশোরীদের মেধা-মনন-সৃজনশীলতা বিকাশে দুর্গাপুরে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা জলবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ও বাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান  রাজশাহীতে দুই প্রতারককে আটক করেছে বিজিবি পাইকগাছায় নাশকতা মামলার আসামি সহ গ্রেফতার-৪ লালমনিরহাট সদরের মোগলহাট ইউপির উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা লালমনিরহাটে ঈদকে ঘিরে জমে উঠেছে পশুর হাট, চাহিদা পূরণ করছে জেলার খামারিরা মণিরামপুরে ইয়াবাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ী আটক  লালমনিরহাটে ১৯৭ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় স্কুল শিক্ষক বাবাকে মেরে জখম, থানায় মামলা নারী সংস্কার কমিশনের যথাযত অগ্রগতিই নারীর সঠিক মর্যাদা দিতে পারে- আবদুল মান্নান  লালমনিরহাটে চাকুরি জাতীয়করণের দাবিতে নকল নবীশদের মানববন্ধন সাধারণ মানুষকে মাদকের বিরুদ্ধে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান এসএম খাইরুল আলম চট্টগ্রামে চকরিয়া-পেকুয়াবাসীর  প্রীতি সমাবেশ ও মিলনমেলা 

চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সাবেক সাংসদ শাহাজাহান চৌধুরী একটি সংগ্রামী ইতিহাসের নাম

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 11:33:31 am, Tuesday, 25 March 2025
  • 120 বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সাবেক সাংসদ শাহাজাহান চৌধুরী একটি সংগ্রামী ইতিহাসের নাম

মোঃ মিজানুর রহমান, সাতকানিয়া প্রতিনিধি
পৃথিবীতে কিছু লোকের জন্মই যেন হয়েছে মানুষের কল্যাণ সাধনে, মানবতার সেবায় নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে। যারা আজীবন সংগ্রাম ও সাধনা করেন কিভাবে জনগণের সেবা করা যায় সেজন্য। যারা মানবতার কল্যাণে নিজের মেধা ও মননকে উজাড় করার মধ্যেই নিজের জীবনের সফলতা খুঁজে পান। ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এ শ্লোগানই তাদের কর্মতৎপরতা ও অনুপ্রেরণার উৎস। এমন লোকদের একজন শাহজাহান চৌধুরী (সাবেক এম.পি)। যিনি মানবতার মুক্তির জন্য নিজের জীবন ওয়াকফ করে আজীবন সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছেন। কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর সকল রক্তচক্ষু, জালিম ও স্বৈরচারী শাসক গোষ্ঠীর সীমাহীন জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করে বিরামহীনভাবে এগিয়ে চলেছেন লক্ষ্যপানে। স্বৈরাচারের বুলেট, টিয়ারগ্যাস, লাটিচার্জ ও বার বার কারাগারে নিক্ষপ কোন কিছুই তাঁর বিরামহীন সংগ্রামকে থামাতে পারেনি। যিনি নিজের ক্যারিয়ার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পরিবার পরিজন সব কিছুকে দ্বীন কায়েমের সংগ্রাম ও মানবতার সার্বিক কল্যাণ সাধনে কুরবানি দিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। সকল বাধা ও প্রতিবন্ধকতাকে মাড়িয়ে অবিরাম সংগ্রামে নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন। খুব সংক্ষেপে তাঁর সংগ্রামী জীবনের খন্ড চিত্র তুলে ধরা হলো। 
পারিবারিক পরিচিতি:
শাহজাহান চৌধুরী ১৯৫৬ সালের ৬ই এপ্রিল সাতকানিয়ার ছমদর পাড়ায় একটি ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মরহুম ওবায়দুর রহমান চৌধুরী ও মাতা ছমুদা বেগম। তাঁর দাদা ছিলেন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী মরহুম হামিদ আলী চৌধুরী। ৬ ভাই-বোনের মধ্যে জনাব শাহাজাহান চৌধুরী সবার বড়। ছোট ভাই শাহ আলম চৌধুরী আমেরিকায় সরকারি চাকুরীতে কর্মরত আছেন। অপর দুই ভাই জনাব আব্দুল আউয়াল চৌধুরী টুকু মিঞা ও জনাব আহমদ কবির চৌধুরী আমেরিকায় ব্যবসা করেন। আরেক ভাই মুহাম্মদ হোসেন চৌধুরী সাতকানিয়া মহিলা ডিগ্রী কলেজে কর্মরত। শাহজাহান চৌধুরী ১৯৮২ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম মহানগরী বন্দর থানাধীন হালিশহর এলাকার অধিবাসী সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডি.জি.এম জনাব আব্দুল কাইয়ুম সাহেবের মেয়ে জহুরা বেগম এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সংসার জীবনে তাঁদের ৩ মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে একটি স্বনামধন্য ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষিকা- বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত। মেঝ মেয়ে সপরিবারে কানাডায় বসবাসরত। ছোট মেয়ে একটি সরকারী কলেজে অধ্যয়নরত।
শিক্ষা ও কর্মজীবনি:- 
শাহজাহান চৌধুরী ছমদর পাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় মরহুম মাওলানা আব্দুর রশীদ ও মাওলানা আলী আহমদ সাহেবের নিকট প্রথমিক লেখা পড়া ও কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে সাতকানিয়া ছমদর পাড়া প্রাইমারী স্কুলে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত এবং সাতকানিয়া মডেল হাইস্কুলে ৬ষ্ঠ থেকে এস.এস.সি পাশ করার পর চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন কমার্স, চট্টগ্রাম সরকারী সিটি কলেজ থেকে বি.কম, এবং পরবর্তীতে এল.এল.বি ডিগ্রী অর্জন করেন। 
তিনি ১৯৭৯ সাল থেকে ব্যবসা শুরু করেন। স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ হামিদ এন্ড সন্স এর তিনি সত্ত্বাধিকারী ও প্রাইম সল্ট ইন্ডাষ্ট্রিজ এবং ইলোমিন্যাট গ্রুপ এর চেয়ারম্যান।
ছাত্র রাজনীতেতে অগ্রণী ভূমিকা:- 
একজন সমাজ সচেতন ব্যক্তি হিসেবে জনাব চৌধুরী স্কুল জীবন থেকেই ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হন এবং আদর্শবাদী ছাত্র রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করেন। তিনি তৎকালিন ইসলামী ছাত্র সংঘের ‘রফিক’ ছিলেন। পরবর্তীকালে ইসলামী ছাত্র শিবির প্রতিষ্ঠার পর তিনি ছাত্র শিবিরে সদস্যপদ লাভ করেন। ক্রমান্বয়ে চট্টগ্রাম মহানগরী পরামর্শ সভার সদস্য ও কোতোয়ালী থানা সভাপতি ও জোন পরিচালক হিসেবে ছাত্র শিবিরের অগ্রযাত্রায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন।
ছাত্র সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব দান:- 
একটি আদর্শবাদী ছাত্র সংগঠনের প্রথম সারির নেতা হিসেবে জনাব চৌধুরী ছাত্র সমাজের বহুমুখী সমস্যা সমাধানে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
বাংলাদেশ বাণিজ্যিক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ২ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালিন ১৯৭৬ সালে পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট থেকে কমার্শিয়াল ইনিষ্টিটিউট পৃথক করার দাবীতে সারা দেশে ডিপ্লোমা ছাত্রদের সংগঠিত করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন। তাঁর আন্দোলনের ফসল হিসেবে পরবর্তীতে নিজস্ব জমি ও ভবনে কমার্শিয়াল ইনষ্টিটিউট পৃথক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তিনি বি.বি.এ কোর্স চালুর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দাবী উত্থাপন করেন এবং তার দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার বি.বি.এ কোর্স চালু করেন।
শিশু-কিশোর সংগঠক শাহজাহান চৌধুরী:- 
শাহজাহান চৌধুরী শৈশব থেকে স্বভাব সুলভ সংগ্রামী জীবনের যাত্রা শুরু করেন। কিশোর বয়সেই এ অঞ্চলের সুপরিচিত শিশু সংগঠন “ঝিংগে ফুলের আসর” প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা অর্থ সম্পাদক হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে দীর্ঘ দিন প্রধান পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি বৃহত্তর চট্টগ্রামে “ঝিংগে ফুলের আসর” প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাঁর দক্ষ পরিচালনা ও সুযোগ্য নেতৃত্বে “ঝিংগে ফুলের আসর” জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিশু সংগঠনের মর্যাদা লাভ করে।
