আমিরুল হক,
নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি :
উত্তরবঙ্গের বাণিজ্যে সমৃদ্ধ শহর নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিমানবন্দর নির্মাণের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ১০ ডিসেম্বর থেকে চলচ্চিত্রটি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ৬টি প্রেক্ষাগৃহে চলছে। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত সম্ভার, সনি, মিরপুর মহাখালীর এসকেএস, যমুনা ফিউচার পার্কের বøকবাস্টার এবং নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপে দেখা যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে এ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন নুরুল ইসলাম আতিক।
এ চলচিত্রের গল্পের প্রেক্ষাপট ১৯৭১ সাল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সৈয়দপুর রেলস্টশন ও তার আশেপাশের একালা থেকে প্রায় তিন হাজার নিরীহ বাঙালিকে বন্দি করে নিয়ে আসে বিমানবন্দর কাছে একটি স্কুলঘরে। স্কুলঘরটাই ছিল তখন তাদের বন্দিশিবির। এ কাজে তাদের প্রধান সহযোগী ছিল স্থানীয় অবাঙ্গালীরা। তখন এদের সবাইকে বিমানবন্দর নির্মাণের কাজে লাগানো হয়। তাদের। দিন রাত পরিশ্রম অভুক্ত-অর্ধভুক্ত মানুষগুলো অসুস্থ হতে থাকে। যারা অসুস্থ হচ্ছিল তাদের নিশ্চিত ঠিকানা পরপার। পাকিস্তানি সৈন্যরা এমন তিন শতাধিক বন্দী বাঙালি কে নিশংস ভাবে হত্যা করে।
এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, লায়লা হাসান, আহমেদ রুবেল, আশনা হাবিব ভাবনা, অশোক বেপারী, আশীষ খন্দকার, জয়রাজ, শিল্পী সরকার, ইলোরা গওহর, জ্যোতিকা জ্যোতি, দিলরুবা দোয়েল, স্বাগতা, শাহজাহান সম্রাট, দীপক সুমন, খলিলুর রহমান কাদেরী, অনন্ত মুনির, সৈকত, যুবায়ের, আশেক-মাশেক, মতিউল আলম, হাসিমুনসহ কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল ও গৌরীপুর এলাকার সাধারণ মানুষ।
পরিচালক নূরুল আলম আতিক বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতায় মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র মানেই কিছু গৎবাঁধা দৃশ্যের বিস্তার। প্রায় সব চলচ্চিত্রে প্রোটাগনিস্ট-এন্টাগনিস্টদের চেহারা-সুরত, হাবভাব, আচার-আচরণ, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য একই রকম। কিন্তু ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রের প্রথাগত বয়ানের বাইরে যাবার চেষ্টা করেছে। আশা করছি দর্শক জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এ চলচ্চিত্রটি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে সরকারি অনুদান পায় মুক্তিযুদ্ধের গল্পের এ চলচ্ছিত্রটি। শুটিং শুরু হয় ২০১৬ সালে আর ২০২০ সালের নভেম্বরে শেষ হয়। কাহিনি ও চিত্রনাট্য পরিচালকের নিজের।