
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি
নিত্যপণ্যের বাজার মূল্য সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সম্প্রতি ঈদে নিত্যপন্যের দাম নিয়ন্ত্রনে থাকায় সর্বস্তরের জনগন সাধুবাদ জানিয়েছে এই সরকারকে।
তবে ঈদের পরপরই বদলে যেতে শুরু করেছে চিত্র।অভিযোগ রয়েছে অসাধু ব্যাবসায়ীরা সিন্ডেকেট করে হু-হু করে বাড়িয়ে দিচ্ছে সবজির দাম।
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার আধুনিক মাছ ও কাঁচাবাজার এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সবজির দাম হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে।
বর্তমানে বাজারে করলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০ টাকায়, পটল ৮০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, মিষ্টি আলু ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ও ধুন্দুল ৬০ টাকা করে, টমেটো ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা এবং সিম ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
যা ঈদের আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি।
সাধারন ব্যাবসায়ী নাসির বলেন, আমরা আড়ৎ থেকে পন্য কিনে এনে খুচরা বিক্রি করি,প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকার বেশি মুনাফা করা যায় না।
স্থানীয় আড়ৎ শাহজালাল বানিজ্যালয়ের ম্যানাজার মো বিল্লাল হোসেন জানান,কুমিল্লার নিমসার থেকে যে দামে সবজি আনেন তার থেকে ৫ টাকা লাভ করি,পাইকারিতে দাম বেশি,তাছাড়া অতীতের তুলনায় সবজির উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে প্রভাব পরছে।
তবে সাধারণ ক্রেতাদের মতে, কৃষক থেকে ক্রেতার হাতে সবজি পৌছানো পর্যন্ত দাম নিয়ন্ত্রনে সঠিক তদারকি থাকলে এই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়া সম্ভব।তারা কাঁচাবাজার সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে প্রশাসনের কার্যকর প্রদক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাঈদ মোহাম্মদ রবিন শীষ বলেন,নিত্যপন্যের দাম নিয়ন্ত্রনে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে,যারাই এরুপ অপকর্মের সাথে লিপ্ত থাকবে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।