– ১৯৭৮ সালে সরকারীভাবে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিশু-কিশোর মেলা আয়োজনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং ৭৬, ৭৭ ও ৭৮ সালে মেলা আয়োজনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
– ১৯৭৬, ৭৭ ও ৭৮ সালে চট্টগ্রামে কৃষি শিল্প মেলা আয়োজনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।
– ১৯৭৬-৭৭ ও ৭৮ সালে সরকারীভাবে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে ‘ঝিংগে ফুলের আসর’ এর প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী ব্যবস্থাপক এর দায়িত্ব পালন করেন।
– ১৯৭৮ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে শিশু কিশোরদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রধান হিসেবে ভূমিকা পালন করেন।
– চট্টগ্রামে শিশু একাডেমী প্রতিষ্ঠায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শিশু-কিশোর বিষয়ক উপদেষ্টা জোবেদা খানমের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
– শিশু-কিশোর পত্রিকা “ঝিংগে পাতা’ প্রকাশনায় প্রধান ভূমিকা পালন করেন।
– ১৯৭৫-৭৮ সাল চট্টগ্রামে ‘নজরুল-ফররুখ স্মরণ’ দিবস পালন, শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।
– ১৯৭৮ সালে কবি আল মাহমুদ এর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।
– ১৯৭৮ সালে সরকারিভাবে শিশু কিশোর সমাবেশ আয়োজনে প্রধান ভূমিকা পালন করেন।
বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলন ও রাজনীতির ময়দানে ভূমিকা পালন, ১৯৭৯ সালে ছাত্র জীবন শেষ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। ১৯৮১ সালে জামায়াতের রুকন (সদস্য) হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৮২-৮৬ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রাণ কেন্দ্র কোতোয়ালী থানার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭-৮৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সেক্রেটারী ও ১৯৮৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জেলা আমীরের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০-২০০৬ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীরের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সাল থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮৯ সাল থেকে অদ্যাবধি কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য হিসেবে কেন্দ্রীয় সংগঠনের নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন:- 
শাহজাহান চৌধুরী ১৯৯১ সালে প্রথম বারের মত সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসন থেকে বিপুল ভোটে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে ২০০১ সালে একই এলাকার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনী এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন, বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে অগ্রণী ভূমিকা ও অসামান্য অবদান রাখেন। তার কিয়াদাংশ উল্লেখ করা হলো:-
২০০১-২০০৬ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী সংসদীয় দলের হুইপ, সংসদীয় হাউজ কমিটির সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির সদস্য এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
– জাতীয় শিল্প উন্নয়ণ পরিষদ সদস্য এবং সংসদীয় ইঞ্জিনিয়ারিং সাব কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারা পরিদর্শক হিসেবে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ২০০৪-২০০৫ সালে পর পর ২ বার জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পীকার মনোনীত হন।
– ১৯৯১-২০০১ সাল পর্যন্ত পার্লামেন্ট ক্লাবের সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
– ২০০১ সাল থেকে এম.পি হোস্টেল মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ভেটেরিনারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
– ২০০৩ সালে চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উন্নয়ণ ও হৃদরোগ ওয়ার্ড সম্প্রসারণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে পরিত্যক্ত সম্পত্তি সাব করেন। চট্টগ্রাম মহানগরীর ঝাউতলা, ফিরোজশাহ, শেরশাহ কলোনীসহ অন্যান্য স্থানে কাগজপত্রের আলোকে বৈধ মালিকদের নামে প্লট বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। চট্টগ্রাম বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উন্নীত করার জন্য তৎকালিন মন্ত্রী জহির উদ্দিন খানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
– দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও বাঁশখালীর সমন্বয়ে পৃথক একটি জেলা প্রতিষ্ঠা করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে দাবী ও সংগ্রাম চালিয়ে আসছেন।
– বাঁশখালী, চকরিয়া ও লোহাগাড়ার পশ্চিমাংশে পাহাড়ে কুমিরাঘোনা এলাকায় রাশিয়ান গ্যাস কোম্পানী কর্তৃক পাকিস্তান আমলে খননকৃত পরিত্যক্ত গ্যাস কূপ পুন:খনন করে গ্যাস উত্তোলনের জন্য হোটেল সোনারগাঁওয়ে সেমিনারের আয়োজন ও তৎকালিন খনিজ সম্পদ মন্ত্রীসহ বিদেশী ডেলিগেট নিয়ে উক্ত স্থানসমূহ পরিদর্শনের ব্যবস্থা করেন।
– দোহাজারি থেকে টেকনাফ ভায়া কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত রেল লাইন সম্প্রসারণের দাবী তিনি বার বার জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেছেন। চট্টগ্রামে আরো একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৯৩ সালে জাতীয় সংসদে দাবী উত্থাপন করেন এবং ২০০৩ সালে চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ণ সমন্বয় কমিটির সভায় জনাব শাহজাহান চৌধুরীর দাবীর প্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ডিয়ো লেটার তৈরী করে মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তৎকালিন ‘শান্তি বাহিনীর’ সাথে আলোচনার জন্য সরকার গঠিত ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ তৎপরতার অংশ হিসেবে ১৯৯৪ সালে ভারতে আশ্রিত উপজাতি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে উপজাতিদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য প্রদান করে শরণার্থীদের দেশে ফিরে আসার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেন। তাঁর এ প্রচেষ্টায় তখন হাজার হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে।
– সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে আইনের সংশোধনীর ক্ষেত্রে পোষ্ট মর্টেম (ময়না তদন্ত) সংশোধনী বিল সংসদে উত্থাপন ও পাশের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
আন্দোলন-সংগ্রাম ও কারাবরণ:- 
দীর্ঘ ৯ বছর ব্যাপী এরশাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জনাব শাহজাহান চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে জনমত গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে চট্টগ্রামে এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি হয়। যার ফলে এরশাদের দীর্ঘ ৯ বছরের স্বৈরশাসনের পতন তরান্বিত হয়। মিছিল, সমাবেশ, হরতাল ও অবরোধে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তিনি বার বার পুলিশী নির্যাতন ও নির্দয় আচরণের শিকার হন। এ সময় তৎকালিন স্বৈরাচারী সরকার তাকে ১৩টি মিথ্যা মামলার আসামী করে। ২০০০ সালে পবিত্র ঈদুল আযহার দিন আওয়ামী লীগ সরকার তাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ১ মাস রেখে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করে অমানবিক নির্যাতন চালায়। মাননীয় হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি লাভের পর সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাকে কারাগারের গেইট থেকে পুনরায় গ্রেফতার করে। এই অন্যায় গ্রেফতারের প্রতিবাদ করায় শত শত নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
