মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
মোছাম্মৎ কুসুম বেগম বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নাগমুদ গ্রামে আজ রোববার দেখা মিললো রামগঞ্জের সোনাপুর বাজারের মাছ বাজারে। এসেছেন ছোট মেয়ে রেহানা ইলিশ মাছ খেতে চেয়েছে ।কিন্তু মাছ না কিনেই খালি হাতে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। কথা বলতেই চেচিয়ে উঠে আবেগে বলতে থাকেন আংগো ভাগ্যে ইলিশ মাছ নাই- এগান -এগুলো- বড় লোকের মাছ।গত পাঁচ বছরেও ইলিশ খাইতাম হারি নো -পারি নাই-। আগে হাসিনা সরকার ভারতে ইলিশ পাচার করতো।এখন নতুন সরকারের আমলেও ইলিশের বাজারে আগুন জ্বলে। গরীবের জন্য ইলিশ মাছ নাই।
লক্ষ্মীপুরের বাজারগুলোতে ভরা মৌসুমেও রূপালী ইলিশের সংকট দেখা দিয়েছে । ফলে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। এতে সাধারণ ক্রেতারা ইলিশ মাছ কিনতে পারছেনা।
যাদের সাধ্য আছে- তারা অতিরিক্ত দামে ক্রয় করছেন ইলিশ। আবার কেউ কিছুটা কম দামে জাটকা দিয়েই ইলিশের স্বাদ মিটাচ্ছেন।অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানোর অবস্থা।
জেলে এবং বিক্রেতারা বলছে- ভরা মৌসুমেও মেঘনা নদীতে মাছের আকাল জেলের জালে মাছ উঠছে না তাই দাম বেশি।
লক্ষ্মীপুরের জেলা শহরে দক্ষিণ তেমুহনীতে রাতের বেলা ইলিশের হাট বসে। বড় এ হাটটিতে ভরা মৌসুমেও ইলিশের উপস্থিত অনেক কম। তাই চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই অনেক চড়া দামে এ হাটে ইলিশ বিক্রি হতে দেখা গেছে।
গতকাল রাতে বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা প্রতিটি এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম হাঁকাচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে। ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১৫০০ টাকার মধ্যে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১২০০ টাকা, আধাকেজি ওজনের ইলিশ হাজার টাকায়, ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকা এবং ২০০ থেকে আড়াইশ গ্রাম ওজনের জাটকা ইলিশের দাম সাড়ে পাঁচশ থেকে ছয়শ টাকার মধ্যে। গ্রামের বাজার গুলোতে ক্রেতাদেরকে আরো বেশী দাম গুনতে হচ্ছে।
অনেক ক্রেতাকেই দাম শুনে ইলিশ না কিনে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে ।
বাজারে ইলিশ কিনতে আসা সেলিম মিয়া বলেন, দাম তো অনেক বেশি। এখন তো ইলিশের ভরামৌসুম তারপরও এতদাম। গরীব মানুষেরা ইলিশ মাছ খেতে পারবে না।
বিজ্ঞজনদের অভিমত সরকার যদি বাজার মনিটরিং করে সিন্ডিকেট ভেঙে ইলিশের দাম যদি কমিয়ে দেন তাহলে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে নিন্মআয়ের মানুষগুলো