২০০৭ সালের ২২ শে জানুয়ারীর নির্বাচনে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হন। দেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণার পর জরুরী সরকার তাঁর জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ষড়যন্ত্রমূলক মামলার আইনি মোকাবিলার জন্য আদালতে উপস্থিত হলে তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে দীর্ঘ ১৪ মাস কারাগারে আটক রাখে।
জরুরী সরকারের সাথে আতাঁত করে ক্ষমতায় আসা অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালে হাইকোর্ট চত্বর থেকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতার করে মিথ্যা ষড়ন্ত্রমূলক মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে আটক রাখে। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে তিনি ২০১২ সালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।
এর পরে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের ৩ তারিখ জুমার নামাজের আগ মুহুর্তে গ্রেফতার করে ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসের ২০ তারিখ দীর্ঘ ৫ মাস পর মুক্তি লাভ করেন।  এর পরে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় ২০২১ সালের মে মাসের ১৫ তারিখ পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন রাত্রে সাতকানিয়া নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে অবৈধ সরকারের তল্কিবাহী প্রশাসন সেই থেকে আজ অবধি দীর্ঘ ১৭ মাস থেকে কারান্তরীন আছেন।
দুদকের মামলায় বেকসুর খালাস:- 
সাতকানিয়া-লোহাগাড়া থেকে বার বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত জনাব শাহজাহান চৌধুরীর বিজয়কে কোনোভাবে ঠেকানো যাবেনা দেখে ১/১১ এর জরুরী সরকার|
দুদকের মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিশেষ আদালতের মাধ্যমে ৭ বছরের সাজা প্রদান করেন। এ সাজার বিরুদ্ধে জনাব চৌধুরী হাইকোর্টে আপিল দায়ের করলে দুদক তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় হাইকোর্ট তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। বর্তমান সরকার খালাসের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল দায়ের করেন। আপিল বিভাগে দীর্ঘ শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনহার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং তার জব্দকৃত গাড়িটি ক্ষতিপূরণসহ ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেন এবং গাড়িটি ফেরত পান।
সমাজ সেবা ও মানব কল্যাণে অবদান:- 
একজন নিরলস সমাজকর্মী হিসেবে জনাব শাহজাহান চৌধুরী অসংখ্য সেবা, পূনর্বাসন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত আছেন। সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় মহিলা মাদ্রাসা ও এবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সক্রিয় সহযোগিতা ও অগ্রণি ভূমিকা পালন করেন। ফাযিল ও কামিলকে ডিগ্রী ও মাষ্টার্সের মান দেওয়ার ক্ষেত্রে মাদ্রাসা ছাত্র আন্দোলন পরিষদ নেতাদের নিয়ে সংসদ সদস্যদের নিকট স্মারক বিতরণ করেন। এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদেরকে প্রথমিক স্কুলের শিক্ষকদের সমমর্যাদা দানের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদানে নেতৃত্ব দেন। এ ব্যাপারে শিক্ষকদের আন্দোলন ও অন্যান্য কর্মসূচি পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন। তিনি নিজে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এর উল্লেখযোগ্য কয়টি উল্লেখ করা হলো-
– প্রতিষ্ঠাতা- মোজাদ্দেদ আল্ ফেসানী একাডেমী, সাতকানিয়া।
– প্রতিষ্ঠাতা- সাতকানিয়া আদর্শ মহিলা কলেজ, সাতকানিয়া।
– প্রতিষ্ঠাতা- সাতকানিয়া আদর্শ মহিলা মাদ্রাসা, সাতকানিয়া।
– প্রতিষ্ঠাতা- দক্ষিণ ছমদর পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতকানিয়া।
– প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- রব্বানী মহিলা মাদ্রাসা, সাতকানিয়া।
– প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- আল হেলাল ডিগ্রী কলেজ, সাতকানিয়া।
– চেয়ারম্যান- ডা: ইসমাঈল স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
– সভাপতি- ইসলামিক সেন্টার, সাতকানিয়া।
– সেক্রেটারী- মুসল্লী পরিষদ, শাহী জামে মসজিদ, আন্দরকিল্লা।
– প্রতিষ্ঠাতা সদস্য- আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।
– সদস্য- তানজিমুল মোসলেমীন এতিমখানা, চট্টগ্রাম।
– প্রতিষ্ঠাতা- ছমদিয়া এতিমখানা, সাতকানিয়া।
– প্রতিষ্ঠাতা- ছমদিয়া হেফজখানা, সাতকানিয়া।
– প্রতিষ্ঠাতা- গৌড়স্থান উচ্চ বিদ্যালয়, লোহাগাড়া।
– প্রতিষ্ঠাতা- বড় হাতিয়া আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসা, লোহাগাড়া।
– প্রতিষ্ঠাতা- সাউন্ড হেলথ হাসপাতাল, লোহাগাড়া।
– প্রতিষ্ঠাতা- ইলোমিনেট স্কুল এন্ড কলেজ, ডবলমুরিং।
– চেয়ারম্যান- সময় ফাউন্ডেশন।
– ব্যবস্থাপক ও পরিচালক- সাপ্তাহিক সময়ের প্রয়াস পত্রিকা।
নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ণ:- 
১৯৯১ ও ২০০১ সালে এমপি থাকা অবস্থায় নির্বাচনী এলাকায় (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) তিনি ব্যাপক উন্নয়ণ করেন। বিশেষ করে ২০০১ সালে ৪ দলীয় জোট ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নির্বাচনী এলাকাকে আধুনিক সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় রূপান্তর করেন। শিক্ষা, যোগাযোগ, সমাজ কল্যাণ, দারিদ্র বিমোচন ও বেকারত্ব দূরীকরণে এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ণে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। ২০০২ সালে বড় হাতিয়া হাঁটখোলা মুড়া এলাকায় বাঁধ নির্মাণ, ২০০৪ সালে গৌড়স্থানে নিজস্ব উদ্দ্যোগে বাঁধ নিমার্ণ এবং সুখছড়ি কামার দিঘীর পাড়ায় রাবারড্যাম নিমার্ণের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণে বিরাট ভূমিকা পালন করেন। গরিব- দুঃস্থ গৃহহীনদের জন্য লোহাগাড়ায় ৩টি ও সাতকানিয়া ৩টি গুচ্ছ গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন। সাতকানিয়া সরকারী কলেজে অনার্স কোর্স চালু, সাতকানিয়া ফায়ার ব্রিগেড স্থাপন, বিপুল সংখ্যক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা এম.পিও ভূক্ত করণ তার অবিরাম প্রচেষ্টার ফসল। শত শত ব্রীজ, কালভার্ট নির্মাণ, রাস্তা পাকা করণ ও সংস্কারের মাধ্যমে পুরো এলাকায় অভূতপূর্ব যোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করেন। টি, আর, কাবিখা, ঐচ্ছিক তহবিল ও বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে তিন শত মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়ণ সাধন করেন। দু’ উপজেলার অসংখ্য মন্দির, মট ও উপাসনালয় সংস্কারে অসামান্য অবদান রেখেছেন। যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ দুটি উপজেলা মডেল উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ট্রমা সেন্টার স্থাপন তার অবিরাম প্রচেষ্টার ফসল। ২০০১ সালের মেয়াদে সাতকানিয়াকে পৌরসভায় উন্নীত ও লোহাগাড়াকে আরবান এলাকায় রূপান্তরিত করেন।
আর্ত মানবতার সেবায়:–
১৯৮৮ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষার জন্য সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে জনসভা করেন। মুসলিম ছাত্র যুবকদের সেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করে প্রত্যেক মন্দিরে পাহারার ব্যবস্থা করেন। ১৯৮৮ সালে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্থ উরিরচরে মরহুম আব্বাস আলী খানের নেতৃত্বে খাদ্য, ত্রাণ ও ঔষধ সামগ্রীসহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উরিরচরে ছুটে যান। ১৯৯১ সালে ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্থ উপকূলীয় অঞ্চল বাঁশখালী, আনোয়ারা ও পতেঙ্গায় ব্যাপক রিলিফ বিতরণ ও শত শত লাশ দাফনে নেতৃত্ব দেন জনাব শাহজাহান চৌধুরী। ১৯৭৯ সালে বর্মী সরকারের অমানবিক নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের মাঝে রাবেতা আলম ইসলামীর সহায়তায় ত্রাণ বিতরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন জনাব চৌধুরী।
– রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিপর্যস্থ শরাণার্থীদের চিকিৎসা সেবা ও রাবেতা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
বিদেশ সফর:- 
জনাব শাহজাহান চৌধুরী সরকারি প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে শ্রীলংকা, ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আবর-আমিরাত ও সৌদি আরব সফর করেন। কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারী এসোসিয়েশন সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে নাইজেরিয়া, ইন্টার পার্লামেন্টারী ইউনিয়ন সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে কেনিয়া ও ট্যুরিজম কনফারেন্সে যোগদান উপলক্ষে মালয়েশিয়া সফর করেন।
জাতীয় সংসদে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনাব শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের অংশ বিশেষ:-
১। ২০০২ সালে, মাননীয় প্রধান মন্ত্রির বাসভবন ও সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনার ঔদ্বত্যপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। একই সাথে বিগত ৯৬ এর আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন, সন্ত্রাস, লুটপাট, খুন, রাহাজানি, অশ্লিলতা ও বেহায়াপনাসহ দেশ পরিচালনায় চরম ব্যর্থতার বিশদ বিবরণ তুলে ধরেণ।
২। ১৫.০৭.২০০২ সালে সারা দেশে বর্ষা মৌসুমে বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, বিশেষ করে লক্ষীপুর সদর, চন্দগল, চরশাহী, দিখুলী, মান্দারী, লাহরকান্দ্রি, ভবানীগঞ্জ, কুয়াখালী অঞ্চলের দূরাবস্থা ও চট্টগ্রাম শহরের ভরাট নদী-খাল খননের ব্যাপারে বক্তব্য পেশ করেন।
৩। ২০০৩ সালে সম্পূরক বাজেটের উপর আলোচনায় বাজেটে কৃষক ও শ্রমিকের নিরাপত্তা বিধানে বিশেষ বরাদ্দের দাবী জানান।
৪। ১৩.০৬.০৩ সালে নিউমুরিং প্রকল্প বাস্তবায়ন ও চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী করার দাবী জানান।
৫। ১৪.০৯.২০০৩ সালে বাংলাদেশে ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব এর ব্যাপারে বক্তব্য প্রদান করেন।
৬। ১৪.০৯.২০০৩ সালে বিদেশে বাংলাদেশ হাইকমিশনের জন্য জায়গা ক্রয় করে স্থায়ী অফিস নির্মাণের দাবী জানান।
৭। ২০০৪ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষনের উপর ধন্যবাদ বক্তব্যে এ দেশের ১৪ কোটি মানুষের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেণ। একই সাথে ৪ দলীয় জোট সরকারের সার্বিক সফলতা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।
৮। ২৭.০১.২০০৪ সালে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে খেলার মাঠ সংস্কার করে ছাত্র-যুবকদের ক্রীড়া চর্চার সুযোগ সৃষ্টির দাবী জানান।
৯। ২৭.০১.২০০৪ সালে ফলপ্রসু জরিপের মাধ্যমে গ্যাসকূপ স্থান নির্ধারণ, বিশেষ করে সাতকানিয়া ও বাশখালীর গ্যাস ফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন এবং বড়হাতিয়া ইউনিয়নে রাশিয়া কর্তৃক ১৯৬৮ সালে গ্যাস উত্তোলন প্রকল্প বন্ধ করা সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত দিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং মাননীয় মন্ত্রী ড. খোন্দকার মোশারফকে প্রকল্প ঠরংরঃ করার আহবান জানান।
১০। ২৮.০১.২০০৪ সালে বিদেশের কারাগারে বন্দি বাংলাদেশী নাগরিকদের সংখ্যা তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। বিশেষ করে নারী, শিশু, কিশোর ও জেলেদের বিষয় উল্লেখ করেন এবং তাদের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার দাবী জানান।
১১। ১১.০২.২০০৪ সালে ৪০০ কোটি টাকার অর্ধেক কাপড় বন্দর ও কাস্টম থেকে ছাড় প্রদান প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দূর্নীতি সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন।
১২। ১২.০২.২০০৪ সালে এশিয়ান হাইওয়ে কক্সবাজার-ঘুনদুম হয়ে বার্মা পর্যন্ত নির্মাণ এর দাবী তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন।
১৩। ২৮.০২.২০০৪ সালে পুরাতন ব্রিটিশ আমলের দেওয়ানী আদালত ভবন সংস্কার ও শূন্য পদে বিচারক নিয়োগ দানের দাবী তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
১৪। ২৯.০২.২০০৪ সালে সারা দেশের স্যাটেলাইট কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের শিক্ষকদের মানবেতর জীবন-যাপন ও বেতন বৃদ্ধির দাবী তুলে ধরেন এবং ন্যুনতম বেতন এক হাজার পাঁচশত টাকা করার দাবী জানান।
১৫। ১৭.০৩.২০০৪ সালে পোল্ট্রি শিল্পের নীতিমালা প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণ এর উপর বক্তব্য প্রদান করেন।
১৬। ১৭.০৩.২০০৪ সালে ভারত কর্তৃক আন্তর্জাতিক নদী অববাহিকায় পানি স্থানান্তর প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের উপর ক্ষতিকর ও বিরূপ প্রভাব প্রসঙ্গে বক্তব্য প্রদান করেন।
১৭। ১৮.০৩.২০০৪ সালে চলচিত্র সেন্সরশীপ প্রসঙ্গে বক্তব্য প্রদান করেন। একই সাথে ভারত, থাইলেন্ড, মায়ানমার ও বিভিন্ন দেশের অশ্লিল ম্যাগাজিনের বিরূপ প্রভাব তুলে ধরেন।
১৮। ২৪.০৩.২০০৪ সালে চট্টগ্রামের সাংগু নদীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য প্রদান করেন।
১৯। ২৪.০৩.২০০৪ সালে দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৩০০ আসনের একটি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবী উত্থাপন করেন। সাথে সাথে লোহাগাড়াতে একটি ট্রমা সেন্টার স্থাপনের দাবী জানান।
২০। ২৫.০৪.২০০৪ সালে সারা দেশে নন এম পি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ বাছাই করে উপযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে এম পি ও ভূক্ত করার দাবী জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
২১। ১৬.০৯.০৪ সালে ৩য় কর্ণফুলী সেতু নির্মাণের জন্য অসংখ্যবার এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য রাখেন।
২২। ১৩.০৫.২০০৪ তারিখে ২০০০-২০০১ সালে বিগত সরকারের সময় আর্থিক অনিয়ম সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন। ৫৪৬০৩টি আর্থিক আপত্তি এবং ১৮৭৩ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা দূর্নীতির সাথে জড়িত ১০টি মন্ত্রণালয় সম্পর্কে সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানান।
২৩। ১৩.০৫.২০০৪ : সিদ্ধান্ত প্রস্তাবে সন্ত্রাস দমনে সরকারের ভূমিকার উপর বক্তব্য প্রদান করেন।
২৪। ১৪.০৩.২০০৫ সালে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের বক্তব্যে রাস্তা-ঘাট, প্রবাসীদের রেমিটেন্স, বিদেশে বাংলাদেশী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও মূল্য সংযোজন কর আইন সংশোধন এর দাবী জানান।
২৫। ২৩.৬.২০০৫ সালে বাজেটের উপর আলোচনা। পল্লি অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ণের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। তুলে ধরেন মড়ড়ফ মড়াবৎহধহপব এর কথা। বাজেটে বরাদ্দ দাবী করেন দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের এবং একই সাথে সংসদ সদস্যদের জন্য আলাদা বরাদ্দের দাবী জানান।
২৬। ১৫.২.২০০৬ সালে হাওর অঞ্চলে মৎস্য চাষ প্রকল্প গ্রহণ, ভরাট পুকুর, নদী ও খাল খননের উদ্দ্যেগ গ্রহণ এবং জেলে ও মৎস চাষীদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার দাবী জানান।
২৭। ১৫.০২.২০০৬ সালে এক বছরে দেড় হাজার কোটি টাকার আমদানীকৃত পামওয়েলের অর্ধেকই চোরাই পথে ভারতে পাচার হওয়া সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন এবং তা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানান।
২৮। মর্গ/লাশ ঘর আধুনিকায়নের দাবী ও প্রতিটি জেলায় একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভবন নির্মাণের দাবী পেশ করেন।
২৯। চট্টগ্রাম বন্দরের দূর্নীতি বন্ধের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানান।
বর্তমানে শাহজাহান চৌধুরী হচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দিনমজুরের মৃত্যু 

চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সাবেক সাংসদ শাহাজাহান চৌধুরী একটি সংগ্রামী ইতিহাসের নাম

আপডেট সময় : 11:33:31 am, Tuesday, 25 March 2025
মোঃ মিজানুর রহমান, সাতকানিয়া প্রতিনিধি
পৃথিবীতে কিছু লোকের জন্মই যেন হয়েছে মানুষের কল্যাণ সাধনে, মানবতার সেবায় নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে। যারা আজীবন সংগ্রাম ও সাধনা করেন কিভাবে জনগণের সেবা করা যায় সেজন্য। যারা মানবতার কল্যাণে নিজের মেধা ও মননকে উজাড় করার মধ্যেই নিজের জীবনের সফলতা খুঁজে পান। ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এ শ্লোগানই তাদের কর্মতৎপরতা ও অনুপ্রেরণার উৎস। এমন লোকদের একজন শাহজাহান চৌধুরী (সাবেক এম.পি)। যিনি মানবতার মুক্তির জন্য নিজের জীবন ওয়াকফ করে আজীবন সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছেন। কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর সকল রক্তচক্ষু, জালিম ও স্বৈরচারী শাসক গোষ্ঠীর সীমাহীন জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করে বিরামহীনভাবে এগিয়ে চলেছেন লক্ষ্যপানে। স্বৈরাচারের বুলেট, টিয়ারগ্যাস, লাটিচার্জ ও বার বার কারাগারে নিক্ষপ কোন কিছুই তাঁর বিরামহীন সংগ্রামকে থামাতে পারেনি। যিনি নিজের ক্যারিয়ার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পরিবার পরিজন সব কিছুকে দ্বীন কায়েমের সংগ্রাম ও মানবতার সার্বিক কল্যাণ সাধনে কুরবানি দিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। সকল বাধা ও প্রতিবন্ধকতাকে মাড়িয়ে অবিরাম সংগ্রামে নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন। খুব সংক্ষেপে তাঁর সংগ্রামী জীবনের খন্ড চিত্র তুলে ধরা হলো। 
পারিবারিক পরিচিতি:
শাহজাহান চৌধুরী ১৯৫৬ সালের ৬ই এপ্রিল সাতকানিয়ার ছমদর পাড়ায় একটি ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মরহুম ওবায়দুর রহমান চৌধুরী ও মাতা ছমুদা বেগম। তাঁর দাদা ছিলেন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী মরহুম হামিদ আলী চৌধুরী। ৬ ভাই-বোনের মধ্যে জনাব শাহাজাহান চৌধুরী সবার বড়। ছোট ভাই শাহ আলম চৌধুরী আমেরিকায় সরকারি চাকুরীতে কর্মরত আছেন। অপর দুই ভাই জনাব আব্দুল আউয়াল চৌধুরী টুকু মিঞা ও জনাব আহমদ কবির চৌধুরী আমেরিকায় ব্যবসা করেন। আরেক ভাই মুহাম্মদ হোসেন চৌধুরী সাতকানিয়া মহিলা ডিগ্রী কলেজে কর্মরত। শাহজাহান চৌধুরী ১৯৮২ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম মহানগরী বন্দর থানাধীন হালিশহর এলাকার অধিবাসী সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডি.জি.এম জনাব আব্দুল কাইয়ুম সাহেবের মেয়ে জহুরা বেগম এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সংসার জীবনে তাঁদের ৩ মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে একটি স্বনামধন্য ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষিকা- বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত। মেঝ মেয়ে সপরিবারে কানাডায় বসবাসরত। ছোট মেয়ে একটি সরকারী কলেজে অধ্যয়নরত।
শিক্ষা ও কর্মজীবনি:- 
শাহজাহান চৌধুরী ছমদর পাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় মরহুম মাওলানা আব্দুর রশীদ ও মাওলানা আলী আহমদ সাহেবের নিকট প্রথমিক লেখা পড়া ও কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে সাতকানিয়া ছমদর পাড়া প্রাইমারী স্কুলে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত এবং সাতকানিয়া মডেল হাইস্কুলে ৬ষ্ঠ থেকে এস.এস.সি পাশ করার পর চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন কমার্স, চট্টগ্রাম সরকারী সিটি কলেজ থেকে বি.কম, এবং পরবর্তীতে এল.এল.বি ডিগ্রী অর্জন করেন। 
তিনি ১৯৭৯ সাল থেকে ব্যবসা শুরু করেন। স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ হামিদ এন্ড সন্স এর তিনি সত্ত্বাধিকারী ও প্রাইম সল্ট ইন্ডাষ্ট্রিজ এবং ইলোমিন্যাট গ্রুপ এর চেয়ারম্যান।
ছাত্র রাজনীতেতে অগ্রণী ভূমিকা:- 
একজন সমাজ সচেতন ব্যক্তি হিসেবে জনাব চৌধুরী স্কুল জীবন থেকেই ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হন এবং আদর্শবাদী ছাত্র রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করেন। তিনি তৎকালিন ইসলামী ছাত্র সংঘের ‘রফিক’ ছিলেন। পরবর্তীকালে ইসলামী ছাত্র শিবির প্রতিষ্ঠার পর তিনি ছাত্র শিবিরে সদস্যপদ লাভ করেন। ক্রমান্বয়ে চট্টগ্রাম মহানগরী পরামর্শ সভার সদস্য ও কোতোয়ালী থানা সভাপতি ও জোন পরিচালক হিসেবে ছাত্র শিবিরের অগ্রযাত্রায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন।
ছাত্র সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব দান:- 
একটি আদর্শবাদী ছাত্র সংগঠনের প্রথম সারির নেতা হিসেবে জনাব চৌধুরী ছাত্র সমাজের বহুমুখী সমস্যা সমাধানে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
বাংলাদেশ বাণিজ্যিক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ২ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালিন ১৯৭৬ সালে পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট থেকে কমার্শিয়াল ইনিষ্টিটিউট পৃথক করার দাবীতে সারা দেশে ডিপ্লোমা ছাত্রদের সংগঠিত করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন। তাঁর আন্দোলনের ফসল হিসেবে পরবর্তীতে নিজস্ব জমি ও ভবনে কমার্শিয়াল ইনষ্টিটিউট পৃথক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তিনি বি.বি.এ কোর্স চালুর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দাবী উত্থাপন করেন এবং তার দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার বি.বি.এ কোর্স চালু করেন।
শিশু-কিশোর সংগঠক শাহজাহান চৌধুরী:- 
শাহজাহান চৌধুরী শৈশব থেকে স্বভাব সুলভ সংগ্রামী জীবনের যাত্রা শুরু করেন। কিশোর বয়সেই এ অঞ্চলের সুপরিচিত শিশু সংগঠন “ঝিংগে ফুলের আসর” প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা অর্থ সম্পাদক হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে দীর্ঘ দিন প্রধান পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি বৃহত্তর চট্টগ্রামে “ঝিংগে ফুলের আসর” প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাঁর দক্ষ পরিচালনা ও সুযোগ্য নেতৃত্বে “ঝিংগে ফুলের আসর” জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিশু সংগঠনের মর্যাদা লাভ করে।
– ১৯৭৮ সালে সরকারীভাবে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিশু-কিশোর মেলা আয়োজনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং ৭৬, ৭৭ ও ৭৮ সালে মেলা আয়োজনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
– ১৯৭৬, ৭৭ ও ৭৮ সালে চট্টগ্রামে কৃষি শিল্প মেলা আয়োজনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।
– ১৯৭৬-৭৭ ও ৭৮ সালে সরকারীভাবে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে ‘ঝিংগে ফুলের আসর’ এর প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী ব্যবস্থাপক এর দায়িত্ব পালন করেন।
– ১৯৭৮ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে শিশু কিশোরদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রধান হিসেবে ভূমিকা পালন করেন।
– চট্টগ্রামে শিশু একাডেমী প্রতিষ্ঠায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শিশু-কিশোর বিষয়ক উপদেষ্টা জোবেদা খানমের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
– শিশু-কিশোর পত্রিকা “ঝিংগে পাতা’ প্রকাশনায় প্রধান ভূমিকা পালন করেন।
– ১৯৭৫-৭৮ সাল চট্টগ্রামে ‘নজরুল-ফররুখ স্মরণ’ দিবস পালন, শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।
– ১৯৭৮ সালে কবি আল মাহমুদ এর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।
– ১৯৭৮ সালে সরকারিভাবে শিশু কিশোর সমাবেশ আয়োজনে প্রধান ভূমিকা পালন করেন।
বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলন ও রাজনীতির ময়দানে ভূমিকা পালন, ১৯৭৯ সালে ছাত্র জীবন শেষ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। ১৯৮১ সালে জামায়াতের রুকন (সদস্য) হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৮২-৮৬ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রাণ কেন্দ্র কোতোয়ালী থানার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭-৮৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সেক্রেটারী ও ১৯৮৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জেলা আমীরের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০-২০০৬ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীরের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সাল থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮৯ সাল থেকে অদ্যাবধি কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য হিসেবে কেন্দ্রীয় সংগঠনের নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন:- 
শাহজাহান চৌধুরী ১৯৯১ সালে প্রথম বারের মত সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসন থেকে বিপুল ভোটে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে ২০০১ সালে একই এলাকার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনী এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন, বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে অগ্রণী ভূমিকা ও অসামান্য অবদান রাখেন। তার কিয়াদাংশ উল্লেখ করা হলো:-
২০০১-২০০৬ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী সংসদীয় দলের হুইপ, সংসদীয় হাউজ কমিটির সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির সদস্য এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
– জাতীয় শিল্প উন্নয়ণ পরিষদ সদস্য এবং সংসদীয় ইঞ্জিনিয়ারিং সাব কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারা পরিদর্শক হিসেবে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ২০০৪-২০০৫ সালে পর পর ২ বার জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পীকার মনোনীত হন।
– ১৯৯১-২০০১ সাল পর্যন্ত পার্লামেন্ট ক্লাবের সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
– ২০০১ সাল থেকে এম.পি হোস্টেল মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ভেটেরিনারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
– ২০০৩ সালে চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উন্নয়ণ ও হৃদরোগ ওয়ার্ড সম্প্রসারণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে পরিত্যক্ত সম্পত্তি সাব করেন। চট্টগ্রাম মহানগরীর ঝাউতলা, ফিরোজশাহ, শেরশাহ কলোনীসহ অন্যান্য স্থানে কাগজপত্রের আলোকে বৈধ মালিকদের নামে প্লট বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। চট্টগ্রাম বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উন্নীত করার জন্য তৎকালিন মন্ত্রী জহির উদ্দিন খানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
– দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও বাঁশখালীর সমন্বয়ে পৃথক একটি জেলা প্রতিষ্ঠা করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে দাবী ও সংগ্রাম চালিয়ে আসছেন।
– বাঁশখালী, চকরিয়া ও লোহাগাড়ার পশ্চিমাংশে পাহাড়ে কুমিরাঘোনা এলাকায় রাশিয়ান গ্যাস কোম্পানী কর্তৃক পাকিস্তান আমলে খননকৃত পরিত্যক্ত গ্যাস কূপ পুন:খনন করে গ্যাস উত্তোলনের জন্য হোটেল সোনারগাঁওয়ে সেমিনারের আয়োজন ও তৎকালিন খনিজ সম্পদ মন্ত্রীসহ বিদেশী ডেলিগেট নিয়ে উক্ত স্থানসমূহ পরিদর্শনের ব্যবস্থা করেন।
– দোহাজারি থেকে টেকনাফ ভায়া কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত রেল লাইন সম্প্রসারণের দাবী তিনি বার বার জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেছেন। চট্টগ্রামে আরো একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৯৩ সালে জাতীয় সংসদে দাবী উত্থাপন করেন এবং ২০০৩ সালে চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ণ সমন্বয় কমিটির সভায় জনাব শাহজাহান চৌধুরীর দাবীর প্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ডিয়ো লেটার তৈরী করে মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তৎকালিন ‘শান্তি বাহিনীর’ সাথে আলোচনার জন্য সরকার গঠিত ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ তৎপরতার অংশ হিসেবে ১৯৯৪ সালে ভারতে আশ্রিত উপজাতি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে উপজাতিদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য প্রদান করে শরণার্থীদের দেশে ফিরে আসার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেন। তাঁর এ প্রচেষ্টায় তখন হাজার হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে।
– সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে আইনের সংশোধনীর ক্ষেত্রে পোষ্ট মর্টেম (ময়না তদন্ত) সংশোধনী বিল সংসদে উত্থাপন ও পাশের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
আন্দোলন-সংগ্রাম ও কারাবরণ:- 
দীর্ঘ ৯ বছর ব্যাপী এরশাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জনাব শাহজাহান চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে জনমত গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে চট্টগ্রামে এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি হয়। যার ফলে এরশাদের দীর্ঘ ৯ বছরের স্বৈরশাসনের পতন তরান্বিত হয়। মিছিল, সমাবেশ, হরতাল ও অবরোধে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তিনি বার বার পুলিশী নির্যাতন ও নির্দয় আচরণের শিকার হন। এ সময় তৎকালিন স্বৈরাচারী সরকার তাকে ১৩টি মিথ্যা মামলার আসামী করে। ২০০০ সালে পবিত্র ঈদুল আযহার দিন আওয়ামী লীগ সরকার তাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ১ মাস রেখে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করে অমানবিক নির্যাতন চালায়। মাননীয় হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি লাভের পর সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাকে কারাগারের গেইট থেকে পুনরায় গ্রেফতার করে। এই অন্যায় গ্রেফতারের প্রতিবাদ করায় শত শত নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
২০০৭ সালের ২২ শে জানুয়ারীর নির্বাচনে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হন। দেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণার পর জরুরী সরকার তাঁর জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ষড়যন্ত্রমূলক মামলার আইনি মোকাবিলার জন্য আদালতে উপস্থিত হলে তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে দীর্ঘ ১৪ মাস কারাগারে আটক রাখে।
জরুরী সরকারের সাথে আতাঁত করে ক্ষমতায় আসা অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালে হাইকোর্ট চত্বর থেকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতার করে মিথ্যা ষড়ন্ত্রমূলক মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে আটক রাখে। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে তিনি ২০১২ সালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।
এর পরে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের ৩ তারিখ জুমার নামাজের আগ মুহুর্তে গ্রেফতার করে ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসের ২০ তারিখ দীর্ঘ ৫ মাস পর মুক্তি লাভ করেন।  এর পরে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় ২০২১ সালের মে মাসের ১৫ তারিখ পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন রাত্রে সাতকানিয়া নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে অবৈধ সরকারের তল্কিবাহী প্রশাসন সেই থেকে আজ অবধি দীর্ঘ ১৭ মাস থেকে কারান্তরীন আছেন।
দুদকের মামলায় বেকসুর খালাস:- 
সাতকানিয়া-লোহাগাড়া থেকে বার বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত জনাব শাহজাহান চৌধুরীর বিজয়কে কোনোভাবে ঠেকানো যাবেনা দেখে ১/১১ এর জরুরী সরকার|
দুদকের মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিশেষ আদালতের মাধ্যমে ৭ বছরের সাজা প্রদান করেন। এ সাজার বিরুদ্ধে জনাব চৌধুরী হাইকোর্টে আপিল দায়ের করলে দুদক তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় হাইকোর্ট তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। বর্তমান সরকার খালাসের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল দায়ের করেন। আপিল বিভাগে দীর্ঘ শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনহার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং তার জব্দকৃত গাড়িটি ক্ষতিপূরণসহ ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেন এবং গাড়িটি ফেরত পান।
সমাজ সেবা ও মানব কল্যাণে অবদান:- 
একজন নিরলস সমাজকর্মী হিসেবে জনাব শাহজাহান চৌধুরী অসংখ্য সেবা, পূনর্বাসন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত আছেন। সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় মহিলা মাদ্রাসা ও এবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সক্রিয় সহযোগিতা ও অগ্রণি ভূমিকা পালন করেন। ফাযিল ও কামিলকে ডিগ্রী ও মাষ্টার্সের মান দেওয়ার ক্ষেত্রে মাদ্রাসা ছাত্র আন্দোলন পরিষদ নেতাদের নিয়ে সংসদ সদস্যদের নিকট স্মারক বিতরণ করেন। এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদেরকে প্রথমিক স্কুলের শিক্ষকদের সমমর্যাদা দানের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদানে নেতৃত্ব দেন। এ ব্যাপারে শিক্ষকদের আন্দোলন ও অন্যান্য কর্মসূচি পালনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন। তিনি নিজে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এর উল্লেখযোগ্য কয়টি উল্লেখ করা হলো-
– প্রতিষ্ঠাতা- মোজাদ্দেদ আল্ ফেসানী একাডেমী, সাতকানিয়া।
– প্রতিষ্ঠাতা- সাতকানিয়া আদর্শ মহিলা কলেজ, সাতকানিয়া।
– প্রতিষ্ঠাতা- সাতকানিয়া আদর্শ মহিলা মাদ্রাসা, সাতকানিয়া।
– প্রতিষ্ঠাতা- দক্ষিণ ছমদর পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতকানিয়া।
– প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- রব্বানী মহিলা মাদ্রাসা, সাতকানিয়া।
– প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- আল হেলাল ডিগ্রী কলেজ, সাতকানিয়া।
– চেয়ারম্যান- ডা: ইসমাঈল স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
– সভাপতি- ইসলামিক সেন্টার, সাতকানিয়া।
– সেক্রেটারী- মুসল্লী পরিষদ, শাহী জামে মসজিদ, আন্দরকিল্লা।
– প্রতিষ্ঠাতা সদস্য- আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।
– সদস্য- তানজিমুল মোসলেমীন এতিমখানা, চট্টগ্রাম।
– প্রতিষ্ঠাতা- ছমদিয়া এতিমখানা, সাতকানিয়া।
– প্রতিষ্ঠাতা- ছমদিয়া হেফজখানা, সাতকানিয়া।
– প্রতিষ্ঠাতা- গৌড়স্থান উচ্চ বিদ্যালয়, লোহাগাড়া।
– প্রতিষ্ঠাতা- বড় হাতিয়া আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসা, লোহাগাড়া।
– প্রতিষ্ঠাতা- সাউন্ড হেলথ হাসপাতাল, লোহাগাড়া।
– প্রতিষ্ঠাতা- ইলোমিনেট স্কুল এন্ড কলেজ, ডবলমুরিং।
– চেয়ারম্যান- সময় ফাউন্ডেশন।
– ব্যবস্থাপক ও পরিচালক- সাপ্তাহিক সময়ের প্রয়াস পত্রিকা।
নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ণ:- 
১৯৯১ ও ২০০১ সালে এমপি থাকা অবস্থায় নির্বাচনী এলাকায় (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) তিনি ব্যাপক উন্নয়ণ করেন। বিশেষ করে ২০০১ সালে ৪ দলীয় জোট ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নির্বাচনী এলাকাকে আধুনিক সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় রূপান্তর করেন। শিক্ষা, যোগাযোগ, সমাজ কল্যাণ, দারিদ্র বিমোচন ও বেকারত্ব দূরীকরণে এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ণে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। ২০০২ সালে বড় হাতিয়া হাঁটখোলা মুড়া এলাকায় বাঁধ নির্মাণ, ২০০৪ সালে গৌড়স্থানে নিজস্ব উদ্দ্যোগে বাঁধ নিমার্ণ এবং সুখছড়ি কামার দিঘীর পাড়ায় রাবারড্যাম নিমার্ণের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণে বিরাট ভূমিকা পালন করেন। গরিব- দুঃস্থ গৃহহীনদের জন্য লোহাগাড়ায় ৩টি ও সাতকানিয়া ৩টি গুচ্ছ গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন। সাতকানিয়া সরকারী কলেজে অনার্স কোর্স চালু, সাতকানিয়া ফায়ার ব্রিগেড স্থাপন, বিপুল সংখ্যক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা এম.পিও ভূক্ত করণ তার অবিরাম প্রচেষ্টার ফসল। শত শত ব্রীজ, কালভার্ট নির্মাণ, রাস্তা পাকা করণ ও সংস্কারের মাধ্যমে পুরো এলাকায় অভূতপূর্ব যোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করেন। টি, আর, কাবিখা, ঐচ্ছিক তহবিল ও বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে তিন শত মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়ণ সাধন করেন। দু’ উপজেলার অসংখ্য মন্দির, মট ও উপাসনালয় সংস্কারে অসামান্য অবদান রেখেছেন। যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ দুটি উপজেলা মডেল উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ট্রমা সেন্টার স্থাপন তার অবিরাম প্রচেষ্টার ফসল। ২০০১ সালের মেয়াদে সাতকানিয়াকে পৌরসভায় উন্নীত ও লোহাগাড়াকে আরবান এলাকায় রূপান্তরিত করেন।
আর্ত মানবতার সেবায়:–
১৯৮৮ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষার জন্য সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে জনসভা করেন। মুসলিম ছাত্র যুবকদের সেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করে প্রত্যেক মন্দিরে পাহারার ব্যবস্থা করেন। ১৯৮৮ সালে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্থ উরিরচরে মরহুম আব্বাস আলী খানের নেতৃত্বে খাদ্য, ত্রাণ ও ঔষধ সামগ্রীসহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উরিরচরে ছুটে যান। ১৯৯১ সালে ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্থ উপকূলীয় অঞ্চল বাঁশখালী, আনোয়ারা ও পতেঙ্গায় ব্যাপক রিলিফ বিতরণ ও শত শত লাশ দাফনে নেতৃত্ব দেন জনাব শাহজাহান চৌধুরী। ১৯৭৯ সালে বর্মী সরকারের অমানবিক নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের মাঝে রাবেতা আলম ইসলামীর সহায়তায় ত্রাণ বিতরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন জনাব চৌধুরী।
– রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিপর্যস্থ শরাণার্থীদের চিকিৎসা সেবা ও রাবেতা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
বিদেশ সফর:- 
জনাব শাহজাহান চৌধুরী সরকারি প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে শ্রীলংকা, ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আবর-আমিরাত ও সৌদি আরব সফর করেন। কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারী এসোসিয়েশন সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে নাইজেরিয়া, ইন্টার পার্লামেন্টারী ইউনিয়ন সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে কেনিয়া ও ট্যুরিজম কনফারেন্সে যোগদান উপলক্ষে মালয়েশিয়া সফর করেন।
জাতীয় সংসদে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনাব শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের অংশ বিশেষ:-
১। ২০০২ সালে, মাননীয় প্রধান মন্ত্রির বাসভবন ও সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনার ঔদ্বত্যপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। একই সাথে বিগত ৯৬ এর আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন, সন্ত্রাস, লুটপাট, খুন, রাহাজানি, অশ্লিলতা ও বেহায়াপনাসহ দেশ পরিচালনায় চরম ব্যর্থতার বিশদ বিবরণ তুলে ধরেণ।
২। ১৫.০৭.২০০২ সালে সারা দেশে বর্ষা মৌসুমে বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, বিশেষ করে লক্ষীপুর সদর, চন্দগল, চরশাহী, দিখুলী, মান্দারী, লাহরকান্দ্রি, ভবানীগঞ্জ, কুয়াখালী অঞ্চলের দূরাবস্থা ও চট্টগ্রাম শহরের ভরাট নদী-খাল খননের ব্যাপারে বক্তব্য পেশ করেন।
৩। ২০০৩ সালে সম্পূরক বাজেটের উপর আলোচনায় বাজেটে কৃষক ও শ্রমিকের নিরাপত্তা বিধানে বিশেষ বরাদ্দের দাবী জানান।
৪। ১৩.০৬.০৩ সালে নিউমুরিং প্রকল্প বাস্তবায়ন ও চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী করার দাবী জানান।
৫। ১৪.০৯.২০০৩ সালে বাংলাদেশে ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব এর ব্যাপারে বক্তব্য প্রদান করেন।
৬। ১৪.০৯.২০০৩ সালে বিদেশে বাংলাদেশ হাইকমিশনের জন্য জায়গা ক্রয় করে স্থায়ী অফিস নির্মাণের দাবী জানান।
৭। ২০০৪ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষনের উপর ধন্যবাদ বক্তব্যে এ দেশের ১৪ কোটি মানুষের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেণ। একই সাথে ৪ দলীয় জোট সরকারের সার্বিক সফলতা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।
৮। ২৭.০১.২০০৪ সালে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে খেলার মাঠ সংস্কার করে ছাত্র-যুবকদের ক্রীড়া চর্চার সুযোগ সৃষ্টির দাবী জানান।
৯। ২৭.০১.২০০৪ সালে ফলপ্রসু জরিপের মাধ্যমে গ্যাসকূপ স্থান নির্ধারণ, বিশেষ করে সাতকানিয়া ও বাশখালীর গ্যাস ফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন এবং বড়হাতিয়া ইউনিয়নে রাশিয়া কর্তৃক ১৯৬৮ সালে গ্যাস উত্তোলন প্রকল্প বন্ধ করা সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত দিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং মাননীয় মন্ত্রী ড. খোন্দকার মোশারফকে প্রকল্প ঠরংরঃ করার আহবান জানান।
১০। ২৮.০১.২০০৪ সালে বিদেশের কারাগারে বন্দি বাংলাদেশী নাগরিকদের সংখ্যা তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। বিশেষ করে নারী, শিশু, কিশোর ও জেলেদের বিষয় উল্লেখ করেন এবং তাদের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার দাবী জানান।
১১। ১১.০২.২০০৪ সালে ৪০০ কোটি টাকার অর্ধেক কাপড় বন্দর ও কাস্টম থেকে ছাড় প্রদান প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দূর্নীতি সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন।
১২। ১২.০২.২০০৪ সালে এশিয়ান হাইওয়ে কক্সবাজার-ঘুনদুম হয়ে বার্মা পর্যন্ত নির্মাণ এর দাবী তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন।
১৩। ২৮.০২.২০০৪ সালে পুরাতন ব্রিটিশ আমলের দেওয়ানী আদালত ভবন সংস্কার ও শূন্য পদে বিচারক নিয়োগ দানের দাবী তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
১৪। ২৯.০২.২০০৪ সালে সারা দেশের স্যাটেলাইট কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের শিক্ষকদের মানবেতর জীবন-যাপন ও বেতন বৃদ্ধির দাবী তুলে ধরেন এবং ন্যুনতম বেতন এক হাজার পাঁচশত টাকা করার দাবী জানান।
১৫। ১৭.০৩.২০০৪ সালে পোল্ট্রি শিল্পের নীতিমালা প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণ এর উপর বক্তব্য প্রদান করেন।
১৬। ১৭.০৩.২০০৪ সালে ভারত কর্তৃক আন্তর্জাতিক নদী অববাহিকায় পানি স্থানান্তর প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের উপর ক্ষতিকর ও বিরূপ প্রভাব প্রসঙ্গে বক্তব্য প্রদান করেন।
১৭। ১৮.০৩.২০০৪ সালে চলচিত্র সেন্সরশীপ প্রসঙ্গে বক্তব্য প্রদান করেন। একই সাথে ভারত, থাইলেন্ড, মায়ানমার ও বিভিন্ন দেশের অশ্লিল ম্যাগাজিনের বিরূপ প্রভাব তুলে ধরেন।
১৮। ২৪.০৩.২০০৪ সালে চট্টগ্রামের সাংগু নদীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য প্রদান করেন।
১৯। ২৪.০৩.২০০৪ সালে দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৩০০ আসনের একটি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবী উত্থাপন করেন। সাথে সাথে লোহাগাড়াতে একটি ট্রমা সেন্টার স্থাপনের দাবী জানান।
২০। ২৫.০৪.২০০৪ সালে সারা দেশে নন এম পি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ বাছাই করে উপযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে এম পি ও ভূক্ত করার দাবী জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
২১। ১৬.০৯.০৪ সালে ৩য় কর্ণফুলী সেতু নির্মাণের জন্য অসংখ্যবার এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য রাখেন।
২২। ১৩.০৫.২০০৪ তারিখে ২০০০-২০০১ সালে বিগত সরকারের সময় আর্থিক অনিয়ম সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন। ৫৪৬০৩টি আর্থিক আপত্তি এবং ১৮৭৩ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা দূর্নীতির সাথে জড়িত ১০টি মন্ত্রণালয় সম্পর্কে সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানান।
২৩। ১৩.০৫.২০০৪ : সিদ্ধান্ত প্রস্তাবে সন্ত্রাস দমনে সরকারের ভূমিকার উপর বক্তব্য প্রদান করেন।
২৪। ১৪.০৩.২০০৫ সালে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের বক্তব্যে রাস্তা-ঘাট, প্রবাসীদের রেমিটেন্স, বিদেশে বাংলাদেশী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও মূল্য সংযোজন কর আইন সংশোধন এর দাবী জানান।
২৫। ২৩.৬.২০০৫ সালে বাজেটের উপর আলোচনা। পল্লি অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ণের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। তুলে ধরেন মড়ড়ফ মড়াবৎহধহপব এর কথা। বাজেটে বরাদ্দ দাবী করেন দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের এবং একই সাথে সংসদ সদস্যদের জন্য আলাদা বরাদ্দের দাবী জানান।
২৬। ১৫.২.২০০৬ সালে হাওর অঞ্চলে মৎস্য চাষ প্রকল্প গ্রহণ, ভরাট পুকুর, নদী ও খাল খননের উদ্দ্যেগ গ্রহণ এবং জেলে ও মৎস চাষীদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার দাবী জানান।
২৭। ১৫.০২.২০০৬ সালে এক বছরে দেড় হাজার কোটি টাকার আমদানীকৃত পামওয়েলের অর্ধেকই চোরাই পথে ভারতে পাচার হওয়া সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন এবং তা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানান।
২৮। মর্গ/লাশ ঘর আধুনিকায়নের দাবী ও প্রতিটি জেলায় একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভবন নির্মাণের দাবী পেশ করেন।
২৯। চট্টগ্রাম বন্দরের দূর্নীতি বন্ধের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানান।
বর্তমানে শাহজাহান চৌধুরী হচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর।